সম্প্রতি সরকার দেশের প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি দেশে বিভিন্ন এনজিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা নিয়ে নানা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন কারণে এনজিওগুলোর কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা রক্ষায় নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। গণশিক্ষা ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বিশেষ কর্মসূচি রয়েছে। আশা করা যায়, এ প্রতিষ্ঠানের উল্লিখিত কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকল্প এলাকার জনগণ বিশেষভাবে উপকৃত হবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচিতে শিশুদের নৈতিক শিক্ষার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়। বর্তমান বাস্তবতায় উন্নত নৈতিকতা ও উচ্চ মূল্যবোধের চর্চায় গুরুত্ব প্রদান করা কতটা জরুরি তা পুনরুল্লেখের প্রয়োজন নেই।
প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়ের বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উন্নত মূল্যবোধ ও উচ্চ নৈতিকতার বিষয়ে কী ধরনের শিক্ষা পাচ্ছে তা এক বিশেষ গবেষণার বিষয়। এ পর্যায়ের শিক্ষক একজন শিক্ষার্থীর সমগ্র জীবনকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে থাকেন, কারণ এ পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা নরম কাদামাটির মতো। তাদের এখন যে শিক্ষা প্রদান করা হবে, সেটাই তাদের ভবিষ্যৎ জীবনে চলার পথের সোপান হবে। তাই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাকে কতটা গুরুত্ব প্রদান করা আবশ্যক, তা নিয়ে দেশের শিক্ষাবিদরা প্রতিনিয়ত আলোচনা করে যাচ্ছেন।
বর্তমানে সারা দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীন মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে ৭৩ হাজারের বেশি শিক্ষাকেন্দ্র চালু রয়েছে, যেখানে ২৮ হাজারের বেশি কেন্দ্রে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদান করা হয়। একই বিষয়ে যেহেতু সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে অনেক কর্মসূচি চলমান, তাই এ ক্ষেত্রে সমন্বয়ে যাতে কোনো অসুবিধা সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে উল্লিখিত ও বাস্তবায়িত কর্মসূচি যথাযথ হওয়াও জরুরি।
আমাদের দেশের সামাজিক ও ধর্মীয় মূলবোধে হাজার বছরের ঐতিহ্য রয়েছে; যার মূল কথাটা হচ্ছে-অগ্রজদের প্রাপ্য মর্যাদা দিতে হবে, তাদের সঠিক পরামর্শ শুনতে হবে, গুরুজন কষ্ট পাবেন এমন কোনো কাজ করা যাবে না; বাবা-মা-অভিভাবক, এমনকি প্রতিবেশী বা আত্মীয়স্বজনের মর্যাদাহানি ঘটে এমন কোনো কাজ করা যাবে না। অর্থাৎ একজন আদর্শ মানুষের যেসব মৌলিক গুণ থাকা দরকার সে বিষয়গুলো কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত শিক্ষাকেন্দ্রের প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরা হয়। কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত শিক্ষকদেরও অব্যাহত প্রশিক্ষণের আওতায় রাখা হয়। ফলে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে শিক্ষা প্রদান করতে সক্ষম হন। প্রাক-প্রাথমিকের এ শিক্ষার্থীরা এক সময় আমাদের এ শিক্ষা সম্পন্ন করে কর্মসূচির আওতার বাইরে চলে যায়। তারা যখন মাদ্রাসা ও স্কুলের বিভিন্ন শ্রেণিতে অধ্যয়ন করে তখন আমাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়। ফলে তারা যাতে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষাটা ধরে রাখার চেষ্টা করে সে জন্যও তাদের নানাভাবে উদ্বুদ্ধ করা হয়। শুধু তাই নয়, উচ্চশিক্ষা অর্জনে বা কর্মক্ষেত্রে এসব শিক্ষার্থী যখন বিশেষ সফলতা লাভ করে তখন তাদের অভিজ্ঞতা কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত নতুন শিক্ষার্থীরা যাতে বিস্তারিত জানাতে পারে সে জন্যও পদক্ষেপ নেওয়া হয়। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিষয়ক কর্মসূচিগুলো অব্যাহত থাকবে এবং আরও বিস্তার লাভ করবে, এটাই প্রত্যাশা। সব ধরনের প্রাথমিক ও প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষা প্রদান নিশ্চিত করার বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
ফিচার বিজ্ঞাপন
জাকার্তা ও বালি ৭দিন ৬ রাত
জাপান ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
১৬ আনি মুন্সীগঞ্জ প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
মো. মোস্তাফিজুর রহমান : গবেষক
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
২৩০ বার পড়া হয়েছে