মাধবকুন্ডের পাশে পরীকুন্ড জলপ্রপাত টানবে সবাইবে ঈদের ছুটিতে অনেকে বেড়াতে যান। বেড়ানোর জায়গাটা যদি প্রকৃতির খুব কাছাকাছি হয়, তবে তো কথাই নেই। ‘মাধবকুণ্ড’ জলপ্রপাত কমবেশি সবারই চেনা। তবে এর কাছেই যে আরেকটি জলপ্রপাত আছে, সেটা কি দেখা হয়েছে? স্থানীয় মানুষের কাছে এর নাম ‘পরিকুণ্ড’। সবুজ পাহাড়ে ঘেরা এই জায়গাটি টানবে সবাইকে। মাধবকুণ্ডের চেয়ে পরিকুণ্ড কিছুটা নির্জন। বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালায় ছেয়ে আছে এর চারপাশ। প্রায় ১৫০ ফুট উঁচু থেকে পাথরের খাড়া পাহাড় বেয়ে শোঁ শোঁ শব্দ করে জলধারা নিচে আছড়ে পড়ছে। নিচে বিছানো ছোট-বড় পাথর গড়িয়ে স্রোতধারা একটি বড় ছড়ায় মিশে গেছে। বড় একটি পাথরে বসে আনমনে খুব কাছ থেকেই জলপ্রপাতের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করা যেতে পারে। ইচ্ছা করলে স্বচ্ছ পানির ছড়ায় ভালোমতো গোসলও সেরে নেওয়া যায়।
ঈদের ছুটিতে যাঁরা মাধবকুণ্ডে বেড়াতে যেতে চান, তাঁরা চাইলেই পরিকুণ্ড দেখে আসতে পারেন। স্থানীয় বাসিন্দা শহীদ জানালেন, তিনি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে পর্যটকদের ছবি তুলে দেন। কেউ বললে পরিকুণ্ডে নিয়ে যান। পর্যটকেরা খুশি হয়ে যা দেন, তা-ই নেন। মাধবকুণ্ডের পর্যটন করপোরেশনের রেস্তোরাঁর ব্যবস্থাপক রমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানালেন, মাঝেমধ্যে পর্যটকদের অনেকে এসে পরিকুণ্ড যাওয়ার রাস্তা সম্পর্কে জানতে চান।
যেভাবে যাবেন পরিকুণ্ড
টিকিট কেটে প্রধান ফটক পেরিয়ে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের রাস্তা। হাঁটতে হাঁটতে সামনে গিয়ে হাতের বাঁ পাশে টিলার ওপর শিবমন্দির। এর ঠিক বিপরীতে রাস্তার সঙ্গে একটি নতুন পাকা সিঁড়ি তৈরি হয়েছে। ওই সিঁড়ি দিয়ে নেমে মাধবকুণ্ডের মূল ছড়া। আর ওই ছড়াটির সোজাসুজি পাথর বিছানো ছড়া দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট হাঁটলেই পরিকুণ্ড। ভয়ের কারণ নেই। ছড়ায় শুধু পায়ের পাতাই ভিজবে। ভয়ের অবশ্য দু-একটা কারণ আছে। নিচে বিছানো পাথরগুলো কিন্তু বেশ পিচ্ছিল। শ্যাওলা জমে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তাই পা ফেলতে হবে সাবধানে। মাধবকুণ্ড ও পরিকুণ্ড বেড়াতে এসে কাছাকাছি রাত্রিযাপনের জন্য জেলা পরিষদের দুই কক্ষের একটি বিশ্রামাগার আছে। সেটি কমপক্ষে সাত দিন আগে বুকিং দিতে হয়।
মাধবকুণ্ডের পথ অনেকেরই চেনা। আন্তনগর ট্রেনে ঢাকা থেকে সরাসরি কুলাউড়া জংশন রেলস্টেশনে নামতে হবে। সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া করে সরাসরি মাধবকুণ্ড পৌঁছাতে পারেন। ভাড়া নেবে তিন বা চার শ টাকা। কুলাউড়ায় নেমে বাসে করেও যেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আপনাকে কাঁঠালতলী বাজারে নামতে হবে। সেখান থেকে অটোরিকশায় মাধবকুণ্ড। দূরত্ব আট কিলোমিটার, ভাড়া ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। এ ছাড়া ঢাকা বা অন্য জায়গা থেকে সড়কপথে কাঁঠালতলী বাজার হয়ে মাধবকুণ্ডে পৌঁছানো যায়।

কল্যাণ প্রসূন
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো

ফিচার বিজ্ঞাপন

Water Lodge

মূল্য: ১২,৫০০ টাকা / রাত

Toyota Allion 2014 G Package

মূল্য: ২৩,৫০,০০০ টাকা

Sheraton Maldives Full Moon Resort 3D/2N

মূল্য: ৬৬,৯০০ টাকা

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



১,০৫৬ বার পড়া হয়েছে