কতভাবেই না ঘর সাজানো যায়। একটু শিল্পবোধ আর কিছু কৌশল প্রয়োগ করলেই আপনার ঘরটি হয়ে উঠতে পারে আরো নান্দনিক। আর ঘরের দেয়ালে যদি মানানসই করে রং ব্যবহার করা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। রং দিয়ে আপনি যেকোনো জায়গাকে হাইলাইট করতে পারেন খুব সহজেই। কিন্তু চাইলেই তো আর সব সময় হুট করে দেয়ালের রং পাল্টে ফেলা যায় না। এটা অনেক সময়সাপেক্ষ ব্যাপার। আর খরচটাও এ ক্ষেত্রে কম না।
তাই আধুনিক জীবনে রঙিন একটা ওয়ালপেপার চট করেই বদলে ফেলতে পারে আমাদের অন্দরমহলকে। কিন্তু আমরা অনেকেই বুঝতে পারি না এসব ওয়ালপেপার ঘরের কতটুকু জায়গায় ব্যবহার করব কিংবা কোন দেয়ালে কোন রংটা মানানসই হবে। এসব সমস্যা সমাধানে বিস্তারিত জানিয়েছেন ড্রিম টাচ ইন্টেরিয়রের চিফ ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট ইয়ামিন হোসেন রাফসান।
দেয়াল অনুযায়ী
সাধারণত দেয়ালের ডিজাইনে ভিন্নতা আনতে এবং আকর্ষণীয় করতে ওয়ালপেপার ব্যবহার করা হয়। ওয়ালপেপারের রং ও নকশা নির্ভর করে রুমের ডেকোরেশন এবং পুরো দেয়ালে রঙের ওপর। যেমন কোনো রুমের বেইজ যদি সাদাকালো হয়, তাহলে অবশ্যই সাদাকালোর মিশ্রণের ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে হবে। কিংবা গোলাপি রঙের রুমে গোলাপি অথবা গোলাপি-সাদার মিশ্রণের ওয়ালপেপার প্রাধান্য পাবে। তবে সাদা রঙের রুমে চাইলে আমরা যে কোনো রঙের ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারি। এ ক্ষেত্রে দেয়ালটি অনেক বেশি হাইলাইট হবে। লিভিং রুমে যেহেতু পর্দা অনেকটা জায়গা নিজেই সাজিয়ে তোলে, সেহেতু ওয়ালপেপার খুব বেশি জরুরি না। চাইলে যেকোনো এক অংশের দেয়ালে ওয়ালপেপার লাগিয়ে পুরো থিম বদলে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দেয়ালের রঙের সঙ্গে অবশ্যই সোফার মিল থাকতে হবে এবং পর্দার রঙের সঙ্গে মিল রেখে ওয়ালপেপার লাগাতে হবে। যেমন ধরুন, পুরো লিভিং রুমে সবুজ রঙের ছোঁয়া আছে সে ক্ষেত্রে গাঢ় সবুজ রঙের ওয়ালপেপার বেশ ভালো লাগবে। এখানে যদি নীল রঙের কোনো ওয়ালপেপার লাগান সে ক্ষেত্রে খুবই বেমানান মনে হবে।
চাইলে একটা কর্নার ওয়ালপেপার দিয়ে হাইলাইট করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বিভিন্ন নকশার ওয়ালপেপার ব্যবহার করতে পারেন এবং সেখানে লাগিয়ে দিন একটা স্পট লাইট। বেডরুমের ক্ষেত্রে বেডের মাথার দিকটায় ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। প্রকৃতির দৃশ্য আছে এমন ওয়ালপেপার বেডরুমে লাগালে ভালো হয়। তাহলে একটা সজীব অনুভূতি আসবে। সাধারণত বেডরুমে একটু হালকা আর কম নকশার ওয়ালপেপার লাগানোই ভালো। ডাইনিংয়ের জায়গায় একটা দেয়াল একটু ফোকাস করতে ওয়ালপেপার লাগানো যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পেইন্টিং ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। হালকা কমলা, নীল, সি গ্রিন রঙের ফ্লোরাল ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন। এর ফলে জায়গাটি প্রাণবন্ত মনে হবে। শিশুদের ঘরে দেয়ালজুড়ে কার্টুনের ওয়ালপেপার বেশ ভালো লাগবে। একেক অংশের দেয়ালে ভিন্ন ভিন্ন কার্টুন চরিত্রের ওয়ালপেপার লাগাতে পারেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ভুঁড়ি কমান, সুস্থ থাকুন
