প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের চির সবুজের দেশ বাংলাদেশ। এদেশে রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান। এই সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাংলাদেশের সেরা ১০টি দর্শণীয় স্থান সর্ম্পকে।

সেন্টমার্টিন:

বাংলাদেশের সর্ব দক্ষিণের বঙ্গোপসাগরে উত্তর পূর্বাংশে অবস্থিত একটি ছোট প্রবাল দ্বীপ (মাত্র ৮ কিলোমিটার)। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ হতে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণে ও মায়ানমার উপকূল হতে ৮ কিলোমিটার পশ্চিমে নাফ নদীর মোহনায় অবস্থিত। স্থানীয়ভাবে একে নারিকেল জিঞ্জিরাও বলা হয়।

কক্সবাজার:

বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলায় অবস্থিত এটি একটি সমুদ্র সৈকত। ১৫০ কিলোমিটার বা ৯৩ মাইল দীর্ঘ এই সৈকত পৃথিবীর দীর্ঘতম প্রাকৃতিক সমুদ্র সৈকত। কক্সবাজারের রয়েছে সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা ও নীল জলরাশির গর্জন যা কক্সবাজারকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়।

সুন্দরবন:

সুন্দরবন হলো বঙ্গোপসাগর উপকূলবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রশস্ত বনভূমি যা বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়াবলির অন্যতম। পদ্মা, মেঘনা ও ব্রহ্মপুত্র নদীত্রয়ের অববাহিকার বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত। ৬ ডিসেম্বর ১৯৯৭ খ্রিস্টাব্দে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬৬%) রয়েছে বাংলাদেশে এবং বাকি ৩,৪৮৩ বর্গ কিলোমিটার (৩৪%) রয়েছে ভারতের মধ্যে।

সাজেক ভ্যালি:

সাজেক ভ্যালি বাংলাদেশের দক্ষিণ পূর্বের জেলা রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি বিখ্যাত পর্যটন স্থল। মিজোরাম সীমান্তের কাছেই সাজেক ভ্যালি অবস্থিত। সকাল বিকাল এখানে প্রকৃতি তার রঙ বদলায়। চারপাশে সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো বিস্তীর্ণ পাহাড় সারি, আর তুলোর মতো মেঘ, এরই মধ্যে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে রয়েছে নৈস্বর্গিক সাজেক ভ্যালি।

টাঙ্গুয়ার হাওর:

টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের বৃহত্তম জলমহালগুলোর অন্যতম। বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে সুনামগঞ্জ জেলার ধর্মপাশা এবং তাহিরপুর উপজেলায় জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ মিঠা পানির এ হাওর বাংলাদেশের ২য় রামসার এলাকা। পাখিদের কলকাকলি মুখরিত টাঙ্গুয়ার হাওর মাছ, পাখি এবং অন্যান্য জলজ প্রাণীর এক বিশাল অভয়াশ্রম। এটি একটি মাদার ফিশারী। হিজল করচের দৃষ্টি নন্দন সারি এ হাওরকে করেছে মোহনীয়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

USA Visa (Lawyer)

মূল্য: 5,000 Taka

Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N

মূল্য: ৫৯,৯০০ টাকা

রাতারগুল হাওর:

সিলেটের গোয়াইনঘাটে অবস্থিত বাংলাদেশের একটি মিঠাপানির জলাবন। একসময় বাংলাদেশের একমাত্র জলাবন হিসেবে মনে করা হতো রাতারগুলকে। সিলেটের স্থানীয় ভাষায় মুর্তা বা পাটি গাছ “রাতা গাছ” নামে পরিচিত। সেই রাতা গাছের নামানুসারে এ বনের নাম দেওয়া হয় রাতারগুল।

নাফাখুম:

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি ইউনিয়নে এই জলপ্রপাতটি অবস্থিত। বান্দরবান হতে ৭৯ কি.মি. দুরে অবস্থিত থানচি। সাঙ্গু নদী ধরে রেমাক্রীর দিকে ধীরে ধীরে উপরে উঠতে হয় নৌকা বেঁয়ে। রেমাক্রী নদীতে এক ধরনের মাছ পাওয়া যায়, যার নাম নাফা মাছ। এ থেকে এই ঝর্ণার নাম দেওয়া হয়েছে নাফাখুম ঝর্ণা।

নিঝুম দ্বীপ:

নিঝুম দ্বীপ বাংলাদেশের একটি ছোট্ট দ্বীপ। এটি নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলার অন্তর্গত। নিঝুম দ্বীপের পূর্ব নাম ছিলো চর-ওসমান,বাউল্লার চর, আবার কেউ কেউ একে ইছামতীর চরও বলত। এ চরে প্রচুর ইছা মাছ (চিংড়ীর স্থানীয় নাম) পাওয়া যেত বলে একে ইছামতির চরও বলা হত। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকার পুরো দ্বীপটিকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।

কুয়াকাটা:

কুয়াকাটা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পটুয়াখালী জেলায় অবস্থিত। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যা পর্যটকদের কাছে “সাগরকন্যা” হিসেবে পরিচিত। এটি বাংলাদেশের একমাত্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত দুটোই দেখা যায়।

বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক:

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক বা সংক্ষেপে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক বাংলাদেশের গাজীপুর জেলাতে অবস্থিত। বাংলাদেশের সব থেকে বড় এবং সুন্দর পার্ক হচ্ছে এটি। এই পার্কে বিভিন্ন প্রজাতির পশু পাখি রয়েছে। বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক তৈরি করা হয়েছে থাইল্যান্ডের সাফারি পার্ক অনুসরণ করে।

আলোচনা করা হলো, বাংলাদেশের সেরা ১০ টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে। আপনি যদি একজন ভ্রমণ প্রিয় মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে আজকের এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক বেশি প্রয়োজনীয় হয়েছে বলে আশা করছি। আর দেরি না করে আপনার পছন্দের দর্শনীয় স্থান ভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ুন প্রিয়জনকে সাথে নিয়ে। আপনার ভ্রমণ সুন্দর হোক।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৯ বার পড়া হয়েছে