পটুয়াখালী জেলা থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নের দৃষ্টিনন্দন ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চল সোনারচর। যার চারপাশে সমুদ্রের জলরাশি। সৈকতের তিরে ছোট ছোট লাল কাঁকড়ার দুষ্টুমি। এখানে আরও রয়েছে সবুজ প্রকৃতি, বন্যপ্রাণী, পাখির ঝাঁক, জেলেদের মাছ ধরার উচ্ছ্বাস। সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের মনোরম দৃশ্য।

বঙ্গোপসাগরের কোলজুড়ে বেড়ে ওঠা সৌন্দর্যের লীলাভূমি সোনারচর। উত্তর-দক্ষিণ লম্বালম্বি এ দ্বীপটি দূর থেকে দেখতে ডিমের মতো। পথ দুর্গম হলেও সৌন্দর্যের নিপুণ কারুকাজ সেই দুর্গমতাকে লাঘব করে অনেকখানি। আছে বন-বনানি আর অস্থায়ী পলি। সাগরে যখন জোয়ারের পানি উথলে ওঠে তখন সৌন্দর্য বিকশিত হয়ে উঠতে থাকে। তটরেখায় আছড়ে পড়ে ছোট-বড় অনেক ঢেউ। প্রায় নয় কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং চার কিলোমিটার প্রস্থের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতের যেকোনো জায়গায় দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দৃশ্যমান। ঢেউয়ের তালে তালে দুলতে থাকা জেলে নৌকার বহর। সৌন্দর্য পিপাসুদের অনেকেই সোনারচরের এ রূপ দেখে মুগ্ধ।

দূর থেকে সমুদ্র সৈকতে দিকে তাকালেই লাল কাঁকড়া চোখে পড়বে। বিশেষ করে ভ্রমণ পিপাসু কিংবা শিশুদের কাছে এ দৃশ্য আনন্দদায়ক। বনবিভাগের তথ্য অনুযায়ী অসংখ্য হরিণ আর বানর রয়েছে সোনারচরে। তবে ঘন অরণ্যের কারণে এগুলোর দেখা মেলাটা ভাগ্যের ব্যাপার। চোখে পড়বে দেশি-বিদেশি দুর্লভ প্রজাতির নানা রঙের পাখি। যেন পাখির সমারহ। শীত মৌসুম এলেই উত্তর বঙ্গোপসাগর তীরে সোনারচরে অভয়ারণ্যে ওদের ব্যাপক সমাগম ঘটে এ দ্বীপে। কলকাকলিতে প্রাণপ্রাচুর্যে ভরে উঠে সোনারচর। কেউ ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ছে, কেউ আবার ঝুটি বেঁধে, কেউ একা এদিক ওদিক ছুটোছুটিতে ব্যস্ত। প্রতিবছরই শীত মৌসুমে সোনারচরে আশ্রয় নেয় ঐসব পাখি।

অত্র এলাকার ভ্রমণপিপাসু সুজন বলেন, ‘সোনারচর আমার কাছে খুবই পছন্দের একটি জায়গা। হোটেল-মোটেল না থাকলেও তাবুতে রাত্রিযাপন করলে বনের হরিণ দেখা যায়। এখানে প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া যায়। এখানে একবার যে আসবে, তাকে বারবার আসার ইচ্ছেটা থেকেই যায়।’ বরিশাল থেকে সোনার চরের মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে আসা দীপা দেবনাথ বলেন, ‘বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ডাক, নদীর বুক জুড়ে গাঙশালিকের অবাধ বিচরণ। সামুদ্রিক হাওয়ার মৃদুমন্দ ছোঁয়া। সব মিলিয়ে এক অন্য রকম ভালোলাগার অনুভূতি সোনারচরে।’ বন বিভাগের তথ্যমতে, সোনারচরে রাত কাটানোর মতো নিরাপদ আরামদায়ক কোনো ব্যবস্থা না থাকলেও বনবিভাগের একটি ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে কিছুটা কষ্ট হলেও পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

সোনার চর সংশ্লিষ্ট চরমোন্তাজ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. হানিফ মিয়া বলেন, ‘পর্যটকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থাকলেও সোনার চরে আবাসিক ব্যবস্থা নেই।। তবে এখানে থাকার ব্যবস্থা না থাকলেও সূর্যাস্ত দেখার পর পার্শ্ববর্তী এলাকা চরমোন্তাজে রাত যাপনের মতো মালিকানা হোটেল কিংবা বাংলো রয়েছে। রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, ‘ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সোনারচর একটি মনোরম স্থান। যদি সোনারচরকে সরকারিভাবে পর্যটন কেন্দ্র ঘোষণা করা হয় তাহলে সার্বিক পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে।’

Source: Ittefaq

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



২৬০ বার পড়া হয়েছে