টুথব্রশ কিংবা রেইজর গোছলখানায় রাখা স্বাভাবিক মনে হলেও এগুলো রাখতে হয় শুকনা জায়গায়। অনেকের বাথরুমেই থাকে কেবিনেট কিংবা তাক। সেসবে প্রয়োজনীয় জিনিস থাকাও স্বাভাবিক। তবে শৌচাগারের ভেজা পরিবেশ সব জিনিসের জন্য মানানসই নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বাসস্থান নির্মাতা ও জীবনউন্নয়ন-বিষয়ক পরামর্শদাতা বব ভিলা এই বিষয়ে তার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানান, “স্বাভাবিক অভ্যস্ততায় এতদিন যা বাথরুমে রাখা হয়েছে সেসব এখন শুকনা জায়গায় রাখার চেষ্টা করতে হবে।”
তোয়ালে: বাথরুমে তোয়ালে থাকাই স্বাভাবিক। অনেকের গোছলখানায় আলাদা কেবিনেট থাকে তোয়ালে রাখার জন্য। তবে আর্দ্র পরিবেশ তোয়ালে রাখার জন্য মোটেই উপযোগী নয়। কারণ ভেজা পরিবেশের কারণে তোয়ালেতে যেমন বাসী দুর্গন্ধ হতে পারে তেমনি জন্মাতে পারে ছত্রাক। তাই তোয়ালে সবসময় রাখতে হবে শুকনা পরিবেশে।
টুথব্রাশ: খোলা অবস্থায় তাকের মধ্যে টুথব্রাশ রাখাটা মোটেই নিরাপদ নয়। কারণ প্রতিবার কমোড ফ্লাশ করা হলে বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাক্টেরিয়া। বাথরুমের ভেজা পরিবেশ ব্যাক্টেরিয়ার জন্মানোর হার বাড়িয়ে দেয় বহুগুন। আর বাতাসে ভেসে সেই ব্যাক্টেরিয়া টুথব্রাশে ঝাপিয়ে পড়তে বেশি সময়ও নয় না।
তাই বাথরুমের কোনো দরজাওয়ালা কেবিনেটের ভেতর রাখতে হবে টুথব্রাশ। আর কেবিনেট না থাকলে অবশ্যই গোছলখানার বাইরে টুথব্রাশ রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। আর প্রতিবার কমোড ফ্লাশ করতে হবে ঢাকনা ফেলে।
ছবি: অনেকেই বাথরুম সাজাতে ছবি ব্যবহার করেন। তবে মনে রাখতে হবে বাথরুমের আর্দ্র পরিবেশ সহজেই ছবি নষ্ট করে দিতে পারে। এমনকি কাচ দিয়ে ফ্রেম করে রাখলেও বাষ্প জমে জন্মাতে পারে ছত্রাক। তাই ছবি দিয়ে ঘর সাজানোই ভালো, বাথরুম নয়।
ওষুধ: আমাদের দেশে ওষুধ বাথরুমে রাখা হয় না বটে। তবে অনেকেই হয়ত সিনেমাতে দেখে থাকবেন ওষুধ রাখা হচ্ছে বাথরুমের কেবিনেটে। যা মোটেই ঠিক নয়।
ঠাণ্ডা ও শুকনা জায়গায় রাখার জন্য ওষুধের বোতলের গায়ে লেখা থাকে। গোছলখানা হতে পারে ঠাণ্ডা জায়গা তবে শুকনা মোটেই নয়। ওষুধ রাখার সবচেয়ে ভালো জায়গা হলে বেডরুম।
সেনিটারি ন্যাপকিন: নারীদের জন্য এই জরুরি জিনিস রাখতে হবে শুকনা স্থানে। বাথরুমের কেবিনেটে রাখা মোটেই নিরাপদ নয়। কারণ আর্দ্র পরিবেশের জন্য সেনিটারি ন্যাপকিনের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকও বাসা বাঁধতে পারে সহজেই। আর এই ধরনের পণ্যগুলোর প্যাকেটে লেখাই থাকে শুকনা ও ঠাণ্ডা স্থানে রাখুন।
বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম: বিদ্যুৎ ও পানি- আদায় কাচকলা সম্পর্ক। একথা সবারই জানা। তাই ইলেক্ট্রিক রেইজর, শেইভার, ব্লোয়ার বা চুল শুকাতে ‘হেয়ার ড্রায়ার’ রাখা যাবে না বাথরুমে। আর্দ্র পরিবেশ যেমন নষ্ট করে দিতে পারে যন্ত্রগুলো তেমনি ভেজা পরিবেশে এগুলো ব্যবহার করাও বিপদজ্জনক।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ফিলিপাইন ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
Kandy- Negombo & Colombo 5D/4N
Cairo, Alexandria & Sharm El Sheikh 6D/5N
রং করা কাঠের আসবাব: আর্দ্র পরিবেশ কাঠের জন্য মোটেই উপযুক্ত নয়। আর্দ্রতার তারতম্যের কারণে কাঠ বাড়ে ও কমে। তাছাড়া রংও নষ্ট হয়ে যায় দ্রুত। তাই বাথরুম সাজাতে কোনো আসবাব তৈরি করলে ব্যবহার করতে হবে প্লাস্টিক বা আর্দ্র পরিবেশে নষ্ট হবে না এরকম উপাদান দিয়ে।
সাজের প্রসাধনী: হালকা পাতলা মেইকাপের কোনো সামগ্রী বাথরুমে থাকলে সেটা আজই সরিয়ে ফেলুন। কারণ আর্দ্রতা মেইকআপ সামগ্রী দ্রুত নষ্ট করে দেয়। জন্মাতে পারে ছত্রাক। এমনকি কোলন ও সুগন্ধিও নষ্ট করে ভেজা পরিবেশ। এক্ষেত্রে নেইল পলিশও রাখতে হবে শুকনা অন্ধকার পরিবেশে।
বই: অনেকের বাথরুমেই বই ও ম্যাগাজিন থাকে। তবে কাগজ জলকণা শুষে নিতে পারে সহজেই। আর স্যাঁতস্যাঁতে বই বা ম্যাগাজিনের পাতায় ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযুক্ত পরিবেশ। তাই শৌচাগারে বই পড়ার অভ্যাস থাকলে, বাথরুমের বাইরে বই রাখার তাক বানিয়ে নেওয়াই ভালো।
গয়না: বাইরে থেকে এসে পোশাক পাল্টানোর সময় বাথরুমে গয়না খুলে রাখতে পারেন। আর সেটা ভুলবশত সেখানেই পড়ে থাকলে নষ্ট হতে পারে সহজেই। বিশেষ করে রুপার গয়না আর্দ্র পরিবেশে খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তাই গয়না বা অলঙ্কার যাই ব্যবহার করুন না কোনো, বাথরুমে যাওয়ার আগেই খুলে রেখে যান বেডরুমে।
রেইজর: এই দাড়ি কামানোর হাতিয়ার বাথরুমে থাকাই স্বাভাবিক। আর ব্লেডগুলো সাধারণত স্টেইনলেস স্টিল দিয়েই তৈরি হয় যাতে পানিতেও মরিচা না পড়ে।
তবে কমদামি অনেক ব্লেড আর্দ্র পরিবেশে বেশিদিন ভালো নাও থাকতে পারে। মোটকথা জটিলতা এড়াতে রেইজর শুকনা পরিবেশে রাখার চেষ্টা করতে হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৫৩ বার পড়া হয়েছে