বাড়ির কাজে হাত দেওয়ার আগে তাই কাঠামো নিয়ে কিছু প্রাথমিক জ্ঞান সবারই থাকা প্রয়োজন। এতে যেমন বাড়ি নির্মাণে গুণগত মান বজায় রাখার ব্যাপারে সুবিধা হয়, সেই সাথে ভবিষ্যতে বাড়ির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ঝক্কি-ঝামেলাও কম পোহাতে হয়।  

কাঠামোর প্রকারভেদ 

একটি বাড়ির নির্মাণকালীন কাজগুলোকে তিনটি ভাগে ভাগ করা যায়।

১. স্ট্রাকচারাল (ফাউন্ডেশন, ফ্রেম, রুফ)

২. ফাংশনাল (জানালা/দরজা, প্লাম্বিং, ইলেকট্রিক্যাল, HVAC)

৩. ফিনিশিং (সাইডিং, ড্রাইওয়াল/পেইন্ট, ইন্টেরিয়র ফিনিশ কার্পেন্ট্রি, ফ্লোর ফিনিশিং)

এগুলোর ভিতর স্ট্রাকচার এবং ফাংশনের দরজা-জানালা বাড়ির কাঠামোগত অংশ। একটি বাড়ি নির্মাণের আগে তাই এসব ব্যপারে ন্যূনতম প্রাথমিক ধারণা থাকা প্রয়োজন।

স্ট্রাকচার 

যেকোনো বাড়ির স্ট্রাকচার বা মূল কাঠামোকে মোটা দাগে তিনটি ভাগে ভাগ করে ফেলা যায়। এগুলো হলো- ফাউন্ডেশন, ফ্রেম আর রুফ।

ফাউন্ডেশন

যেকোনো বাসা-বাড়ির ভিত্তিই হলো মাটির নিচ থেকে নির্মাণ করা ফাউন্ডেশন। ভবনের অবস্থানের উপর ফাউন্ডেশনের প্রকৃতি নির্ভর করে। বাড়ি যদি এমন জায়গায় নির্মাণ করা হয়, যেখানের মাটি নরম তাহলে নির্মাণের সময় অনেক গভীরে খনন করে কংক্রিট স্ল্যাব ঢেলে ব্লক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে বেজমেন্ট বানানো হয়। 

ফ্রেম

ফাউন্ডেশনের পর আসুন জেনে নেওয়া যাক ফ্রেম বিষয়ে। ফ্রেমিং করতে স্থানভেদে বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিভিন্ন দেশে কাঠ বা স্টিলের ফ্রেমিং জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে এখনও ফ্রেমিং বলতে কলাম-বীম আর ইটের দেয়ালকেই বোঝায়। ভালো বাসস্থানের জন্য ফ্রেমিং গুরুত্বপূর্ণ। এই ফ্রেমিংয়ের মাঝেই ইনস্যুলেশন, ইলেক্ট্রিক্যাল ওয়্যারিং, প্লাম্বিংয়ের অবস্থান। আবার এই ফ্রেমিংয়েই পোকামাকড় বা ছত্রাক (মোল্ড) ঠাঁই করে নেয়।  

ফিচার বিজ্ঞাপন

Manila 5D/4N

মূল্য: 49,900 Taka

রুফিং

ফ্রেমিংয়ের পর আসে রুফ বা ছাদ, বহুতল ভবনের ক্ষেত্রে প্রতিটি ফ্লোর স্ল্যাব বা মেঝেও বটে। ছাদের প্রধান কাজই হলো রোদ-বৃষ্টি, ঝড়-ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচানো। ছাদ ঢালাই দেওয়া তাই অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটা কাজ নির্মাণের সময়ে। মাঝেমধ্যে ছাদে লিক সৃষ্টি হলে মেরামতের মাধ্যমেই তা ঠিক করে ফেলা যায়।   

ফাংশন

প্রতিদিন বাসায় বসবাস করতে আমাদের যে সুবিধাগুলো ব্যবহার করা হয়, সেগুলোই ফাংশনাল এলিমেন্ট। এই ব্যাপারগুলো এত স্বাভাবিক এবং বহুল পরিচিত যে আপাতদৃষ্টিতে এগুলো নিয়ে খুব বেশি চিন্তা করা হয় না।  

দরজা-জানালা

ফাংশনাল ব্যপারগুলোর ভেতরে কেবলমাত্র দরজা-জানালাই সরাসরি বাড়ির কাঠামোর সাথে সম্পর্কিত। ভারবাহী দেয়ালে জানালা দেয়ার ক্ষেত্রে এর লোড ট্রান্সফার সম্পর্কে খেয়াল না রাখলে দেয়াল দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। বড় বড় জানালা আছে এমন বাড়িঘর আমাদের সবারই কম-বেশি পছন্দ। আলো বাতাসের চলাচলের জন্য জানালা খুবই প্রয়োজনীয়। ফ্রেমের মাঝে জানালা নির্মাণ করা হয়, তাতে ট্রিম থাকে বিভিন্নরকম যা নান্দনিক চাহিদাও মেটায়, আবার বৃষ্টি থেকেও রক্ষা করে।

জানালার ক্ষেত্রে যা লক্ষ্য রাখতে হবে তা হলো জানালার ফ্রেম বসানোর সময় কোনোরকম লিক যাতে না থাকে। লিক থাকলেই বৃষ্টির পানি ঘরে প্রবেশ করবে যা দেয়াল স্যাঁতস্যাঁতে করে ফেলে আর ফ্রেমের পচনে ভূমিকা রাখে। দরজার ক্ষেত্রেও নষ্ট হওয়ার কালপ্রিট সেই বৃষ্টির পানি। এছাড়া কাঠের দরজায় পোকামাকড় সংক্রমণের ব্যাপার তো আছেই।  

বাড়ি নির্মাণের আগে বাড়ির কাঠামোগত উপাদানগুলো নিয়ে পর্যাপ্ত ধারণা না থাকলে একদিকে যেমন বাড়ির দৃঢ়তা ঝুঁকির মুখে পড়ে, তেমনি সাইটে কাজ করা ইঞ্জিনিয়ার বা মিস্ত্রীদের সাথে যোগাযোগ অনেকাংশেই বাধাগ্রস্ত হয়। অন্যদিকে, অল্প একটু সাধারণ জ্ঞানই কিন্তু পারে আমাদের স্বপ্নের বাড়িকে আরও স্বস্তিময় করে তুলতে।

Courtesy: homebuildersclub

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



২৮৯ বার পড়া হয়েছে