পুরান ঢাকা যেমন রাজধানীর ঐতিহ্য বহন করে চলেছে, তেমনি এই জায়গা নিয়ে স্থানীয়দের দীর্ঘশ্বাসও কম নেই। তাদের সবচেয়ে বড় অভিযোগ, রাজধানীর অন্যান্য জায়গার মতো পুরান ঢাকায় লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। সত্যি বলতে পুরান ঢাকা যেন পুরোনোই রয়ে গেছে! কিন্তু পাঠকের এই ধারণা বদলে যাবে মালিটোলা পার্কে গেলে।
যারা মনে করেন পুরান ঢাকা মানেই ঘিঞ্জি পরিবেশ। নিঃশ্বাস নেয়ার জন্য নেই খোলা জায়গা। তারাও অবাক হবেন মালিটোলা পার্ক দেখে। ইংলিশ রোডে অবস্থিত চিত্রা সিনেমা হলের সামনে এই পার্কের অবস্থান। গত রবিবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় গিয়ে দেখা গেল পার্ক প্রায় ফাঁকা। অর্থাৎ লকডাউনের প্রভাব। তারপরও পার্কের বেঞ্চে ছিড়িয়ে ছিটিয়ে বসে আছেন কয়েকজন শ্রমজীবী মানুষ। পাশেই লোহালক্করের দোকানে কাজ করেন তারা। কাজ শেষে ক্লান্তি ভুলতে আড্ডা দেন পার্কের বেঞ্চে বসে।
রায় সাহেব বাজার মোড় থেকে তাঁতীবাজার মোড় পর্যন্ত বাঁ পাশের রাস্তার অর্ধেকজুড়ে মালিটোলা পার্ক। পার্কের বেঞ্চে বসা আকতার আলী জানালেন, এক সময় পার্কের সবুজ ঘাস, গাছপালা বা বিশ্রামের জায়গা ছিল না। পার্কের একপাশে ছিল কোমর সমান উঁচু দেয়ালঘেরা বস্তার স্তূপ। অন্য অংশে থাকত প্লাস্টিক আর রাবারের পাইপ। অর্থাৎ আশপাশের ব্যবসায়ীরা দোকানের মালামাল পার্কে রাখতেন। ময়লা-আবর্জনাও ফেলে রাখা হতো। পার্কের জমিটাও ছিল অসমতল। এ ছাড়া দিনের বেলা ট্রাকস্ট্যান্ড হিসেবে পার্কটি ব্যবহৃত হতো। ফলে যানজট লেগে থাকতো এই এলাকায়। এলাকাবাসী পার্কটি ব্যবহার করার সুযোগ পেত না।
তবে এখনকার চিত্র একেবারে ভিন্ন। গড়ে উঠেছে পার্কের অবকাঠামো। বিশ্রাম নেয়ার স্থান, ওয়াক ওয়ে এবং ব্যায়ামের জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে জায়গা। মালিটোলার বাসিন্দা মাজেদ হোসেন বলেন, আগে আমরা কেউ পার্কটি ব্যবহার করতে পারতাম না। স্থানীয় ব্যবসায়ী, শ্রমিকদের দখলে এটি ছিল। এখন বেশ গোছানো অবকাঠামো তৈরি হয়েছে। এখন কাজ হলো পার্কটিকে ময়লা আবর্জনা মুক্ত রেখে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্যবহার করা।
ফিচার বিজ্ঞাপন
জাপান ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
Moscow, Novosibirsk ,Irkutsk & St.Petersburg 9D/8N
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
জানা যায়, মালিটোলা, জনসন রোড, ইংলিশ রোড এলাকার বাসিন্দাসহ পথচারীদের অবসর বিনোদনের কথা বিবেচনা করে স্বাধীনতার কয়েক বছর পর পার্কটি নির্মাণ করে ঢাকা সিটি করপোরেশন। ৯০-পরবর্তী কয়েক বছর মোটামুটি প্রাণবন্ত ছিল পার্কটি। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে কতিপয় দুস্কৃতকারী পার্কের বিভিন্ন উপকরণ চুরি করে নিতে নিতে পার্কটি উজাড় করে ফেলে। পরে ২০১৬ সালে পার্কটি উদ্ধার করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। তারা গ্রিন ও ক্লিন ঢাকার অংশ হিসেবে একটি প্রকল্প হাতে নেয়। ঢাকা মহানগন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ‘জল-সবুজের ঢাকা’ প্রকল্পের আওতায় মালিটোলা পার্কটির সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে। তবে এলাকার আরো কিছু পার্কে এখনও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ বাকি আছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেগুলো শেষ হয়ে যাবে।
Source: Risingbd
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন২৮৬ বার পড়া হয়েছে




