বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্রে জানা গেছে, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে নিয়মিত তিনটি ফেরি চলত। কনক চাঁপা, কিষাণী ও কুসুম কলি নামের ওই তিন ফেরি প্রতিদিন দুটি করে ট্রিপ (দুবার যেত, দুবার আসত) দিত। এতে দুই পারের গাড়ি পারাপার স্বাভাবিক ছিল। কয়েক দিন আগে কিষাণী নামের ফেরিটি বিকল হয়ে যায়। এ ছাড়া কয়েক দিন ধরে মেঘনায় স্রোত বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এসব কারণে ভোলার ইলিশা ও লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটে গাড়ির দীর্ঘ সারি সৃষ্টি হচ্ছে।

বুধবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিনে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে গাড়ির জট দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন গাড়িচালক বলেন, তাঁরা ছয়-সাত দিন ধরে ঘাটে আটকে আছেন। মেঘনা নদীতে উজান থেকে নেমে আসা পানিতে তীব্র স্রোত সৃষ্টি, অমাবস্যার প্রভাবে জোয়ারের উচ্চতা বৃদ্ধিসহ ফেরিসংকটে ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে গাড়ি পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।

ট্রাকচালক আবদুর রহমান বলেন, ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নদী পারাপারে সময় বেশি লাগছে। এতে ফেরির ট্রিপ কমে গেছে। আবার জোয়ারের সময় ঘাট ডুবে যাচ্ছে। সে কারণেও যান ওঠানামা করতে সময় বেশি লাগছে। এ কারণে দুই পারে যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। বুধবার কমপক্ষে ভোলার ইলিশা ফেরিঘাটে ১৬০টিসহ দুই ঘাটে তিন শতাধিক যান আটকে ছিল।

কাভার্ড ভ্যানের চালক হাসনাইন বলেন, গত রোববার বরিশাল থেকে ধান নিয়ে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়ে ভোলার ইলিশা ঘাটে এসে আটকে আছেন। ফেরি বন্ধ থাকায় এখনো সিরিয়াল পাননি। আগে এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে যেতে একটি ফেরির আড়াই ঘণ্টা সময় লাগত। কিন্তু মেঘনায় স্রোত বৃদ্ধি পাওয়ায় এক ঘাট থেকে অন্য ঘাটে যেতে সাড়ে তিন ঘণ্টা সময় লাগছে।

পণ্যবাহী গাড়ির আরও কয়েকজন চালক বলেন, ঘাটে আটকে থেকে প্রতিদিন তাঁদের ৮০০-৯০০ টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে। এ নৌপথের কিষাণী ফেরিটি সাত-আট দিন ধরে ডকইয়ার্ডে বিকল হয়ে আছে। দুটি ফেরি দিয়েই চলছে যানবাহন পারাপার। ঘাটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে আছে কাঁচা ও পচনশীল পণ্য। এতে পণ্যবাহী গাড়ির চালক ও ব্যবসায়ীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kandy, Nuwara Eliya & Colombo 5D/4N

মূল্য: 30,900 Taka

Siliguri – Gangtok (Sikkim) 6D/5N

মূল্য: ২০,৫০০ টাকা

Cairo, Alexandria & Sharm El Sheikh 6D/5N

মূল্য: 57,900 Taka

বিআইডব্লিউটিসির ভোলার ইলিশা ঘাট ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান বলেন, এ নৌপথে নিয়মিত তিনটি ফেরি চলাচল করে। এর মধ্যে কয়েক দিন আগে কিষাণী নামক ফেরিটি বিকল হয়ে যায়। তবে বুধবার ‘কদম’ নামের একটি ফেরি ভোলা-লক্ষ্মীপুর নৌপথে সংযুক্ত হয়। এটি চলাচল শুরু হলে গাড়ি পারাপার স্বাভাবিক হবে।

ইলিশা ঘাট ব্যবস্থাপক মো. পারভেজ খান আরও বলেন, উজানের পানির ঢলে মেঘনা নদীর পানি ও স্রোত অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে জোয়ারের সময় ইলিশা ঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও গ্যাংওয়ে ডুবে যাচ্ছে, এ সময় ফেরিতে যান ওঠানামা বন্ধ থাকে। এ সমস্যা সমাধান করতে কাজ চলছে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১৫১ বার পড়া হয়েছে