করোনাভাইরাসের কারণে বর্তমানে বন্ধ আছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বাসাতেই থাকতে হবে। এমন অবস্থায় শিক্ষার্থীরা চাইলে অনলাইনে নিজেদের পড়াশোনা, প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারে। অনলাইনে রয়েছে এমন অনেক সফটওয়ার ও বিকল্প পদ্ধতি। আজ থাকছে অনলাইনে পড়াশোনার প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য এমন ৭টি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা।

জুম

অধিকাংশ সময় অফিসের কাজে ব্যবহূত হলেও চাইলে জুমকে বানিয়ে নেওয়া যায় ক্লাসরুম। চমকপ্রদ একটি সফটওয়্যার এই জুম। বিনা মূল্যে ব্যবহারের সুযোগ থাকলেও সামান্য কিছু টাকা খরচ করলে আরও আধুনিক সেবা দিতে পারে সফটওয়্যারটি। ১০০ জন একই সঙ্গে একই ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দিতে পারেন। বিনামূল্যে ব্যবহার করলে প্রতিটি কনফারেন্সের সময় হবে ৪০ মিনিট। ব্যবহারকারী আইডিভিত্তিক ব্যক্তিগত মিটিং এবং গ্রুপ মিটিং আয়োজন করতে পারেন। বাস্তবের ক্লাসের মতোই এই সফটওয়্যারে প্রশ্ন করার জন্য হাত তোলার সুযোগ থাকছে। এ ছাড়া কেউ কিছু লিখে বোঝাতে চাইলে প্রতিটি স্ট্ক্রিনে ভেসে উঠবে একটি হোয়াইট বোর্ড।

কোর্সেরা

বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ৪ কোটি ৭০ লাখ শিক্ষার্থী-শিক্ষক এক হওয়ার সুযোগ পান কোর্সেরা (িি.িপড়ঁৎংবৎধ.ড়ৎম) পল্গ্যাটফর্মে। কোর্স ফি দিয়ে যে কেউ বিভিন্ন বিষয়ের নামি অধ্যাপকদের কোর্সে অংশ নিতে পারেন, কিন্তু কভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়ার পর এ সময় শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে ৪০০ বিষয়ে ৩ হাজার ৮০০টি কোর্স বিনামূল্যে দিচ্ছে কোর্সেরা। তবে এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে (www.coursera.org/coronavirus)  লিঙ্কে আবেদন করতে হবে। তারপর ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের বাছাই করা কোর্সগুলোতে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। কোর্সেরাতে বিশ্বমানের অধ্যাপক ও প্রফেশনালরা কোর্স পরিচালনা করেন। তাই কোর্সের মান তুলনামূলক ভালো। ভিডিও ক্লাসের পাশাপাশি থাকে কুইজ পর্ব। আর কোর্স শেষে মিলবে অনলাইন সনদ।

ইউটিউব লাইভ

ভিডিও শেয়ারিংভিত্তিক সবচেয়ে বড় সাইট হচ্ছে ইউটিউব। কেউ চাইলে তার নির্ধারিত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে চালু করতে পারেন চ্যানেল। চ্যানেলে বিষয়ভিত্তিক ক্লাসের ভিডিও আপলোড করা যাবে। চাইলে সেই ভিডিওতে ‘প্রাইভেট’ অপশন চালু করে শুধু নির্ধারিত শিক্ষার্থীদের দেখানো যাবে। আবার একবারে সব ভিডিও আপলোড করে কোর্সের নির্ধারিত সময়ে ভিডিও প্রিমিয়ার করা যাবে। সারা বিশ্বে গোটা কয়েক দেশ বাদে সব জায়গায় ইউটিউব কাজ করে। ভিন্ন ভিন্ন ইন্টারনেট সুবিধা আর রেজুলেশনের ছক মিলিয়ে ইউটিউব হয়ে উঠতে পারে অনলাইন ক্লাসের চমকপ্রদ সমাধান।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Premium Villa

মূল্য: ১৩,৫০০ টাকা/রাত

গুগল ক্লাসরুম

আমাদের দেশে অনেক শিক্ষকই এখন গুগল ক্লাসরুম ব্যবহার করে ক্লাস নিচ্ছেন। বিনামূল্যে কোনো শিক্ষক চাইলে গুগল স্যুটে নিবন্ধন করতে পারেন। তারপর নির্ধারিত কোড দিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন ওই ক্লাসে। একটি কোর্সে অসংখ্য ক্লাসের পাশাপাশি ২০ জন শিক্ষক তাদের ক্লাস যুক্ত করতে পারবেন। অ্যাসাইনমেন্টের জন্য গুগল ফরম, গুগল ডক, গুগল ড্রাইভ ও ইউটিউব ভিডিও যুক্ত করার সুযোগ থাকছে। ক্লাসরুমে থেকে যাওয়া ক্লাসের ভিডিওগুলো পরেও দেখা যাবে। শুধু কম্পিউটার নয়, যে কোনো ডিভাইস থেকে শিক্ষার্থীরা অংশ নিতে পারবেন অনলাইন ক্লাসে। (classroom.google.com/)

ফেসবুক লাইভ

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে পড়াশোনার ক্লাসরুম বানিয়েও কাজে লাগাতে পারেন যে কেউ। কোর্সভিত্তিক আলাদা গ্রুপে লাইভ ক্লাস নেওয়া যেতে পারে। এ ছাড়া যে কোনো ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন, নোটস বিনিময়ের সুবিধা তো থাকছেই। লাইভ ক্লাস চলাকালে কমেন্টে শিক্ষার্থীরা জানাতে পারবেন তাদের সমস্যার কথা। ঠিক ওই সময়ে ক্লাসে উপস্থিত না থাকতে পারলেও পরে গ্রুপে ভিডিও হিসেবে থেকে যাবে এই লাইভ ক্লাসগুলো। তাই কোনো শিক্ষার্থী লাইভ ক্লাস মিস করে গেলেও পরে গ্রুপের ওয়াল থেকে জেনে নিতে পারবেন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



২৯৫ বার পড়া হয়েছে