ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন শ্যামপুর খাল। খালের মুখে প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে ছিলো ৮ ফুট। আর ৯২ ফুটই অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিয়েছিলন। সিটি করপোরেশন ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই সেই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করে। আবর্জনা পরিষ্কারের মাধ্যমে খালে শুরু হয় পানি প্রবাহ। বর্তমানে সেই খালের প্রায় ৭৫ ভাগ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদসহ আবর্জনা পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছে সিটি করপোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ১৩টি খালের মধ্যে সাতটি খালের অবৈধ স্থাপনা ও পাঁচটি কালভার্টের মধ্যে দুটি থেকে প্রায় ২ লাখ টন বর্জ্য পরিষ্কার করেছে ডিএসসিসি।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, সিটি করপোরেশনের জিরানী খাল, মান্ডা খাল, শ্যামপুর খাল, কদমতলা খাল, কমলাপুর খালসহ সাতটি খালের ২৫ থেকে ৩০ কিলোমিটার পানির প্রবাহ শুরু হয়েছে। তবে এখনো খালে বর্জ্য ফেলা কমেনি মানুষের। আমরা চেষ্টা করব সব খালই পর্যায়ক্রমে দখলমুক্ত করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনতে।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মতো ওয়াসার কাছ থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পরেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনও ১৮টি খালের অবৈধ স্থাপনা ও বর্জ্য পরিষ্কার করে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করছে। এ বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এম সাইদুর রহমান বলেন, আমরা পর্যায়ক্রমে আমাদের ২৭টি খালেরই পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনার কাজ করব।
ঢাকার ২৬টি খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এরপর থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের অংশ হিসেবে খাল ও নালা পরিষ্কার ও দখলমুক্ত করতে টানা অভিযান পরিচালনা করছে দুই সিটি করপোরেশন।
ঢাকায় খালের সংখ্যা নিয়েও রয়েছে মতভেদ। নদী নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টারের ২০২০ সালের জরিপের তথ্য অনুযায়ী ঢাকায় ৭৩টি খাল রয়েছে। তবে ২০১৬ সালে করা ঢাকা জেলা প্রশাসনের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী খালের সংখ্যা ৫৮টি। তখন জেলা প্রশাসনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, এসব খালের মধ্যে ৩৭টি খালেই দখলদার রয়েছে। ফলে এসব খাল স্বাভাবিক প্রবাহ হারিয়েছে। আর বাকি সব কটি খালের জায়গায় রাস্তা হয়েছে। এদিকে সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে তারা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে খাল উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে। আর এ পর্যন্ত খাল উদ্ধারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রায় ১ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। দক্ষিণ সিটি করপোরেশন খাল উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সরকারের কাছে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে। আর উত্তর সিটি করপোরেশন খাল উদ্ধার ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Moscow, Novosibirsk & Irkutsk 7D/6N
Sheraton Maldives Full Moon Resort 3D/2N
ভুঁড়ি কমান, সুস্থ থাকুন
খাল উদ্ধারের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস বলেন, আমরা গত জানুয়ারি থেকে খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ শুরু করেছি। আমরা খাল থেকে প্রায় ২ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করেছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সবগুলো খালে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনব।
Source: Ittefaq
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩০০ বার পড়া হয়েছে





