বাঙালির ঘরেই কেবল নয়, ফ্রিজ ঠাঁই পেয়েছে বাংলা কাব্যসাহিত্যেও। কবি শামসুর রাহমানের কবিতার চরণ দিয়েই শুরু করলাম। ফ্রিজে খাবার যেমন ভালো থাকে, তেমনি আবার ফ্রিজ থেকে উৎপত্তি হতে পারে উৎকট গন্ধেরও।
ফ্রিজের ‘নরমাল’ অংশের তাপমাত্রা ৩৫-৪০ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা ৩.৫-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখুন, আর ডিপ ফ্রিজের তাপমাত্রা রাখুন -১৭ (মাইনাস ১৭) ডিগ্রি সেলসিয়াস বা এর কাছাকাছি। ফ্রিজের খাবারের পরিমাণের ওপরও নির্ভর করে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রা। কাঁচা খাবার (সবজি-ফলমূল) খোলা না রেখে আলাদা আলাদা ছোট জিপার ব্যাগে রাখতে হবে। কাঁচা মাছ মাংস অবশ্যই ডিপ ফ্রিজে আলাদা আলাদা প্যাকেটে রাখতে হবে। এমন নানা নিয়মকানুন, যা মেনে চলতে হবে ফ্রিজের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে এবং খাবারের স্বাদ-গন্ধ ঠিক রাখতে, তা জানালেন রন্ধনবিদ সেলিনা আক্তার।
সেলিনা আক্তারের ভাষায়, ‘বাসায় একটি ফ্রিজ থাকা মানে বাড়তি রান্নার চাপ থেকে মুক্ত থাকা। শহুরে ব্যস্ত জীবনে গৃহকর্তার যেমন প্রতিদিন বাজারে দৌড়ানোর সময় হয় না, তেমনি গৃহকর্ত্রীরও সব সময় হেঁশেলে ঢোকার সময়-সুযোগ হয় না। আর এ জন্যই রান্না ও কাঁচা সব রকম খাবারই ফ্রিজে সংরক্ষণ করা হয়। এই সংরক্ষণ প্রক্রিয়াটা সঠিকভাবে না জানার কারণে কখনো কখনো ফ্রিজে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে এবং ফ্রিজে রাখা খাবার নষ্টও হতে পারে।’
ফ্রিজে যাতে দুর্গন্ধ না হয়
রান্না করা খাবার সংরক্ষণ করতে হলে বাটিটা (ঢাকনাবিহীন হলে) প্লাস্টিকের স্তরে (অর্থাৎ প্লাস্টিক র্যাপ দিয়ে) মুড়িয়ে নিন কিংবা মুখবন্ধ বায়ুরোধী পাত্রে রাখুন।
একটি পাত্রে একবেলার জন্য প্রয়োজনীয় খাবারের বেশি পরিমাণ খাবার সংরক্ষণ করবেন না (অর্থাৎ, খাবার বের করার সময় একটি পাত্র থেকে খানিকটা নিয়ে আবার সেটি ফ্রিজে ওঠানোর প্রয়োজন যেন না পড়ে)। ‘ফ্রোজেন’ অর্থাৎ হিমায়িত সবজি বা ফলমূলও এমনভাবে ছোট ছোট বক্স বা পলিব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে, যা একবার বের করলে আর বাকি অংশ ফ্রিজে ওঠাতে না হয়। অবশ্য সবজি-ফলমূল হিমায়িত না করাই ভালো।
‘ফ্রোজেন ফুড’ বা হিমায়িত খাবার কখনো কাঁচা মাছ-মাংসের সঙ্গে রাখবেন না। বারবার ফ্রিজ খোলা-বন্ধ করা থেকে বিরত থাকুন। কাটা পেঁয়াজ-রসুন ফ্রিজে রাখবেন না (দুর্গন্ধের পাশাপাশি বিষক্রিয়ার ঝুঁকিও এড়াতে পারবেন)।
ফিচার বিজ্ঞাপন
SIliguri – Gangtok – Lachung (Sikkim) 7D/6N
ফিলিপাইন ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
কলম্বো ও ক্যান্ডি ৪দিন ৩ রাত
নিয়মিত যত্ন নিন
মাসে একবার ফ্রিজের বিদ্যুৎ–সংযোগ বন্ধ করে (সব খাবার বের করে) কুসুম গরম পানিতে ডিটারজেন্ট দিয়ে ফ্রিজ পরিষ্কার করুন। রোজ একবার ফ্রিজের ভেতরটা দেখে নিন। যেসব খাবার পচে যাওয়ার বা দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে মনে করছেন, সেগুলো বের করে ফেলুন।
মাঝেমধ্যে পানিতে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে তাতে কাপড় ভিজিয়ে নিয়ে ফ্রিজের ভেতরটা মুছে রাখুন। এ ছাড়া ঢাকনাবিহীন বাটিতে করে বেকিং সোডা (সামান্য পানিতে গুলে নেওয়া) ফ্রিজে রাখতে পারেন।
অসাবধানতায় কখনো কখনো ফ্রিজে দুর্গন্ধ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে ফ্রিজে এক কাপ সাদা ভিনেগার কিংবা এক টুকরা লেবু রেখে দিন। কিংবা কাপে খানিকটা কফির গুঁড়া নিয়েও রাখতে পারেন। দুর্গন্ধ চলে যাবে। বেঁচে যাওয়া পাউরুটিও একই কাজ করে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৬৯ বার পড়া হয়েছে