দেশে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আজ বুধবার থেকে বাসে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে রাজধানীর যাত্রীদের অর্ধেক বাসে করে নিজেদের গন্তব্যে যেতে পেরেছেন। বাকিদের গন্তব্যে যেতে হয়েছে মোটরসাইকেলে, রিকশায় কিংবা সিএনজিচালিত অটোরিকশায়।
ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের শর্তে বাস ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৬০ ভাগ। এতে বাস যাত্রীদের দুর্ভোগ হলেও, আয় বেড়েছে মোটরসাইকেল, রিকশা ও সিএনজি চালকদের। আজ রাজধানীর মিরপুর, কাজীপাড়া, শ্যাওড়াপাড়া, আগারগাঁও, শ্যামলী, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ফার্মগেট এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, এসব এলাকায় বেশিরভাগ বাসই থামছে না। কারণ সেগুলো আগেই অর্ধেক যাত্রীতে পূর্ণ হয়ে আছে।
বাস না পেয়ে যাত্রীরা দীর্ঘ অপেক্ষা করে অবশেষে বিভিন্ন বিকল্প ব্যবস্থায় নিজ নিজ গন্তব্যে যান। বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মোটরসাইকেল, রিকশা ও সিএনজি অটোরিকশার প্রচলন সারা বছর থাকলেও, আজ যেন এগুলোর ব্যবহার বেড়ে গিয়েছিল কয়েকগুণ।
বাসের তুলনায় এসব বিকল্প পরিবহনের ভাড়া অনেক বেশি হলেও কিছুই করার ছিল না যাত্রীদের। মিরপুর কাজীপাড়ার বাসিন্দা মহিউদ্দিন আলমগীরকে অফিসের কাজে সিএনজিতে ২৭০ টাকা ভাড়া দিয়ে নীলক্ষেত যেতে হয়। অথচ এই পথের সাধারণ বাস ভাড়া ছিল ২৬ টাকা, যা আজ থেকে ৪০ টাকা হয়েছে। সিএনজিতে এই পথের ভাড়া ছিল ২০০-২২০ টাকা।অনেকক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও যাত্রীরা বাসে উঠতে পারছেন না। ছবি: শেখ এনাম
মিরপুর শ্যাওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত একাধিক যাত্রী বলেন, গত বছরও আমাদের এ ধরণের পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছিল। তবে তখন অনেক অফিস-কলকারখানা বন্ধ থাকায় কিংবা সীমিত লোকবলে চালু রাখায় যাত্রীর চাপ এতটা ছিল না। বাসে করে গন্তব্যে সহজেই যেতে পেরেছি। কিন্তু এ বছর সবকিছু চালু রেখে বাসের বিষয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ায়, আমাদের এক ধরনের বিপদেই পড়তে হয়েছে।
একদিকে যেমন বাসে ওঠা যাচ্ছে না। অন্যদিকে মোটরসাইকেল, রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে গেলে গুণতে হচ্ছে বাস ভাড়ার কয়েকগুণ অতিরিক্ত টাকা, বলেন তারা।
মো. মামুন মোটরসাইকেলে রাইড শেয়ারিং করেন। আজ বিকালে যাত্রী নিয়ে ফার্মগেট এলাকায় এসে তিনি জানান, আজ অন্যান্য দিনের তুলনায় আয় অন্তত দ্বিগুণ হয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
তুরস্ক ভিসা (বিজনেসম্যান)
Paradise island, Maldives, 4D/3N
চায়না বাঁধ সিরাজগঞ্জ প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
বাসে অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত রাইড শেয়ারিংয়ের জন্য আশীর্বাদ মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমরা অন্যান্য বন্ধু যারা রাইড শেয়ারিং করে সবারই আয় আজ ভালো হয়েছে।’বাসের জন্য ফার্মগেট মোড়ে যাত্রীদের অপেক্ষা। ছবি: শাহীন মোল্লা
‘সকাল ৯টায় বের হয়ে বিকাল পর্যন্ত এক হাজার ২০০ টাকা আয় হয়েছে। অন্যান্য দিন এ সময়ের মধ্যে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা পেতাম,’ বলেন তিনি। তবে আজই চলমান করোনা পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহের জন্য রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের মাধ্যমে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
মগবাজার এলাকার রিকশাচালক লাভলু মিয়া জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় তার আজকের আয় ভালোই হয়েছে। আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত তার আয় হয়েছে ৫৫০ টাকা। অন্যান্য দিন এ সময়ের মধ্যে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা আয় করতেন তিনি।
Source: thedailystar
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)১৮৮ বার পড়া হয়েছে