বাইক যখন দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা হয় তখন বাইকের পিস্টন খারাপ হয়ে যায় এবং সেটি পরিবর্তন করতে হয়। কিন্তু আপনি যদি আপনার বাইকের সিলিন্ডার পিস্টন পরিবর্তন করেন তাহলে নতুন অবস্থায় আপনাকে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাইকের পিস্টন চেঞ্জ করে আপনি যদি কিছু ভুল করেন তাহলে আপনার বাইকে যে পিস্টন আপনি লাগাবেন সেটাও বেশি দিন স্থায়ী হবে না। আজ আমরা এইগুলা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো,
বাইকের পিস্টন চেঞ্জ করলে যে সাবধানতা অবলম্বন করবেনঃ
আপনি যখনি আপনার বাইকের ইঞ্জিনের কোন কাজ করাবেন সবার আগে আপনাকে ভালো এবং অভিজ্ঞ একজন মেকানিক খুজে বের করতে হবে, কারন আপনার বাইকের ইঞ্জিনের কাজ যিনি করবেন তিনি যদি অভিজ্ঞ না হয় তাহলে আপনি ইঞ্জিনের কাজ করানোর পর বাইকটি ব্যবহার করে আর শান্তি পাবেন না।
১- ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ না করাঃ
আপনি যখন আপনার বাইকের সিলিন্ডার পিস্টন পরিবর্তন করবেন, তারপর ৫০০ থেকে ১০০০ কি.মি পর্যন্ত বাইকের ইঞ্জিনে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করবেন না। যতটুকু সম্ভব ফ্রি ভাবে বাইকটি চালানোর চেষ্টা করুন। এই সময় সবচেয়ে ভালো হয় যদি আপনি বাইকটি ৫০-৬০ কি.মি স্পীডের মধ্যে চালান। পিস্টন চেঞ্জ করার পর পর চেষ্টা করুন একা বাইক চালাতে, এই সময় বাইকে পিলিয়ন না নেয়াটা উত্তম। আর অনেকেই পুরো সিলিন্ডার পিস্টন চেঞ্জ না করে লেদ থেকে কাজ করিয়ে আংশিক পরিবর্তন করেন, কিন্তু ভালো ফল পেতে সিলিন্ডার পিস্টন সহ পরিবর্তন করলে ভালো।
২- ভালো ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করাঃ
বাইকের জন্য ইঞ্জিন অয়েল অনেক বেশি জরুরী, বাইকের পিস্টন পরিবর্তন পর অবশ্যই ভালো ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা জরুরী। পিস্টন পরিবর্তনের পর মিনারেল ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন এবং নতুন পিস্টন লাগানোর ৫০০ কি.মি পর ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করে ফেলুন। এতে করে আপনার বাইকে যে সিলিন্ডার পিস্টন লাগাবেন সেটা দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।
৩- পিস্টন পরিবর্তনের পর পর দূরের পথে যাত্রা না করাঃ
নতুন সিলিন্ডার পিস্টন লাগানোর পর অনেকেই লং ট্যুরে বের হয়ে যায়। কিন্তু এই কাজটি কখনো করা উচিৎ না, সিলিন্ডার পিস্টন পরিবর্তনের পর ৫০০ অথবা ১০০০ কি.মি আস্তে আস্তে বাইক চালান। বাইকের ইঞ্জিনে কোন সমস্যা মনে হলে অভিজ্ঞকারো সাহায্য নিন। বাইকের ইঞ্জিন খুললে ছোট ছোট কিছু সমস্যা থাকতে পারে, তাই ইঞ্জিনের কাজ করার পর পর বাইক নিয়ে দূরের পথে যাত্রা করা উচিৎ না, এতে পথের মধ্যে আপনি সমস্যায় পরতে পারেন।
৪- ইঞ্জিন অতিরিক্ত হিট হলে বাইক অফ রাখাঃ
এয়ার কুলড ইঞ্জিনের বাইকগুলোতে দেখা যায় সিলিন্ডার পিস্টন পরিবর্তন করলে প্রাথমিক অবস্থায় ইঞ্জিন অতিরিক্ত হিট হয়ে যায়। আবার অনেক সময় অতিরিক্ত হিটের জন্য বাইক বন্ধও হয়ে যায়। যদি এমনটা হয় তাহলে বাইকটি কিছুক্ষণ অফ রাখুন তারপর স্টার্ট দেয়ার চেষ্টা করুন।
৫- জেনুইন পার্টস ব্যবহার করুনঃ
অনেকেই কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে ইঞ্জিনে বিভিন্ন ধরনের কমদামী নকল পার্টস ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু এই ভুলটি কখনো করবেন না , কারন এই সব পার্টস আপনার বাইকের ক্ষতি করতে পারে। আর এই কিছু টাকা বাঁচাতে গিয়ে পরে দেখবেন আপনার বাইকের বেশ বড় কোন ক্ষতিও হয়ে যেতে পারে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Manila & Angeles City 5D/4N
Moscow, Novosibirsk & Irkutsk 7D/6N
Singapore Tour with Universal Studios & Sentosa 5D/4N
কিভাবে বুঝবেন আপনার বাইকের সিলিন্ডার পিস্টনে সমস্যা হয়েছে ?
বাইকের সিলিন্ডার পিস্টনে সমস্যা হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা যায়, তবে এর মধ্যে কিছু কমন লক্ষণ রয়েছে। যদি আপনার বাইকে এই সমস্যাগুলো দেখা দেয় তাহলে আপনার বুঝে নিতে হবে আপনার বাইকের সিলিন্ডার পিস্টনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
- আপনার বাইকের ইঞ্জিন অয়েল কমে যাবে ,
- ইঞ্জিনের সাউন্ড নষ্ট হয়ে যাবে,
- বাইকের থেকে সাইলেন্সর থেকে কালো ধোঁয়া আসবে,
- ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভাইব্রেশন ফিল করবেন,
- আপনার বাইকের টপ স্পীড ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
বাইকে এই সমস্যাগুলো প্রধানত সিলিন্ডার পিস্টন খারাপ বা দুর্বল হলে দেখা দেয়। তবে অন্য কারনেও আপনার বাইকে এর মধ্যে থেকে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বাইকের ইঞ্জিন ভালো রাখতে সব সময় ভালো মানের ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করুন এবং সঠিক সময়ে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন। আপনার বাইকের ইঞ্জিনের প্রতি যত্নশীল হউন দেখবেন আপনার বাইকের ইঞ্জিন অনেকদিন ভালো থাকবে।
source: bikebd
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২০২ বার পড়া হয়েছে