জায়গার মালিক যেহেতু আপনিই, তাই পরিবেশ, প্রতিবেশী এবং নিজের ক্ষতি না করে অনেক কিছুই আপনি এই জায়গাতে করতে পারেন। তবে কিছু কাজ না করার ব্যাপারে সংবেদনশীল হলে ভালো হয়। যেমন-
১. অনেকেই সেটব্যাকের জায়গা ছেড়ে দেন ঠিকই। কিন্তু পরে পাকা করে উপরে গ্রিল দিয়ে খাঁচা বানিয়ে ফেলেন। এতে আপনি নিজে যেমন জায়গাটির কোনো সুফল ভোগ করতে পারেন না, তেমনি ছেড়ে দেওয়া জায়গা Ground Water Recharge-এও সাহায্য করে না। অর্থাৎ ছেড়ে দেওয়াটা অর্থহীন হয়ে যায়। তাই চেষ্টা করুন জায়গাগুলো পাকা না করে ফেলতে।
২. FAR মেনে বাড়ি করলে বাসার সামনে কিছু জায়গায় ফাঁকা এক চিলতে জমি পড়ে থাকে। এখানে ডেভেলপাররা কিছু দৃষ্টিনন্দন গাছ লাগিয়ে দেন। ঢাকা শহরের অবস্থা বিবেচনায় কোনো গাছই বর্তমানে ফেলনা নয়। তবে শুধুমাত্র দৃষ্টিসুখকর গাছ না রোপণ করে ফলনশীল ফল, ছায়া, কাঠ বা সবজির গাছ লাগানোর ব্যাপারে আগ্রহী হোন। বিশেষ করে কড়ই বা ছাতিমের মতো স্থানীয় গাছ রোপণ করুন বেশি করে।
৩. ঢাকা শহরে বাচ্চাদের খেলার জায়গার খুবই অভাব রয়েছে। আবাসিক এলাকাতে যদিও বর্তমানে পার্ক তৈরির কথা নতুন করে চিন্তা করা হচ্ছে অনেক এলাকায়, কিন্তু একটি নির্দিষ্ট বয়সের আগে বাচ্চাদের বাসার বাইরে যেতে দিতে বাবা মা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। কিছুটা ঘাস দেওয়া মুখোমুখি করে ছেড়ে দেওয়া জায়গা থাকলে দুই ভবন মিলে ছেড়ে দেওয়া জায়গায় খুব সুন্দর পার্ক করা সম্ভব। যেটি জমির সীমানাপ্রাচীর এবং নিরাপত্তা সুবিধা ব্যবহার করে বাচ্চাদের উপযোগী করে গড়ে তোলা যায় সামান্য খরচেই।
৪. ঢাকায় মাঠের মতো জলাধারেরও অভাব রয়েছে। ছোট জায়গায় পদ্মপুকুরের মতো ছোট আকারের জলাধারও তৈরি করতে পারেন সাধ থাকলে। এটি পরিষ্কার রাখলে এবং সাজিয়ে রাখলে আপনার বাড়ি আশেপাশের সব বাড়ি থেকে আলাদা তো হবেই, অনেকের কাছে জনপ্রিয় হলে শহরের তাপমাত্রাতেও রাখতে পারে ভালো ভূমিকা। তবে এটি পরিষ্কার ও মশামুক্ত রাখতে হবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
সাজেক ভ্রমণ ৩ রাত ২ দিন
Maldives (Hulhumale Island) 3D/2N
Cambodia (Phnom Penh & Siem Reap) 6D/5N
৫. সব বাসায় মালী বা কেয়ারটেকার পেশার লোক অবশ্যই থাকে। এদের বেতন অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কম এবং গ্রাম থেকে এসে শহরে কাজ করে গ্রামে টাকা পাঠাতে চেষ্টা করেন তারা। তাই আপনার ছেড়ে দেওয়া জায়গায় গাছপালা, সবজির চারা, ফুলের গাছ থেকে এদের সাহায্যে গড়ে তুলতে পারেন ছোট নার্সারিও। সবজির বাগান থাকলে এটি যেমন তাদের খাবারের জোগানে ও সঞ্চয়ে সহায়ক হবে, তেমনি নার্সারি থেকেও তাদের বেতনে আপনি যোগ করতে পারবেন একটি বাড়তি অংশ। নিচের জায়গাটিতে মাল্টি লেভেল বেড তৈরি করেও ফলন বাড়াতে পারেন আপনার চারা বা শস্যের। এছাড়া ছাদ, বারান্দা ও নিচের ছেড়ে দেওয়া জায়গাতে বাগান থাকলে আপনার বাড়িতে পাখি থেকে মৌমাছির আগমন বাড়বে এবং সমগ্র এলাকার পরিবেশ উন্নয়নে আপনার বাড়ি হয়ে উঠবে একটি রোল মডেল।
৬. ছেড়ে দেওয়া অঞ্চল নিয়ে একজন বিশেষজ্ঞ ল্যান্ডস্কেপ স্থপতির পরামর্শ নিন। তিনি প্রচলিত ধারণার বাইরেও আপনার পেশা, বাড়িতে মানুষের সংখ্যা, চাহিদা, এলাকা এবং বাড়ির মূল নকশা বিবেচনায় আপনার জন্য ল্যান্ডস্কেপ ডিজাইন করে দিতে পারেন। এতে আপনার শখ মেটানোর পাশাপাশি আপনি একটি সুন্দর সমাধান পাবেন সেটি নিশ্চিত করেই বলা যায়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৪৮ বার পড়া হয়েছে




