কোন বাইক কেনার সময় বাইকের মাইলেজ প্রায় সবার কাছেই একটা মেইন ফ্যাক্টর হয়ে দাড়ায় । মাইলেজের উপর ডিপেন্ড করেই বাইক চালানোর ডিসিশন নিয়ে থাকেন অনেকে । কারণ , একটা বাইকের বেশী মাইলেজ মানেই বাইকটির রানিং খরচ অনেক কম । কিন্তু , একটা বাইকের হাই মাইলেজ কী শুধুই মালিকের টাকাটা সেভ করে নাকি অন্য কোন ব্যাপার আছে । হ্যা , একটা বাইকের মাইলেজ একটা বাইক সম্পর্কে অনেক কিছুই বলে দেয় । বাইকের ইন্জিন হেলথ অনেকটাই মাইলেজের উপর ডিপেন্ড করে ।
দুটি একই কোম্পানীর একই বাইক , দেখা গেল একটা একটু বেশী মাইলেজ দিচ্ছে আরেকটা একটু কম । এর দ্বারা আমরা কী বুঝতে পারি ? যে বাইকটির মাইলেজ ভাল , সে বাইকটির মালিক বাইকটির ঠিকমত যত্ন নিয়ে থাকেন এবং সময় মত সার্ভিসিং ও টিউনিং করান । বাইকের ইন্জিন হেলথ মাইলেজের সাথে ডিরেক্টলি যুক্ত ।
আমার এমন একজনের সাথে কথা হয়েছিল যার একটি হিরো হোন্ডা হাঙ্ক রয়েছে ৪ বছর ধরে , এবং এই বাইকটি এখনও শহরে ৪৫ ও হাইওয়েতে ৫০+ মাইলেজ দিয়ে থাকে ।এবং তার বাইকটি এখনও সম্পূর্ণ নতুনের মতই আছে । অনেকেই বলবেন , এটা কীভাবে সম্ভব ?হ্যা , এটা সম্ভব । এর জন্য আমাদের বাইকের কিছু কিলিং টিপস মেইনটেইন করতে হবে ।
প্রথমত , ইন্জিনকে ওয়ার্ম আপের জন্য একটু টাইম দিতে হবে , তারপর আপনি যে রকম পারফরমেন্স চান সেটাতে যেতে হবে । ছোট ইন্জিনের বাইকগুলো , যেমন , প্যাশন প্রো , বাজাজ ডিসকভার ১০০ , বা স্পেলেন্ডার এই টাইপের বাইক গুলোতে হরিজন্টাল ছোট ইন্জিন থাকে । ফলে বাইক স্টার্ট নেবার সাথে সাথেই এর ফুয়েল ট্যাঙ্ক থেকে জ্বালানী ইন্জিনে যেতে পারে । কিন্তু , যদি আমরা বড় বাইকের ইন্জিনগুলোর দিকে তাকাই , যেমন , পালসার ১৫০ বা এ্যাপাচি বা আরও বড়ড় ইন্জিনের বাইক , এই টাইপের বাইকগুলোতে বাইক স্টার্ট নেবার সাথে সাথেই ইন্জিনে জ্বালানীর সার্কুলেশন ঠিকঠাকভাবে হয় না । ফলে ইন্জিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে ।
এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আপনি আপনার বাইক এর চোখ নামে আমরা যে পার্টসটিকে চিনি , সেটা খোলা রেখে ইন্জিন স্টার্ট দিয়ে এই অবস্থায় ১০-১৫ সেকেন্ড রেখে দিন । ফলে এই সময়ে আপনার বাইকের জ্বালানী গরম হবার জন্য টাইম পাবে । ফলে জ্বালানীর ঘনত্বটা একটু কমে যাবে এবং ইন্জিনে জ্বালানীর সার্কুলেশনটাও তখন অনেক ভাল হবে । কিন্তু , বেশীক্ষণ চোখ খোলা রাখবেন না । তাহলে এটা আপনার জ্বালানী খুব দ্রুতই শেষ করে দিতে পারে । কমপক্ষে ৫ কিরোমিটার রাইড না করা পর্যন্ত ইন্জিনের জ্বালানীর পাইপ খুলবেন না । এই সময়ে ইন্জিনটি একটা নরমাল হিট রেঞ্জের ভেতর চলে আসবে ।
দ্বিতীয়ত , আপনার বাইকটি ঠান্ডা অবস্থা থেকে এনেই স্টার্ট করে বেশী পিক আপ ধরবেন না । কারণ , ইন্জিন স্টার্ট হবার পর এর ইন্জিনের ভেতর পর্যাপ্ত পরিমাণে লুব্রিকেন্ট থাকে না । ফলে , এই সময় ইন্জিন বেশী গরম হলে আপনার ইন্জনে ক্ষয় হয়ে যেতে পারে , পিষ্টন ড্যামেজ হয়ে যেতে পারে যেগুলো পরবতৃীতে আপনার লো মাইলেজের জন্য দায়ী থাকবে । উদাহরণ স্বরূপ, আপনি যদি কোন জিমে যান ব্যায়াম করতে , তাহলে সেখানকার ট্রেনাররা প্রথমে আপনার ওয়ার্ম আপের জন্য কিছু সহজ ব্যায়াম দেবে । নিশ্চই আপনাকে প্রথমেই কোন ভারী ওজন তুলতে বলবে না । বাইকের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই ।
তৃতীয়ত , আপনার বাইকের ভর । এটা আপনার মাইলেজের উপর ডিরেক্ট ইফেক্ট করে । আপনার বাইকে যদি কোন এক্সট্রা ভারী বস্তু থাকে , তাহলে আপনার বাইকের জ্বালানী বেশী লাগবে এটা স্বাভাবিক । সো , বাইকের অপ্রযোজনীয় ভারী জিনিস , যেমন হতে পারে বাইকের শাড়ী গার্ড বা এই টাইপের জিনিসগুলো সরিয়ে ফেলুন । ফলে আপনার বাইকটির ইন্জিনের কষ্ট কম হবে। ফলে এটা ভাল পারফরমেন্স দেবে, এটা ভাল থাকবে এবং ভাল মাইলেজ দিবে ।
ফিচার বিজ্ঞাপন
কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
Water Lodge
ফিলিপাইন ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবী)
আর মাইলেজ বাড়ানোর জন্য কিছু টিপস রয়েছে যেগুলো আপনারা হয়ত জানেন । তারপরও বলি ।
১. লং ওয়ার্নিং পিরিয়ডের সিগন্যালের সময় আাপনার বাইকের ইন্জিন বন্ধ রাখুন ।
২. সময়মত রিকমেন্ডেশন অনুযায়ী বাইকের ইন্জিন অয়েল চেঞ্জ করুন ।
৩.আপনার বাইকের টিউবের প্রেশার প্রতি মাসেই চেক করান । রিকমেন্ডেড প্রেশারের থেকে হাইয়ার প্রেশার হয়ত আপনাকে ভাল মাইলেজ দিবে কিন্তু এটা আপনার ইন্জিনের স্ট্যাবিলিটি কমিয়ে দেবে ।
আপনাদের বাইকের মাইলেজ নীচে কমেন্ট করে জানাতে পারেন ।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৪৮ বার পড়া হয়েছে