আপনার জন্য উপযুক্ত গাড়ির সন্ধান, গাড়ির ধরণ সধারণত সার্বজনীন, তা আপনি ব্যাংকক, বাংলাদেশ, বোস্টন বা যেখানেই থাকুন না কেন। ভালো খবর হচ্ছে, পুরনো গাড়ি কিনতে গেলে এটি কাজে লাগবে। আপনি জানবেন যে অ্যামেরিকায় তৈরি একটি এসইউভি (SUV) আর জাপানে তৈরি এসইউভি (SUV) একই, তাই এটি বাংলাদেশে কিনতে গেলে আপনি একই ধরণের মোটরগাড়ি পাবেন। কিন্তু দুঃখের খবর এই যে, সেজন্য আপনাকে গাড়ির বিভিন্ন ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে।

হ্যাচব্যাক এবং একটি ইকনমি কারের মধ্যে তফাৎ কী? অথবা একটি এস্টেট এবং একটি এসইউভি (SUV)-এর মধ্যেই বা কী পার্থক্য? পুরনো গাড়ির দাম দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে বিভিন্ন ধরনের গাড়ি সম্পর্কে ধারণা থাকেলে তা অনেক কাজে আসবে।

শ্রেণিবিভাগ অনুযায়ী গাড়ির বিভিন্ন ধরণ সম্পর্কে এখানে ব্যাখ্যা করা হল।

পিকআপ

আপনি পিকআপের কথা চিন্তা করলে আপনার ট্রাকের কথা ভাবা উচিৎ। মাঝারি থেকে বড় আকারের ট্রাক যাতে বেড সহ পেছনের দরজা ও মালামাল রাখার জায়গা রয়েছে। পিকআপ ৪ x ৪ হতে হবে এমন কোন কথা নেই, কিন্তু আপনি চাইলে ফোর হুইল ড্রাইভ পিকআপ খুঁজে পাবেন। এছাড়াও আপনি ডুয়াল ক্যাব, এক্সটেন্ডেড ক্যাব, শর্ট ও লং-বেড সহ বিভিন্ন ধরণের গাড়ি খুঁজে পাবেন। আপনি ঠিক কী ধরণের গাড়ি কিনতে চাচ্ছেন তার উপর সবকিছু নির্ভর করে। আপনি বাজারে পিকআপ সবচেয়ে বেশি খুঁজে পাবেন।

মিনিভ্যান

মিনিভ্যান আরেকটি জনপ্রিয় গাড়ি, বিশেষ করে যারা অল্প দামে পুরনো ভালো গাড়ি কিনতে চান তাঁদের জন্য এটি হবে সেরা পছন্দ। যেমন ধরুন, চার বা অধিক সদস্যের পরিবারের কাছে মিনিভ্যান পছন্দের, কারণ এর মাল্টি-প্যাসেঞ্জার সুবিধা, অনেক ধরণের নিরাপত্তা সুবিধা এবং নির্ভরযোগ্য ইঞ্জিন। মিনিভ্যান বড় ভ্যানেরই ছোট সংস্করণ। সেই সব বড় বড় সাদা ভ্যানগুলোর কথা চিন্তা করুন যেগুলো আপনি প্রতিদিন সকালে মানুষকে তাঁর কর্মস্থলে নিয়ে যেতে দেখেন। মিনিভ্যান হচ্ছে এরই ছোট সংস্করণ, যা দেখভাল করা সহজ এবং দেখতেও অনেক ভালো। মিনিভ্যানের মানের কারণে যেসব পরিবার তাঁদের ক্রয় সীমার মধ্যে পুরনো গাড়ি কিনতে চাচ্ছেন তাঁরা মিনিভ্যানের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।

