পায়ের যত্ন না নিলে ব্যথা, ফোলা, ফোসকা ও অন্যান্য সমস্যার আবির্ভাব ঘটে। তাই পা দুটিকে ভালো রাখতে চাইলে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের মতোই যত্নশীল হতে হবে। পায়ের প্রতি যত্নশীলতার নানা উপায় রয়েছে। জেনে নিন তেমন কিছু উপায়।

* নিয়মিত হাঁটুন: একজন মানুষের পায়ে ২৬টি হাড়, প্রায় তিন ডজন জয়েন্ট এবং ১০০ এর বেশি মাসল, টেন্ডন ও লিগামেন্টের জটিল নেটওয়ার্ক রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক সচল রাখতে হলে নিয়মিত হাঁটা প্রয়োজন। আপনার প্রত্যেকটা পদক্ষেপে নেটওয়ার্কটি উপকৃত হয়। পায়ের মেকানিকসে উন্নয়ন ঘটাতে হাঁটার বিকল্প নেই। পায়ের মেকানিকস উন্নত হলে নিতম্ব ও হাঁটুর মেকানিকসেও উন্নতি আসে। হাঁটাকে পায়ের সর্বোত্তম ব্যায়াম হিসেবে বিবেচনা করা হয়। হাঁটলে কেবল পা নয়, সমগ্র শরীর উপকৃত হয়।

* পুরোনো জুতা পরিহার করুন: পুরোনো স্নিকার্স স্বস্তিকর হলেও এগুলো পায়ের ক্ষতি করতে পারে। জুতার সোল ক্ষয়ে গেলে পায়ের হাড় ও জয়েন্টে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। আমাদের পায়ের বলে চর্বি ভর্তি ক্ষুদ্র প্রকোষ্ঠ রয়েছে। এটা শক অ্যাবজরবার (আঘাত শোষণকারী) হিসেবে কাজ করে, যা বয়স বাড়লে পাতলা হতে শুরু করে। একারণে জুতা থেকে বাড়তি সাপোর্টের প্রয়োজন পড়ে।

* টাইট জুতা এড়িয়ে চলুন: জুতায় পা ভালোভাবে ফিট না হলে অথবা আঙুলগুলো অস্বাভাবিক অবস্থানে চলে গেলে ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। জুতা আঙুলগুলোকে চেপে ধরলে স্নায়ুতে সংকোচন ও প্রদাহ হতে পারে। তাই আঁটসাঁট জুতা এড়িয়ে চলুন। জুতা কেনার আগে নিশ্চিত হোন যে পা বা আঙুলের স্বস্তির জন্য যথেষ্ট স্পেস ও সাপোর্ট রয়েছে।

* পায়ের ওপর পা তুলে বসা নয়: এটা ঠিক যে পা দুটিকে ক্রস করে বসলে বেশি আরাম পাবেন, কিন্তু এতে পায়ে রক্তপ্রবাহ বিঘ্নিত হয়। এটা পেরোনিয়াল নার্ভকে চাপে রেখে পা-কে সাময়িক অসাড় করতে পারে। এভাবে বসার পর আনক্রস করলে যে অস্বস্তিকর অনুভূতি হয় তা হলো স্নায়ুটির কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক হওয়ার লক্ষণ। তাই পায়ে রক্তপ্রবাহ ব্যাহত করতে না চাইলে অথবা অসাড়তা এড়াতে পায়ের ওপর পা তুলে না বসাই ভালো।

* স্যান্ডেল পরিহার করুন: ফ্লিপ ফ্লপ বা স্যান্ডেল পরতে সহজ হলেও এটি পায়ের ক্ষতি করতে পারে। পায়ের আঙুল আঁকড়ে ধরে থাকে বলে পায়ের ওপর অপ্রয়োজনীয় চাপ পড়ে। এছাড়া স্যান্ডেল সমতল বলে এটাকে অতিরিক্ত কাজ করতে হয়।

* ঘাম প্রতিরোধ করুন: একজন মানুষের পায়ে প্রায় ১২৫,০০০ ঘামগ্রন্থি রয়েছে, তাই এটি সহজেই আর্দ্র হয়ে যেতে পারে। পা দুটিকে দিনের পর দিন স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে রাখলে ত্বকের টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ছত্রাক বিকাশের জন্য আদর্শ পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তাই ঘাম কমিয়ে ছত্রাক সংক্রমণ এড়াতে পায়ের তলা ও জুতার ভেতরে অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন। মোজাও ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু নিয়মিত ধুয়ে ফেলতে হবে। পায়ের আর্দ্রতা কমালে দুর্গন্ধও কমে যাবে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

সাজেক ভ্রমণ ৩ রাত ২ দিন

মূল্য: ৫,৪০০ টাকা

* বিভিন্ন সাইজের জুতা কিনুন: যেসব মানুষের ওজন হ্রাস-বৃদ্ধির মধ্যে থাকে তাদের লিগামেন্ট ও টেন্ডন ঢিলা ও দুর্বল হয়ে যেতে পারে। এটা সেসব নারীর জন্য বিশেষভাবে সত্য যাদের ছেলেমেয়ে রয়েছে এবং মাসের পর মাস প্রচুর ওজন বয়ে বেড়াচ্ছে। পায়ে সমস্যা এড়াতে জোর করে একই সাইজের জুতা পরবেন না। আপনার ওজন ‘বাড়ছে কমছে’ চক্রে থাকলে ঘরে বিভিন্ন সাইজের জুতা রাখুন, যখন যেটা প্রয়োজন ব্যবহার করুন।

* ত্বকের যত্ন নিন: জুতার বারবার ঘর্ষণে পায়ের ত্বকের শীর্ষ স্তর পুরু ও আঁইশযুক্ত হতে পারে। পায়ের তলার মৃতকোষ দূর করতে ঝামাপাথর ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন যে ঝামা পাথরকে একটি ডিরেকশনেই ব্যবহার করবেন, একবার সামনে একবার পেছনে নয়। নিয়মিত লোশন বা ফুট ক্রিম ব্যবহার করুন- যথাসম্ভব ইউরিয়া ও ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে এমন প্রো ডাক্ট কিনুন, কারণ এগুলো পায়ের তলার পুরু ত্বক ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করতে সক্ষম।

* মোজা পরে ঘুমান: আপনি এর আগে কখনো মোজা পরে না ঘুমালেও আজ থেকেই অভ্যাসটি রপ্ত করার কথা ভাবতে পারেন। মোজা পরে ঘুমালে পা উষ্ণ থাকে। পা উষ্ণ থাকলে রক্তনালী প্রসারিত হয়, যা সারা শরীরে তাপ পুনর্বন্টনে সহায়তা করে। এতে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে ও পায়ের বিশ্রাম বেশি হবে।

Source: Risingbd

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৪৩ বার পড়া হয়েছে