করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর খুলে দেয়া হয়েছে কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন, সুন্দরবনসহ দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্র। তবে ভ্রমণে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। কেবল সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে বলেই যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তা নয়। নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এটি মানতে হবে। এ ছাড়া আপনি আক্রান্ত হলে শুধু আপনি নয়, আপনার পরিবার বা কাছের মানুষেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। 

ভ্রমণে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি তার অন্যতম হলো– শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর পুরো ভ্রমণেই মাস্ক পরতে হবে। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। না পরলে জরিমানাও গুনতে হবে। এ ছাড়া হাত সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য হাতের কাছে বা পকেটে সবসময় জীবাণুনাশক স্প্রে রাখুন। 

বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা বিমানে যে মাধ্যমেই ভ্রমণ করুন, নিজের আসনটি অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করুন। হোটেলের বিছানাও জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করুন। অথবা রুমটি জীবাণুমুক্ত কিনা নিশ্চিত হয়ে নিন। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলেও সেটি কতটা জীবাণুমুক্ত তা জেনে নিন। সব চেয়ে ভালো হয় চলাফেরায় সবসময় সঙ্গে রাখুন জীবাণুনাশক স্প্রে। যথাসম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলনু। 

সেন্টমার্টিন

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ছয় ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। কারণ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ অংশে এখনও কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। এসব প্রবাল সংরক্ষণের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে সেন্টমার্টিনের সৈকতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না। 

সুন্দরবন

ফিচার বিজ্ঞাপন

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 5D/4N

মূল্য: ২১,৯০০ টাকা

অন্যদিকে ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলেছে সুন্দরবন। তবে এখন থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে মানতে হবে ৫টি শর্ত। শর্তগুলো হলো– কোনো ট্রলারে ২০ জনের বেশি পর্যটক বহন করা যাবে না। পর্যটকরা খাদ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বহন করতে পারবেন না। প্রতিটি ট্রলারে স্যানিটাইজ ও বর্জ্য ফেলার ঝুড়ি রাখতে হবে। কোনো ট্রলারে মাইক বা সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ও সর্ববৃহৎ একক ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। আরও আছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সৈকতপাড় কুয়াকাটা, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদসহ নানা প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যের দর্শনীয় স্থান। এ ছাড়া এ দেশের আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা। 

যারা সমুদ্র দেখতে পছন্দ করেন, তাদের সবার আগে যাওয়া উচিত কক্সবাজার। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত। এর পাশেই আছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। অথবা যেতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেশ কুয়াকাটা। অন্যদিকে পাহাড় যাদের কাছে টানে, তারা যেতে পারেন রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি। পাহাড়, অরণ্য আর আদিবাসীদের বর্ণিল সাজে সজ্জিত এ জনপদ। 

এ ছাড়া হরিণের রাজ্য দেখতে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ, পাখির রাজ্য দেখতে সিলেটের হাওর ও ভোলা-নোয়াখালীর উপকূলের বিভিন্ন কাদাচর যেতে পারেন। আর চাইলে আপনি আপনার জেলাটাই ঘুরে দেখতে পারেন শীতের এ মৌসুমে। কারণ আমাদের প্রতিটি জেলারই রয়েছে নানারকম ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের চারপাশে যেদিকেই চোখ বুলাবেন সেদিকেই দেখা মিলবে রূপসী বাংলার মায়াবী রূপ।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৭৭ বার পড়া হয়েছে