হ্যাচব্যাক

হ্যাচব্যাক হচ্ছে এমন একটি গাড়ি যেখানে সমান লিডের পরিবর্তে উপরের দিকে তোলা যায় এমন ট্রাঙ্ক (বা বুট) থাকে। বড় গ্লাসের রেয়ার উইন্ডো দেখে আপনি সহজেই একটি হ্যাচব্যাক চিনতে পারবেন। এটাকেই হ্যাচ বলা হয়, এবং বক্সের মতো ট্রাঙ্কের বদলে হ্যাচব্যাকে সাধারণত স্টোরেজের জন্য কম জায়গা থাকে যা সরাসরি প্যাসেঞ্জার সিটের পেছনে থাকে। হ্যাচব্যাকগুলোতে ট্রাঙ্কের জায়গায় অ্যাক্সেস করা সহজ, কিন্তু অন্যান্য ট্রাঙ্ক বা বুটের মতো এতে খুব বেশী জায়গা থাকে না। অবশ্য, যদি না হ্যাচব্যাকটি স্টেশন ওয়াগন বা কোনো এসইউভি-তে হয়। যদি তাই হয় তবে স্টোরেজের জন্য অনেক জায়গা পাবেন, এবং অতিরিক্ত বসার জায়গাও হবে। সবকিছুই নির্ভর করে আপনি কোন মডেলের গাড়ি কিনছেন তার উপর।

ফিচার বিজ্ঞাপন

তুরস্ক ভিসা (বিজনেসম্যান)

মূল্য: ১৫,০০০ টাকা

ইকোনমি কার

খুব বেশি দামী নয় এমন পুরনো গাড়ি যারা খুঁজছেন তাঁদের মধ্যে ইকোনমি কার অনেক জনপ্রিয়। গাড়িটি আকারে কমপ্যাক্ট ও দুই দরজার গাড়ি যা অনেক হালকা এবং কম জ্বালানী খরচ করে। আপনি যদি রাস্তায় দুই দরজার ছোট হ্যাচব্যাক দেখে থাকেন তবে সেগুলোই ইকোনমি কার। এগুলো আপনার ক্রয় সীমার মধ্যে রয়েছে এবং আপনার পরিবারের সকল সদস্যদের একসাথে বহন করার প্রয়োজন না হলে, একজন বা দুই জনের জন্য সেরা পছন্দ। এগুলো সাধারণত নির্ভরযোগ্য এবং ব্যবহারও সহজ।

স্টেশন ওয়াগন

এস্টেট নামে পরিচিত স্টেশন ওয়াগন আসলে একটি এসইউভি যা সব ধরণের পথে চালানো যাবে না। অন্যভাবে বললে, স্টেশন ওয়াগনে এমন একটি বডি রয়েছে যা অনেক বড় এবং আরামদায়ক, যা অনেকটা সেডান-স্ল্যাশ-স্যালুন মডেল, এবং এর গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে এর সামনের সিটের পেছনে এক বা একাধিক সারি অপসারনযোগ্য সিট রয়েছে। ফ্যামিলি কার হিসেবে এগুলো বেশ ভালো। আপনি পুরনো গাড়ি কিনতে গেলে বেশ কিছু স্টেশন ওয়াগন খুঁজে পাবেন। এই মডেলগুলো সাধারণত পুরনো, এবং ব্যবহারকারীরা এগুলোর বিক্রি করে নতুন মডেলের গাড়ি কিনছেন। তাই বেশ কম দামে এগুলো কিনতে পারবেন।

হাইব্রিড

হাইব্রিড কার হচ্ছে এমন গাড়ি যা একাধিক শক্তির উৎস ব্যবহার করে থাকে; যেমন, গ্যাস এবং ইলেকট্রিক। এর পরিসর এতো বিশাল হওয়ার কারণে উপরের সবগুলো ক্যাটাগরিতে আপনি হাইব্রিড খুঁজে পাবেন। হাইব্রিড নতুন এবং তাই এর খরচ একটু বেশি, কিন্তু ভালো দিক হচ্ছে এগুলোতে খুব বেশি জ্বালানীর প্রয়োজন হয় না এবং ইঞ্জিন চালু করতে আংশিকভাবে বিদ্যুতের উপর নির্ভর করা যায়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



১,০৯০ বার পড়া হয়েছে