সমস্যা
আমাদের বিয়ে হয়েছে ৩১ বছর হলো। স্বামীর বয়স ৬০, আমার ৫৫। বেশ কয়েক বছর ধরে লক্ষ করছি, আমার স্বামী তাঁর এক বিধবা সহকর্মীর সঙ্গে বেশ মেলামেশা করছেন। স্বামী কলেজশিক্ষক, তাই এতোদিন ব্যাপারটা গুরুত্ব দিইনি। ইদানীং মেলামেশাটা বেশ বেড়েছে। যেমন, এক রিকশা করে ব্যাংকে যাওয়া, পোস্ট অফিসে যাওয়া, বাসে পাশাপাশি বসে বাড়ি ফেরা, এক টেবিলে পাশাপাশি বসে খাওয়া। সহকর্মীটি দিনে দু-তিনবার ফোন করেন। নানা কাজে প্রায়ই বাসায় আসেন, আমার স্বামীও নানা কাজে তাঁর বাসায় যান। ইদানীং একই বাড়িতে ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা করছেন দুজন। এই ব্যাপারগুলো আমাকে বেশ কষ্ট দিচ্ছে। আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছি না, মহিলাকেও কিছু বলতে পারছি না। এখন এ কষ্ট থেকে মুক্তির উপায় কী?
পরামর্শঃ
তোমাদের এত দীর্ঘ সময়ের বিবাহিত জীবনে পরস্পরের বোঝাপড়াটি কোন জায়গায় আছে, তা কি ভেবে দেখেছ? একটি সম্পর্ককে সুস্থ রূপ দেওয়ার জন্য পরস্পরের প্রতি সম্মান রেখে সব বিষয়ে নিজেদের মনোভাব তুলে ধরা খুব প্রয়োজন। হয়তো তোমার স্বামীর সহকর্মীটি বিভিন্ন কাজে তোমার জীবনসঙ্গীটির ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। কাজ করতে গিয়ে তাঁদের মধ্যে হয়তো একটি বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। এমনও হতে পারে, অনেক বিষয়ে মতের সামঞ্জস্য আছে বলে তাঁরা নিজের অজান্তেই একসঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করছেন। তবে এসব আলোচনায় তোমার উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ থাকলে পরিস্থিতিটি অনেক বেশি সুন্দর হতো। যেমন—তিনি সহকর্মীর সঙ্গে একই বাড়িতে ফ্ল্যাট কেনার কথা ভাবছেন, সেটা কি তুমি তাঁর মুখেই শুনেছ? যদি তা-ই হয়, তাহলে তো তুমি তাঁকে জিজ্ঞেস করতে পারো। এত বড় একটি সিদ্ধান্তে তোমার মতামতকে তিনি কতটা শ্রদ্ধা দেখাবেন বা সে ব্যাপারে কোনো মত দেওয়ার মতো অধিকার তুমি আদৌ রাখো কি না। দুজনের মেলামেশাটি যদি তোমার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়, সে ব্যাপারে তুমি কিন্তু অবশ্যই সুন্দরভাবে নিজের কষ্টের অনুভূতিটি স্বামীর কাছে প্রকাশ করতে পারো। তোমাদের যদি সন্তান থাকে, তাহলে তারাও তো এত দিনে প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেছে। যদি এটি তাদের দৃষ্টিগোচরে না থাকে, তবে এর মধ্যে ওদের না জড়িয়ে তুমি নিজ উদ্যোগেই স্বামীর সঙ্গে কথা বলো। দৃঢ় ও বিনয়ীভাবে সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্কটি নিয়ে স্বামী কী ভাবছেন তা জানার চেষ্টা করো। যদি তিনি তোমার সন্দেহ দূর করতে পারেন, তাহলে তো খুব ভালো হয়। আর যদি তুমি তাঁর উত্তরে সন্তুষ্ট হতে না পারো, তাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করো। তোমার আত্মসম্মান বজায় রেখে সিদ্ধান্ত নাও।
পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Email Marketing
Cairo, Alexandria & Sharm El Sheikh 6D/5N
Singapore Tour with Sentosa 4D/3N
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৬০৮ বার পড়া হয়েছে





