আপনি যদি ফ্ল্যাট কেনার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন তবে সঠিক ফ্ল্যাটটি দেখে-শুনে বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। আপনার একটু অসতর্কতার বা ভুলের কারণে আপনার সারা জীবনের সঞ্চয় ঝুকির মধ্যে পড়ে যাওয়া সমুহ আশংকা রয়েছে। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু বিষয় সামনে রেখে একটু সতর্কতা অবলম্বন করলে আশা করি সাচ্ছন্দেই আপনি খুঁজে নিতে পারবেন আপনার স্বপ্নের ফ্ল্যাটটি। আসুন জেনে নেওয়ার চেষ্টা করি কিছু বিষয়ঃ
- আপনার জন্য রয়েছে রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০। এটি সংগ্রহ করে একবার পড়ে নিতে পারেন। প্রয়োজনে এর সহায়তা নিতে পারেন।
ক্রেতা হিসেবে এই আইনে আপনি যেসব সুবিধা পাবেন: - এই আইনে বলা হয়েছে, চুক্তিতে ক্রয়-বিক্রয় সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য উল্লেখ করতে হবে।
- চুক্তিতে অবশ্যই যেসব উপকরণ ব্যবহার করা হবে তার বিবরণ থাকতে হবে। প্রণীত অনুমোদিত নকশা আবাসন নির্মাতা দিতে বাধ্য থাকবেন।
- চুক্তির ভিত্তিতে পছন্দসই ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেবেন এবং আপনার বিনা অনুমতিতে বরাদ্দ করা প্লট বা ফ্ল্যাট পরিবর্তন করতে পারবেন না।
- চুক্তিতে উল্লিখিত শর্তের বাইরে অতিরিক্ত কোনো অর্থ দিতে আপনি বাধ্য থাকবেন না। যদি কোনো উন্নতমানের সরঞ্জাম সংযোজনের দরকার হয়, তবে দুই পক্ষের পারস্পরিক সম্মতাতা ৬০ দিন আগে নোটিশ দিয়ে বরাদ্দ বাতিল করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে তিনি জমা করা অর্থ পরবর্তী তিন মাসের মধ্যে চেকের মাধ্যমে একসঙ্গে ফেরত দিতে বাধ্য থাকবেন। আপনি বিলম্বিত সময়ের জন্য কিস্তির অর্থের ওপর ১০ শতাংশ হারে সুদ প্রদান সহকারে কিস্তি পরিশোধ করতে পারবেন। এটি তিনবারের বেশি করতে পারবেন না।
- আবাসন নির্মাতা নির্দিষ্ট সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তরে ব্যর্থ হলে চুক্তিতে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণসহ সব অর্থ আপনাকে ছয় মাসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। আর চুক্তিতে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ না থাকলে তা পরিশোধিত অর্থের ওপর ১৫ শতাংশ হারে নির্ধারিত হবে।
- কোনো কারণে বরাদ্দ বাতিল করতে চাইলে আবাসন নির্মাতাকে আপনার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরিশোধিত অর্থের ১০ শতাংশ বাদ দিয়ে বাকি অর্থ তিন মাসের মধ্যে এককালীন চেক বা পে-অর্ডারের মাধ্যমে ফেরত দিতে হবে।
সুত্রঃ bosotvita
ফিচার বিজ্ঞাপন
কলম্বো ও ক্যান্ডি ৪দিন ৩ রাত
চায়না ভিসা (বিজনেসম্যান)
Water Lodge
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৫৩২ বার পড়া হয়েছে