বাড়িতে ঢোকার আগেও দরকার প্রস্তুতি। যেসব জিনিস নিয়ে বের হয়েছেন সেগুলো জায়গামতো গুছিয়ে রেখে তবেই হোক প্রবেশ। সঙ্গে থাকুক নিজেকে জীবানুমুক্ত করার প্রক্রিয়া।
বাড়ির সদর দরজার সামনেই গ্লাভস, মাস্ক, স্যানিটাইজার, শু কভার ইত্যাদি গুছিয়ে রাখার ব্যবস্থা রাখুন। কাজের প্রয়োজনেই বাড়ি থেকে এখন বের হতে হচ্ছে মাঝেমধ্যে। তবে প্রয়োজন বাড়তি সতর্কতা। বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় যেন হাতের কাছেই থাকে মাস্ক। একইভাবে আবার বাড়িতে ঢোকার মুখেই স্যানিটাইজার থাকুক হাতের নাগালে। এ কারণে জীবাণুনাশক জিনিসগুলো একটি নির্দিষ্ট জায়গায় রাখা উচিত। নির্দিষ্ট জায়গাটি হতে পারে মাডরুম।
মাডরুম—শব্দ নতুন মনে হলেও এর কাজের সঙ্গে আমরা বহু আগে থেকেই পরিচিত। বেশ আগে আমাদের বাবা-দাদারা বাইরে থেকে এসে হাতের ছাতা বা জুতা দোরগোড়ায় একটা নির্দিষ্ট জায়গায় রেখে, কলতলায় হাত-মুখ ধুয়ে মূল বাড়িতে প্রবেশ করতেন। এই ছাতা বা অন্য কিছু রাখার নির্দিষ্ট জায়গা আধুনিককালে মাডরুম হিসেবে পরিচিত। মাডরুম বাইরে থেকে এসে জুতা, ভেজা কাপড়, ছাতা রাখার স্থান হিসেবে ব্যবহৃত জায়গা। এতে বাড়িতে ঢোকার আগে একটি অন্তরায় তৈরি হয়ে যায়। বাড়ি জীবাণুমুক্ত এবং পরিষ্কার রাখা অনেকটাই সহজ হয় এ কারণে। বর্তমান প্রেক্ষাপটে মাডরুম খুবই জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাইরে থেকে এসে চাবি, ব্যাগ, বাজার—বাড়ির প্রবেশমুখেই জীবাণুমুক্ত করে ফেলা প্রয়োজন। অ্যাপার্টমেন্টের ক্ষেত্রে ফয়ার বা লিফট লবিকে মাড রুম হিসেবে গুছিয়ে নেওয়া যায়।
বাসার প্রবেশমুখে ছোট একটি টেবিল অথবা শেলফ ব্যবহার করতে পারেন। যেখানে বিভিন্ন জীবাণুনাশক জিনিসপত্র সহজেই রাখা যাবে। যদি আরও একটু বেশি জায়গা থাকে, তাহলে ছোট একটা ক্যাবিনেট রাখতে পারেন। হাতের দস্তানা বা গ্লাভস, ফেস মাস্ক, মাথার ক্যাপ, স্যানিটাইজার, শু কভারসহ ইত্যাদি জিনিস সহজেই সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে পারবেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Moscow, Novosibirsk & Irkutsk 7D/6N
সরবাটা ঘি ৫০০ গ্রাম
Domain Registration
পাশে একটি ডাস্টবিনে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভসগুলো রেখে দিতে পারবেন। এই জায়গাতে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করলে ভালো লাগবে। টিউবলাইটের বদলে স্পটলাইট বা ডিফিউজ লাইট মাডরুমে অন্য রকম আবহ তৈরি করে। বাড়িতে জায়গা কম থাকলে, দেয়ালে কিছু তাক লাগিয়ে নিলে মাডরুম তৈরি হয়ে যাবে। এ ছাড়া এর ওপর একটা বড় আয়না ব্যবহার করলে জায়গাটাকে বেশ বড় দেখাবে। বাড়িতে ঢোকার মুখে আমরা সবাই পাপোশ ব্যবহার করি। মাডরুমে বড় পাপোশ ব্যবহার না করে, ছোট পাপোশ ব্যবহার করলে পরিষ্কার রাখতে সুবিধা হবে।
বাড়ির গাড়ি, বারান্দার এক কোণে অথবা লিফট লবিতেও তৈরি করতে পারেন মাডরুম। সম্ভব হলে রাখতে পারেন হাত ধোয়ার জায়গা। এখন দেখা যায় কখনো বৃষ্টি, আবার কখনো কড়া রোদ। ছাতার প্রয়োজন এ কারণেই। মাডরুমে একটি শেলফে বা ঝুড়িতে ছাতা রাখতে পারেন। এ ছাড়া বাজারের ব্যাগগুলোও রাখতে পারেন এক কোণে। মাডরুমের কোনো একটি শেলফে মানিপ্ল্যান্ট বা লাকি ব্যাম্বুগাছ রেখে দিতে পারেন। রেখে দিতে পারেন তাজা সুগন্ধি ফুল। ফুলের এই সুগন্ধই বাড়ি ফিরে আপনার ক্লান্তি দূর করবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছেপূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...
১৬০ বার পড়া হয়েছে