US Visa for Retired Person
Toyota Allion 2014 G Package
ধরন এবং ডিজাইন
ওয়ালপেপারে সাধারণত যে ডিজাইনগুলো করা হয় সেগুলোকে বলা হয় সারফেইজ প্রিন্টিং, গ্রাভিওর প্রিন্টিং, সিল্কস্ক্রিন প্রিন্টিং, রোটানি প্রিন্টিং ও ডিজিটাল প্রিন্টিং। ওয়ালপেপার অনেক বড় রোলের মতো করে পেঁচিয়ে রাখা হয়। যাতে দেয়ালের ওপর থেকে লম্বাভাবে ঝুলিয়ে দেওয়া যায়। ওয়ালপেপার সৃষ্টি হওয়ার পর থেকেই হ্যান্ডপ্রিন্ট ওয়ালপেপার, উডপ্রিন্ট ওয়ালপেপার, মেশিন প্রিন্ট ওয়ালপেপার এবং ফ্লোক ওয়ালপেপার ব্যবহার করা হতো। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ওয়ালপেপারের সাইজগুলোকে সঠিক মাপের ধরা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালপেপারগুলো সাধারণত ২৭ ইঞ্চি প্রস্থ বাই ২৭ ফিট (৮.২ মিটার) দীর্ঘ হয়ে থাকে। আর ইউরোপের ওয়ালপেপারগুলো ২১.৫ ইঞ্চি প্রস্থ বাই ৩৩ ফিট (১০মিটার) দীর্ঘ হয়। আমাদের দেশে বিভিন্ন সাইজের ওয়ালপেপার বিক্রি হয়। সিঙ্গেল ওয়ালপেপারও পেয়ে যাবেন খুব সহজে। আপনার দেয়ালের মাপ অনুযায়ী গজ হিসেবে ওয়ালপেপারগুলো কিনতে পারবেন।
কোথায় পাবেন
ঢাকার হাতিরপুল ও এলিফ্যান্ট রোড থেকে এ ধরনের ওয়ালপেপার কিনতে পারবেন। এ ছাড়া ঢাকার গ্রিন রোডে গ্রিন সুপার মার্কেটেও যেতে পারেন। তবে শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেট কিংবা নিজের ইচ্ছামতো বানিয়ে নিতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটেও খোঁজ নিতে পারেন। এর দাম নির্ভর করে উপাদান ও নকশার ওপর। সাধারণত গজ এক হাজার ২০০ থেকে পাঁচ হাজার টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন।
টিপস
• দেয়ালের মাপ অনুযায়ী ওয়ালপেপার কেটে নিন। এতে জোড়া পড়ার ঝামেলা থাকবে না।
• অতিরিক্ত ওয়ালপেপারগুলো সব দেয়ালের জন্য উপযুক্ত নয়।
• যেসব ওয়ালপেপার স্টিমের কারণে নষ্ট হয়ে যায়, সেগুলো বাথরুমে না লাগানোই ভালো।
• ড্যাম পড়া দেয়ালে ওয়ালপেপার নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।
• দেয়ালের প্লাস্টার খারাপ থাকলে আগে ঠিক করে নিতে হবে।
• ভালো ফিনিশিংয়ের জন্য প্রথমে পাতলা কোনো পেপার লাগিয়ে নিতে পারেন।
• দরজা বা জানালার মাপ ভালো করে দেখে ওয়ালপেপার লাগানো উচিত।
• পানি দিয়ে এসব ওয়ালপেপার মুছে পরিষ্কার করে নিতে পারেন। তবে বেশি ঘঁষামাজা করবেন না।
• পরিষ্কার করতে কোনো এসিড জাতীয় জিনিস ব্যবহার করবেন না।
• স্টিম দিয়ে ওয়ালপেপার পরিষ্কার করার কোনো প্রয়োজন নেই। উল্টো এতে ওয়ালপেপার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)১,৮৯৮ বার পড়া হয়েছে