সারাদিনের কাজের শেষে ক্লান্ত শরীর নিয়ে ঘরে ফিরলেন। ঘামে ভেজা শরীর, একটা শাওয়ার নিতে পারলে মন্দ হয় না! এই ভেবে বাথরুমে ঢুকলেন। সেই সময় বাথরুমের পরিবেশ যদি মনোরম হয়, তাহলে তা সহজেই আপনার মানসিক ক্লান্তি দূর করতে পারে। তাই আপনার বাসার বাথরুমগুলো বেশ মনোরম ভাবে সাজাতে পারেন। এর জন্য যে অনেক কিছু করতে হবে এমন কোনো কথা নেই। বরং হাতের কাছে যা পাওয়া যায় তাই দিয়েই সহজে সাজানো সম্ভব। আজ দেয়া হলো কিভাবে বাথরুম সাজানো ও পরিপাটি করে রাখা যায়।
–সিদ্ধান্ত নিন কিভাবে সাজাবেন
প্রথমেই সিদ্ধান্ত নিন আপনি বাথরুমের ভেতরটা কিভাবে সাজাতে চান। নতুন পেইন্টিং, টাইলস ব্যবহার করবেন? নাকি কাঠের কোনো কাজ করবেন। যদি এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে মাথা ঘামাতে না চান, কিংবা বেশি ঝামেলার মনে হয় তাহলে শুধু কিছু আলাদা জিনিস যোগ করতে পারেন। যেমন একটা তাক, কিংবা দুটো ফুলদানি এই ধরনের ছোটখাটো জিনিস।
—একটি থিম চয়েস করুন
আপনার বাথরুমকে সাজানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট থিম কিংবা প্যাটার্ন চয়েস করুন। যেমন কি ধরনের রঙ ব্যবহার করতে চান, আপনার বাথরুমের স্টাইল কেমন হবে, ক্লাসিক পুরনো ধাঁচের বাথরুম চান নাকি মডার্ন গ্যাজেটসহ বাথরুম চান এই ধরনের ব্যাপারগুলো সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিন। যদি রঙ নিয়ে সংশয়ে থাকেন তাহলে তার পরিবর্তে কাঁচের কোনো কাজ করতে পারেন।
—বাথরুমের জিনিসগুলো সাজিয়ে রাখুন
বাথরুমে যেসব জিনিস আপনার নিত্য প্রয়োজনীয় সেগুলোকে সামনে রাখার ব্যবস্থা করুন। চাইলে ক্যাটাগরী ভাগ করে নিতে পারেন। যেমন প্রসাধনী জাতীয় জিনিসগুলো একসঙ্গে, সাবান জাতীয় জিনিসগুলো একসঙ্গে, টুথপেস্ট কিংবা মুখ পরিস্কার করার জিনিসগুলো একপাশে রাখুন। তবে এগুলো কোথায় রাখবেন সেটা একান্ত আপনার নিজস্ব পছন্দের উপর নির্ভর করে। কিন্তু খেয়াল রাখবেন রাখার পর জিনিসগুলো যাতে দৃষ্টিকটু না লাগে এবং হাতের কাছেই পাওয়া যায়।
—ছোটোখাটো কিছু জিনিস যোগ করুন
আপনার পছন্দের থিম অনুযায়ী বাথরুমে ছোটখাট জিনিস কিনে যোগ করতে পারেন। যেমন সাবান রাখার জন্য একটু সুদৃশ্য সাবান কেইস, সুগন্ধীর বাক্স, পারফিউমের বোতল, রঙিন টাওয়েল ইত্যাদি। এগুলো যেমন বাথরুমের সৌন্দর্য্য বর্ধন করবে তেমনি ব্যবহার উপযোগী হিসেবে বেশ কাজের। এছাড়াও বাথরুমে নতুন ম্যাট, আয়না ইত্যাদিও যোগ করতে পারেন।
—জিনিসগুলো মার্জিত হতে হবে
বাথরুম সাজানোর সময় যে জিনিসটা সবচাইতে বেশি মনে রাখা জরুরি সেটা হচ্ছে ম্যাচিং। চেষ্টা করবেন বাথরুমে জিনিসগুলো দেখতে যাতে বাজে না লাগে এবং সেগুলো গুছিয়ে রাখার। এছাড়াও বাথরুমের পরিবেশের সঙ্গে জিনিসগুলো কতটুকু যাচ্ছে সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরি।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Vietnam & Cambodia 9D/8N
Moscow, Novosibirsk & Irkutsk 7D/6N
নির্ভেজাল ও নিস্কন্টক প্লটে বিনিয়োগের নিশ্চয়তা
—বাথরুমে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা
আপনার বাথরুমে যেই জিনিসটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে আলো। যেহেতু বাইরের আলো আনার ব্যবস্থা খুব কম থাকে সেই ক্ষেত্রে কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে বাথরুম সাজাতে পারেন। তবে আলো যাতে বেশি উজ্জ্বল বা চোখে লাগার মত না হয়। কারণ ধরুন আপনি খুব ক্লান্ত হয়ে শাওয়ার নিতে ঢুকলেন বাথরুমে, আর অত্যাধিক উজ্জ্বল আলো আপনার মাথাব্যাথা ধরিয়ে দিলো তাহলে ব্যাপারটি মোটেও সুখকর হবে না। সুতরাং হালকা এবং নরম আলো ব্যবহার করতে পারেন।
—সুগন্ধী এবং হালকা মিউজিকের ব্যবস্থা
এই দুইটি জিনিস থাকতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। তবে আপনি চাইলে বাথরুমে সুগন্ধী ব্যবহার করতে পারেন। এতে বাথরুমের ভেতরে বাতাস ফ্রেশ থাকবে, কারণ বাথরুমে ঢোকার পর যেকোনো বাজে গন্ধ আপনার বিরক্তির উদ্রেক করতে পারে। এছাড়া হালকা মিউজিকের ব্যবস্থা রাখতে পারেন যদি সম্ভব হয়। কারণ, বাথটাবে শুয়ে ঠান্ডা পানিতে গোসল করার সময় যদি হালকা মিউজিক কানে বাজে তাহলে গোসলটা আরো উপভোগ্য হতে পারে।
এভাবেই হাতের কাছে থাকা জিনিসগুলো দিয়ে আপনি আপনার বাথরুমকে সাজিয়ে নিতে পারেন। এতে নিজের মধ্যে যেমন তৃপ্তি আসবে তেমনি বাসায় কেউ আসলেও আপনার বাথরুম দেখে আনন্দিত হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৭৫৮ বার পড়া হয়েছে