স্তন ক্যানসার—শব্দটি কানে এলেই আমাদের চোখে ভেসে ওঠে নারীদের মুখ। আমরা প্রায় সবাই মনে করি যে স্তন ক্যানসার তো নারীদের রোগ! একেবারেই ভুল ধারণা। রোগটি পুরুষেরও হতে পারে। আরও দুশ্চিন্তার কথা হলো সাম্প্রতিককালে পুরুষদের এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে!
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যানসার সোসাইটির আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, ২০১৫ সালে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছিলেন ২ লাখ ৩১ হাজার ৮৪০ জন নারী। সে বছর একই রোগে ভুগেছেন ২ হাজার ৩৫০ জন পুরুষ। এর মধ্যে আনুমানিক ৪৪০ জন পুরুষের এ বছর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত নারীদের তুলনায় পুরুষদের হার বেশ কম মনে হতে পারে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, নারীদের তুলনায় পুরুষদের স্তন ক্যানসার বেশি বিপজ্জনক।
লুইভিলের নরটন ক্যানসার ইনস্টিটিউটের
‘অনকোলজিস্ট’ জ্যানেল সেগের যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ‘ইউএসএ টুডে’কে
জানিয়েছেন, পুরুষের স্তনে কোষের সংখ্যা কম থাকাটা আশীর্বাদের সঙ্গে
অভিশাপও। পুরুষের স্তনে কোষের ঘনত্ব বেশ কম। এ কারণে স্তন ক্যানসারে
আক্রান্ত হলে ভেতরকার ‘গোটা’ শনাক্ত করা সহজ। আবার কোষের ঘনত্ব কম হওয়ায়
পুরুষের স্তন থেকে ক্যানসার ছড়িয়ে পড়ার হার অনেক বেশি। পুরুষের স্তনে
ক্যানসার শনাক্ত করার পর অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে, রোগটা ছড়িয়ে পড়েছে
দেহের অন্যান্য অংশেও।
পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৫ বছরে পুরুষের স্তন
ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার হার শতকরা ২৬ শতাংশ বেড়েছে। পুরুষদের স্তন
ক্যানসারের চিকিৎসায় ‘একটু দেরি’ প্রাণঘাতী হতে পারে। পুরুষদের স্তনকোষ
যেহেতু নারীদের মতো অতটা ঘন নয়, তাই সেখানে কোনো ‘টিউমার’ সৃষ্টি হলে তা
দ্রুতই পাঁজরের পেশি ও চামড়ায় ছড়িয়ে পড়ে। বিপদের এখানেই শেষ নয়।
চিকিৎসকদের মতে, স্তন ক্যানসার শনাক্ত করতে নারীদের নিয়মিত ম্যামোগ্রাফি
করার পরামর্শ দেওয়া হলেও পুরুষদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব নয়। কারণ, পুরুষদের
স্তনকোষ সুগঠিত নয়। তারপরও ৩৫ বছর বয়স থেকে প্রতি ছয় মাস অন্তর পুরুষদের
একবার করে পরীক্ষা করানো উচিত বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ভিয়েতনাম- ইন্দোনেশিয়া ৭দিন ৬ রাত
মিশর ভিসা (চাকুরীজীবী)
চল্লিশ ফিট রোডের সাথে ৫ কাঠা প্লট কিনুন ।
সূত্র: ইউএসএ টুডে, হাফিংটন পোস্ট, প্রথম আলো।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৯৪৫ বার পড়া হয়েছে