তরুণ প্রজন্মের পাশাপাশি সব বয়সী মানুষের কাছেই উন্মাদনার আরেক নাম বাইক। টু হুইলার এই যানটির প্রেমে মশগুল নারী-পুরুষ ছেলে বুড়ো সবাই। এবার বাইকপ্রেমীদের জন্য সুখবর নিয়ে এলো জাপানের এক বাইক প্রস্তুতকারী সংস্থা এএলআই টেকনোলজি। টোকিওভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটি বাজারে নিয়ে এলো হোভারবাইক বা উড়ন্ত বাইক। অবশ্য প্রাথমিকভাবে শুধু জাপানের আকাশেই দেখা মিলবে হোভারবাইকের।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্যুৎচালিত একেকটি হোভারবাইকের দাম পড়বে ছয় লাখ ৮০ হাজার ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ছয় কোটি টাকা। তবে এখন শুধু প্রি-অর্ডার করা যাবে। একেকটি উড়ন্ত বাইকের ওজন ৩০০ কেজি। প্রতিটি হোভারবাইকে আছে একটি গতানুগতিক শক্তিশালী ইঞ্জিন ও ব্যাটারিচালিত চারটি মোটর।

দেশটির একটি স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান এএলআই টেকনোলজির উদ্যোগে ঘটল নজিরবিহীন এ ঘটনা। প্রতিষ্ঠানটির এক্সতুরিসমো লিমিটেড এডিশনের বিক্রি শুরু হয় টোকিওর স্থানীয় সময় বুধবার সকাল থেকে। আপাতত এ মডেলের সীমিতসংখ্যক কয়েকটি হোভারবাইক বিক্রি করাই একমাত্র লক্ষ্য এএলআই টেকনোলজিসের।

সাধারণ মোটরবাইক ব্যবহারকারীদের নিজেদের দুই চাকার যান বদলে উড়ন্ত বাইক ব্যবহারে রাজি করানোর চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠানটি। টোকিওভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির পেছনে রয়েছে বহুজাতিক ইলেক্ট্রনিক কোম্পানি মিৎসুবিশি ও ফুটবলার কেইসুকে হোন্ডা।

এএলআই টেকনোলজিস জানিয়েছে, একবার পূর্ণ চার্জের পর একেকটি হোভারবাইক ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১০০ কিলোমিটার গতিতে ৪৯ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারবে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি এক আরোহী বহনে সক্ষম ২০০টি হোভারবাইক উৎপাদন করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N

মূল্য: 19,900 Taka

Kandy, Nuwara Eliya & Colombo 5D/4N

মূল্য: 30,900 Taka

এএলআই টেকনোলজিসের প্রধান নির্বাহী দাইসুকে কাতানো বলেন, এখন পর্যন্ত হোভারবাইক শুধু সড়কে চলতে আর আকাশে উড়তেই সক্ষম। চলাফেরায় নতুন কিছু মাত্রা যোগ করার বিষয়েও আমরা আশাবাদী। বিশেষ করে দুর্গম এলাকায় বিভিন্ন দুর্যোগ ও দুর্ঘটনায় আটকে পড়া মানুষকে উদ্ধারে উদ্ধারকর্মীরা উড়ন্ত বাইক ব্যবহার করবেন বলে মনে করেন কাতানো।

বিশ্বের সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ নগরী হিসেবে জাপানের টোকিও বেশ পরিচিত। এই নগরীর বড় সমস্যা মানুষের ভিড়। এখানে বাস করে এক কোটি ৩৫ লাখ মানুষ। তাই যানজটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দেবে এই বাইক, এমনটা আশা করছেন বিশ্বের অটো-এক্সপার্টরা।

তবে জাপানের ব্যস্ত সড়কের ওপর দিয়ে হোভারবাইক চলাচলে এখনও অনুমতি দেয়নি জাপান সরকার। তবে আশানুরূপ বাইক বিক্রির পাশাপাশি অনুমোদন পাওয়াসহ বিদ্যমান সব জটিলতা কাটিয়ে ওঠার বিষয়ে আশাবাদী হোভারবাইকের নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৬৭ বার পড়া হয়েছে