কোন প্রবচন বাক্য ব্যবহারিক দিক হতে সঠিক?
ক) যত গর্জে তত বৃষ্টি হয় না
খ) অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
গ) নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা
ঘ) যেখানে বাঘের ভয় সেখানে সন্ধ্যা হয়
উত্তরঃ খ) অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট
প্রবাদ-প্রবচন কী?
প্রবাদ-প্রবচন মানবজীবনের দীর্ঘ অভিজ্ঞতার সংক্ষিপ্ত প্রকাশ। এগুলোর মূলে আছে কোন ঘটনা বা কাহিনী। এতে অনেক মূল্যবান উপদেশ পাওয়া যায়। কবে ও কোথায় এসবের উৎপত্তি হয়েছে, তা ঠিক করে বলা যায় না। দিনের পর দিন প্রবাদ-প্রবচনগুলো লোকমুখে প্রচলিত হয়ে আসছে।
প্রবাদ-প্রবচনের ব্যবহার
অভাবে স্বভাব নষ্ট (অভাবে পড়লে ভাল মানুষও অসৎ হয়)
রহমান সাহেবের মতো একজন প্রতিবাদী মানুষ সংসারের যাঁতাকলে পড়ে মোসাহেব সেজেছেন। একেই বলে অভাবে স্বভাব নষ্ট।
অতি চালাকের গলায় দড়ি (বেশি চালাকি করে অপরকে ঠকালে, নিজেকেও বিপদগ্রস্থ হতে হয়)
বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ করতে গিয়ে ধরা পড়ে, গেলে অতি চালাকের গলায় দড়ি পড়বেই।
অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ (কপট ব্যক্তিরা বাহ্যিকভাবে ভক্তি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে)
সাধু ভেবে একটা লম্পটের হাতে মেয়েটাকে তুলে দিলে-জান না, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ।
অসারের তর্জন গর্জন সার (গুণহীনের ব্যর্থ আস্ফালন)
কোন কাজই তো ঠিকমতো করতে পার না, শুধু বড় বড় কথা-অসারের তর্জন গর্জন সার।
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী (সামান্য লেখাপড়ার ক্ষতিকর প্রভাব)
সামান্য লেখাপড়া শিখেই সে বড় বড় কথা বলে, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী আর কি!
অতি দর্পে হত লঙ্কা (অহংকার করলে পতন আসবেই)
বড় হয়ে সাধারণ মানুষকে ভুলে যেও না। মনে রেখ, অতি দর্পে হত লঙ্কা।
অধিক সন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট (বেশি লোক হলে কাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়)
দু’জনে যা ভাল বোঝেন তাই করুন অধিক সন্যাসীতে গাঁজন নষ্ট।
আগে দর্শনদারী পরে গুণ বিচারী (বাহ্যিক সৌন্দর্য দ্বারাই মানুষ প্রথম আকৃষ্ট হয়)
যাকে দেখতেই নেতার মতো মনে হয় না, তার প্রতি ভক্তি আসবে কি করে? আগে দর্শনধারী পরে গুণ বিচারী।
আপনি বাঁচলে বাপের নাম (নিজের স্বার্থ রক্ষা করা)
নিজেই থাকার জায়গা পাচ্ছি না, তোমাকে থাকতে দিই কি করে? ভাইরে, আপনি বাঁচলে বাপের নাম।
আদার বেপারী হয়ে জাহাজের খবর নেয়া (অনধিকার চর্চা করা)
তুমি ছোট মানুষ, ছোট মানুষের মতো থাক-আদার বেপারী হয়ে জাহাজের খবর নিতে যেও না।
আসলে মুষল নেই ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া (উপযুক্ত ব্যবস্থা অবলম্বনের অভাব)
নিজের ঘর না সামলিয়ে পরের ব্যাপার নিয়ে ভাবছো; আসলে মুষল নেই ঢেঁকি ঘরে চাঁদোয়া।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Day Long Package
ব্রুনাই ভিসা
Kathmandu-Nagarkot 4D/3N
আপ ভালা তো জগৎ ভালা (নিজে ভাল হলে সকলই ভাল হয়)
শুধু অন্যের দোষ খোঁজ কেন? নিজে ভাল হও, আপ ভালাতো জগৎ ভালা।
আমড়া গাছে আম হয় না (মন্দ লোকের কাছে ভাল ব্যবহার আশা করা যায় না)
চোরের ছেলেকে বিশ্বাস করে ভুলই করেছি- আমড়া গাছে আম হয় না।
আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও (যা নিজে মান না, তা অপরকে শিখাবে না)
ধর্ম গেল ধর্ম গেল বলে খুব তো চিল্লাচ্ছেন, কিন্তু আপনি কি ধর্ম ঠিকমত পালন করেন? কথায় আছে না-আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও।
আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ (অবিশ্বাস্য উন্নতি)
যুদ্ধের সময় কালোবাজারীরা আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়।
আপন পায়ে কুড়াল মারা (নিজের ক্ষতি নিজে করা)
লেখাপড়া ফেলে বাজে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ো না, আপন পায়ে কুড়াল মারবে।
আঙ্গুর ফল টক (পান না তাই খান না)
ক্রিকেট খেলা বুঝ না, তাই বলছ ওসব বাজে খেলা পছন্দ কর না। এজন্যেই তো বলে-আঙ্গুর ফল টক।
আপনি শুতে ঠাঁই নেই, শঙ্করাকে ডাকে (অন্যের দয়ায় জীবন ধারণ করে আবার অন্যকে সাহায্য করার চেষ্টা)
নিজেই ভাত পাও না আবার রাস্তা থেকে আরেকজনকে ধনে এনেছ- আপনি শুতে ঠাই নেই, আবার শঙ্করাকে ডাকে।
ইচ্ছে থাকলে উপায় হয় (প্রবল ইচ্ছা থাকলে কঠিন কাজও সম্পন্ন করা সম্ভব)
পরীক্ষায় তুমিও ভাল ফল করবে-ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়?
ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় (অপরের ক্ষতি করলে নিজেরও ক্ষতি হয়)
সব সময় পরের ক্ষতি করার চেষ্টা কর বলেই তো নিজের এতবড় সর্বনাশ হলো। জান না-ইটটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয়।
উলুবনে মুক্তা ছড়ানো (অযোগ্য পাত্রে মূল্যবান বস্তু দান করা)
চোরকে ধর্মের কাহিনী শুনানো আর উলুবনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা।
উচিত কথায় বন্ধু বেজার (সত্য কথা বললে আপনজনও কষ্ট পায়)
এবার আসল কথা বলেছি তো তাই খারাপ লাগছে। একেই বলে উচিত কথায় বন্ধু বেজার।
উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায় (কাজের আরম্ভ দেখেই পরিণাম বোঝা যায়)
এ ছেলে একদিন অনেক বড় গায়ক হবে – উঠন্ত বৃক্ষ পত্তনেই চেনা যায়।
উদোরপিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে (একের দোষ অন্যের উপর চাপানো)
যে আসল দোষী তাকে বলতে পার না, উদোরপিণ্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপাচ্ছ।
উনো ভাতে দুনো বল (অল্প আহারে শক্তি বৃদ্ধি)
বেশি ভাত খেলে বেশি বল পাবে-একথা ঠিক নয়, বরং উনো ভাতে দুনো বল।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৭৬ বার পড়া হয়েছে