অনেকেরই দুই পা ফুলে যায় বা পায়ে পানি আসে। এ প্রতিবেদনে পায়ের ফোলা কমানোর কিছু কার্যকরী ঘরোয়া উপায় দেয়া হলো। কিন্তু কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই পা ঘনঘন ফুলে গেলে অথবা ফোলা না কমলে প্রকৃত কারণ শনাক্ত করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই পা ফুলে যাওয়া বা পায়ে পানি আসা মারাত্মক রোগের লক্ষণ হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় অঙ্গের যেমন হৃদযন্ত্র, লিভার, কিডনি, খাদ্যনালীর কাজের ব্যাঘাত ঘটলে পায়ে ও শরীরে পানি আসতে পারে।

* ফুট বাথ: পায়ে পানি জমে পা ফুলে গেলে কার্যকর হতে পারে ফুট বাথ বা হাইড্রোথেরাপি। হাইড্রোথেরাপিতে ফোলা পা-কে একবার গরম পানিতে, আরেকবার ঠান্ডা পানিতে ডোবানো হয়। গরম পানি রক্তনালীকে প্রসারিত করে, অন্যদিকে ঠান্ডা পানি রক্তনালীকে সংকুচিত করে। এতে রক্ত সঞ্চালনে উন্নতি আসে। এর ফলে পা ও গোড়ালির ফোলা কমে। গরম পানিতে তিন-পাঁচ মিনিট ও ঠান্ডা পানিতে ৩০-৬০ সেকেন্ড পা ডুবিয়ে রাখুন রাখুন। ১৫-২০ মিনিট ধরে প্রক্রিয়াটি পুনরাবৃত্তি করুন। দিনে কয়েকবার করুন। খেয়াল রাখুন গরম পানি যেন সহনশীল হয়।

* এপসম সল্ট: পানিতে এপসম সল্ট মিশিয়ে পায়ের ফোলাকে ভিজালে কার্যকর ফল পেতে পারেন। ধারণা করা হয় যে এপসম সল্টের ম্যাগনেসিয়াম সালফেট রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে পারে ও ফোলা কমাতে পারে। তবে এই বিষয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণা এখনো সীমিত। কুসুম গরম বা ঠান্ডা পানিতে আধ কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে ১০-২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন।

* এক্সারসাইজ: এই পরামর্শটাকে অযৌক্তিক মনে হতে পারে যে পায়ের ফোলা কমাতে পায়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এক্সারসাইজ করুন। কিন্তু প্রকৃত সত্য হলো পায়ের মাংসপেশিকে ব্যবহার করলে তরল সরে গিয়ে ফোলা কমে যায়। নিয়মিত এক্সারসাইজ করলে পায়ের ফোলা প্রতিরোধ হতে পারে। একটানা অনেকক্ষণ বসে থাকাও ঠিক নয়। দীর্ঘসময় বসে না থেকে নির্দিষ্ট সময়ান্তরে হাঁটাচলা করুন। এতেও পায়ের ফোলা প্রতিরোধ হতে পারে। পায়ের ফোলা নিয়ে এক্সারসাইজ করতে খুব ব্যথা লাগলে সাঁতার কাটার মতো নন-ওয়েট-বিয়ারিং এক্সারসাইজ করতে পারেন।

* এলিভেশন: পায়ের ফোলা কমাতে এলিভেশন করতে পারেন, অর্থাৎ পা-কে হার্ট লেভেলের ওপরে রাখতে হবে। চিৎ হয়ে শুয়ে পা-কে কিছু মিনিট দেয়ালের সাপোর্টে ওপরে তুলে রাখুন। প্রক্রিয়াটি প্রতিদিন কয়েকবার রিপিট করুন। এছাড়া ঘুমানোর সময় পা-কে বালিশ বা বোলস্টারের ওপর রাখতে পারেন। বসা/শোয়া অবস্থায় পা-কে হার্ট লেভেলের ওপরে রাখলে ফোলা কমে যেতে পারে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Day Long Package

মূল্য: ৩,০০০ টাকা

* ম্যাগনেসিয়াম: শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের অভাব হলে পায়ে পানি জমতে পারে ও ফুলে যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্রতিদিন ২০০ থেকে ৪০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সাপ্লিমেন্ট সেবন করতে পারেন, যদি কিডনি বা হার্টে সমস্যা না থাকে। ডায়েটে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সংযোজন করেও মিনারেলটির ঘাটতি মেটাতে পারেন, যেমন- গাঢ় সবুজ শাকসবজি, বাদাম ও ডার্ক চকলেট।

* লবণ সীমিতকরণ: খাবারে লবণের ব্যবহার কমালে পায়ে পানি জমার প্রবণতা ও ফোলা কমবে। উচ্চ লবণাক্ত খাবারের কিছু উৎস হলো- চিপস, ফাস্ট ফুড ও প্যাকেটজাত খাবার। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন রক্তচাপ কমাতে দৈনিক ২,৩০০ মিলিগ্রামের বেশি লবণ খেতে অনুৎসাহিত করেছে। আরো ভালো হয়, যদি ১,৫০০ মিলিগ্রামে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেন।

* পানি পান: পায়ে পানি জমে পা ফুলে গেলে এই পরামর্শটাকে যুক্তিহীন মনে হতে পারে যে বেশি করে পানি পান করুন। কিন্তু বাস্তবতা হলো, প্রতিদিন আট গ্লাস বা আরো বেশি পানি পান করলে পায়ের ফোলা কমতে পারে ও প্রতিরোধ হতে পারে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



৩১২ বার পড়া হয়েছে