একদা যেখানে ছিল ডোবা-নালা আর জঙ্গলে ঘেরা ভূমি। আবাদি-অনাবাদি তেপান্তরের মাঠ। খাল-বিল আর নদীবেষ্টিত অজোপাড়াগাঁ। সেই ভূমি এখন সোনার চেয়ে দামি। বলছি শহরের পাশের আরেক শহর রূপগঞ্জের পূর্বাচলের কথা। মাত্র কয়েকবছর আগের এই অচেনা জায়গাটি এখন রূপ নিচ্ছে বাংলাদেশের স্যাটেলাইট শহরে। নির্মিত হচ্ছে মালয়েশিয়ার পুত্রাজায়া শহরের আদলে রাজউক’র আধুনিক পূর্বাচল নতুন শহর। শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম, দেশের সবচেয়ে বহুতল আইকনিক টাওয়ার, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা, বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি, হাসপাতাল, সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর আবাসন প্রকল্প।

দেশের বর্তমানের সবচেয়ে আধুনিক নগর বসুন্ধরা আবাসন প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, মেট্রোরেল প্রকল্পসহ বহু নানন্দিক স্থাপনা। আধুনিক নগরায়নে প্রযুক্তিনির্ভর যন্ত্রপাতি নিয়ে রাতদিন কাজ করছেন হাজার হাজার মানুষ। পূর্বাচলে শুরু হয়েছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। নজরকাড়া স্থাপত্য শৈলীর মনোরম দৃশ্য সংযোজিত এই উপশহর হবে সর্বাধুনিক। এসব প্রকল্প বদলে দিয়েছে স্থানীয় মানুষের জীবনযাত্রা। নতুন শহরের হাতছানি নিয়ে ঢাকার পাশে একসময়ে অন্ধকারে থাকা রূপগঞ্জকে আলোকিত করছে আবাসন প্রকল্পগুলো। স্থানীয় মানুষের কাছে পুরো বিষয়টি এখনও অবিশ্বাস্য।

রাজউক (রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) সূত্রে জানা যায়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাজধানীর পূর্ব প্রবেশদ্বার রূপগঞ্জের পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের মোট আয়তন ৬ হাজার একরের বেশি। পুরো প্রকল্পটি ৩০ সেক্টরে বিভক্ত। আবাসিক প্লটের সংখ্যা ২৫ হাজার। ২০ তলাবিশিষ্ট একাধিক ভবনে থাকছে ৬০ হাজার প্লট। ২০১৫ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়নের কথা থাকলেও নানা জটিলতায় সময় বাড়িয়ে তা ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছে। পূর্বাচলের ১ নং সেক্টরে ৩৭, ৪৯ একর জমির ওপর ৫০ হাজারের অধিক দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম প্রকল্পের কাজ অনেকটা এগিয়ে গেছে। এখানে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট কমপ্লেক্সও তৈরি হবে। পূর্বাচলের ১৫ নং সেক্টরে ৩১৯ একর জমির ওপর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করা হয়েছে দৃষ্টিনন্দন বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের। ঐতিহাসিক এ স্থাপনায় স্থান পাবে স্বাধীনতার পূর্ববর্তী ইতিহাসসহ ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত স্মৃতি ও দালিলিক ইতিহাস। প্রস্তাবিত আইকনিক টাওয়ার বা ১৪২ তলা বিশিষ্ট আকাশচুম্বী ভবন নির্মিত হবে পূর্বাচলের ১৯ নং সেক্টরে। ৭৩৪ মিটার বা ২৪০৮ ফুট উচ্চতার এ ভবন হবে পৃথিবীর অন্যতম উচ্চতর টাওয়ার। এছাড়া গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রস্তাবিত ৪ ও ৫ নং সেক্টরের সংযোগস্থলে ১১১, ৭১ ও ৫২ তলা বিশিষ্ট আকনিক ট্রাইটাওয়ার নির্মাণ করছে যৌথভাবে শিকদার গ্রুপ ও কাজিমা কর্পোরেশন জাপান। ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিতে ৫২তলা ভবন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিতে ৭১তলা ভবন ও শেখ হাসিনা লিগ্যাসি স্মরণে ৯৬ তলায় মিউজিয়ামসহ ১১১ তলা ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়া সিবিডিতে গড়ে উঠবে ৪০ তলার আরো ৪৯টি ভবন। পূর্বাচলের ৪ নং সেক্টরে আগামী বৈশাখে ‘চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার’-এ শুরু হবে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা।

পূর্বাচলের দক্ষিণ পাশে নিজস্ব জমিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছে তাদের নিজস্ব আবাসনস্থল। আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা রেখে এ প্রকল্পে ইতিমধ্যে নির্মান করেছে ৩টি বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যেমের স্কুল, সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় আবাসন প্রকল্পের কাজও চলমান রয়েছে। উপজেলার কায়েতপাড়া ও কাঞ্চনে গড়ে উঠছে পুলিশ অফিসার্স আবাসন প্রকল্প। পুলিশ বাহিনীর এই নগরেও থাকবে আধুনিক সকল সুযোগ-সুবিধা। পূর্বাচলের চারপাশ জুড়েই রয়েছে বাংলাদেশের আধুনিক শহরের স্বপ্নদ্রষ্টা বসুন্ধরা আবাসন প্রকল্পের নিজস্ব আবাসিক অঞ্চল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসসহ দেশের সকল নামিদামি বিদ্যাপীঠ ও হাসপাতালের শাখা থাকবে এই নগরে। মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল এর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে পুরোদমে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Source: Prothomalo

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



২৭২ বার পড়া হয়েছে