সমস্যা
দেড় বছর হলো প্রচণ্ড মানসিক দুশ্চিন্তায় ভুগছি। আমার স্বামী এখন সন্তান নিতে চান, কিন্তু আমি চাই না। আমি মাস্টার্স প্রথম পর্বের ছাত্রী। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় আমার ফল ভালো। দুর্ভাগ্যবশত অনার্স পরীক্ষাটা খারাপ হয়েছে। আমার স্বামী মানোন্নয়ন পরীক্ষাও দিতে দেননি। এ কারণে বিভিন্ন জায়গায় চাকরির আবেদনপত্র জমা দিতে লজ্জা পাচ্ছি। কী করব এখন? প্রায়ই আমাকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করা হয়। বলা হয়, আমার বুদ্ধি নেই। আমার স্বামী কাউকে কিছু বলে না, উল্টো আমার ওপর রাগ করে আর বলে, তোমার বুদ্ধিশুদ্ধি আসলেই কম। আমার মনে হয়, সবকিছু ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাই। এ ব্যাপারগুলো আলোচনার জন্য মনের মতো কাউকে পাচ্ছি না, তাই আপনাকে জানালাম।

পরামর্শ
আমি খুব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আমাদের দেশের প্রত্যেক মেয়েরই উচিত, যতটুকু সম্ভব পড়ালেখা করা এবং নিজ নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী কিছু উপার্জন করা। মেয়েরা উপার্জনক্ষম হলে কারও ওপর নির্ভরশীল হয়ে থাকবে না। আত্মসম্মান ও আত্মবিশ্বাস এতে অনেক বেড়ে যাবে। মনে হচ্ছে, বাড়িতে তুমি সম্মান ও গুরুত্ব পাচ্ছ না। এ জন্য পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া খুব জরুরি। সন্তান নেওয়ার ব্যাপারে আমার মতামত হচ্ছে, একটি মানুষকে তোমাদের দুজনের মধ্যে আনার আগে দাম্পত্য সম্পর্কে পারস্পরিক বোঝাপড়া, বিশ্বাস ও সম্মান প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। তা না হলে সন্তানটির সুষ্ঠু বিকাশ কিছুতেই নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না। তুমি লিখেছ, অনেক কিছু নিয়ে অশান্তিতে আছ আর সবকিছু ছেড়ে কোথাও চলে যেতে ইচ্ছে করে। এর অর্থ তুমি বিষণ্নতায় ভুগছ। এই অবস্থায় সন্তানের জন্ম দিলে তুমি ভালোভাবে তার যত্ন নিতে পারবে না। পড়ালেখায় বাধা পড়লে তাতে আরও বেশি বিষণ্নতা তৈরি হবে। তোমার বুদ্ধি, মেধা ও কাজ দিয়ে প্রথমে প্রমাণ করো যে মেয়েরাও মাথা উঁচু করে পথ চলতে পারে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৯৪ বার পড়া হয়েছে