শুদ্ধ বাক্য কোনটি?

ক) দুর্বলবশত অনাথিনী বসে পড়ল

খ) দুর্বলতাবশতঃ অনাথিনী বসে পড়ল

গ) দুর্বলতাবশত অনাথা বসে পড়ল

ঘ) দুর্বলবশত অনাতা বসে পড়ল

ব্যাখ্যাঃ অনাথ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ অনাথা। বর্তমান বানান রীতি অনুসারে শব্দের শেষে ‘ঃ বসে না । তাই ‘দুর্বলতাবশতঃ’ এর শুদ্ধরূপ ‘দুর্বলতাবশত’।

অনাথ শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ অনাথা। অনাথিনী ব্যবস্থারগত ভুল।

উত্তরঃ গ) দুর্বলতাবশত অনাথা বসে পড়ল

আরও কিছু উদাহরন-

অশুদ্ধবাক্য : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠতম/তর।

শুদ্ধবাক্য : রহিম ছেলেদের মধ্যে কনিষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য : শুনেছি আপনি স্বস্ত্রীক ঢাকায় থাকেন।

শুদ্ধবাক্য : শুনেছি আপনি সস্ত্রীক/স্ত্রীসহ ঢাকায় থাকেন।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষী দেননি।

শুদ্ধবাক্য : আপনি জনগণের হয়েও তাদের পক্ষে সাক্ষ্য দেননি।

অশুদ্ধবাক্য : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেলিত হয়ে পড়েছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : ঘটনাটি শুনে আপনি তো উদ্বেল হয়েছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : বাসের ধাক্কায় তিনি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

শুদ্ধবাক্য : বাসের ধাক্কায় তিনি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন।

অশুদ্ধবাক্য : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্রি পরিশ্রম করেছেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনার এলাকার উন্নয়নের জন্য আপনি দিবারাত্র/দিনরাত পরিশ্রম করেছেন।

অশুদ্ধবাক্য : আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন নর-নারীর বৈষম্যতা দূর করতে।

শুদ্ধবাক্য : আমাদের প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করেছেন নর-নারীর বৈষম্য দূর করতে।

অশুদ্ধবাক্য : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

শুদ্ধবাক্য : শুধু নিজের না, দেশের উৎকর্ষ/উৎকৃষ্টতা সাধন করা প্রত্যেকেরই উচিত।

অশুদ্ধবাক্য : বেশি চাতুর্যতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

শুদ্ধবাক্য : বেশি চাতুর্য/চতুরতা দেখাতে গিয়ে শেষে নিজেই দল থেকে বাদ পড়লেন।

অশুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্যতা নাই।

শুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্য বা মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্যতা হারিয়ে ফেলছে।

শুদ্ধবাক্য : ঢাকা দিন দিন তার ভারসাম্য/ভারসমতা হারিয়ে ফেলছে।

অশুদ্ধবাক্য : ঢাকার সৌন্দর্যতা বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

শুদ্ধবাক্য : ঢাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে।

অশুদ্ধবাক্য : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।

শুদ্ধবাক্য : অনুমতি ছাড়া কারখানায় ঢুকা আইনত দণ্ডনীয়/আইনত অপরাধ।

অশুদ্ধবাক্য : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যতার কমতি নাই।

শুদ্ধবাক্য : এত বড় মানুষ হয়েও আপনার সৌজন্যের/সুজনতার কমতি নাই।

অশুদ্ধবাক্য : শহীদুল্লাহ কায়সার এবং মুনীর চৌধুরী দুজনই দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।

শুদ্ধবাক্য : শহীদুল্লাহ কায়সার ও মুনীর চৌধুরী দুজনই দেশের জন্য প্রাণ দিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : আগুনের দ্বারা নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।

শুদ্ধবাক্য : আগুনে নিভে গেছে কতগুলো প্রাণ।

অশুদ্ধবাক্য : লক্ষ লক্ষ জনতারা সব সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

শুদ্ধবাক্য : লক্ষ লক্ষ জনতা সভায় উপস্থিত হয়েছিল।

অশুদ্ধবাক্য : সব পাখিরা ঘর বাঁধে না।

শুদ্ধবাক্য : সব পাখি ঘর বাঁধে না।

অশুদ্ধবাক্য : যেসব ছাত্রদের নিয়ে কথা তারা বখাটে।

শুদ্ধবাক্য : যেসব ছাত্রকে নিয়ে কথা তারা বখাটে।

অশুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যে অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

শুদ্ধবাক্য : কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের ভালো দেখতে পারে না।

অশুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীদের খবর কী?

শুদ্ধবাক্য : সুজন, অন্যান্য মেয়র প্রার্থীর খবর কী?

অশুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকদের কথা বললেন, যারা রাজাকার।

শুদ্ধবাক্য : এমন কিছু লোকের কথা বললেন, যারা রাজাকার।

অশুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রীবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : প্রধান মন্ত্রীর সঙ্গে অন্যান্য মন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : এটি সার্বজনীন ব্যাপার।

শুদ্ধবাক্য : এটি সর্বজনীন ব্যাপার।

অশুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অরো অনেকেই আছেন এই নাটকে।

শুদ্ধবাক্য : রহিমসহ অনেকেই আছেন এই নাটকে।

অশুদ্ধবাক্য : ঐ লোকটি খুব সৎ।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি খুব সৎ।

অশুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষটিকে চিনি।

শুদ্ধবাক্য : আমি এই মানুষকে চিনি। /আমি মানুষটিকে চিনি।

অশুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জাস্কর।

শুদ্ধবাক্য : ব্যাপারটি ছিল আপনার জন্য লজ্জা কর বা লজ্জাজনক।

অশুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরাবস্থায় আছেন।

শুদ্ধবাক্য : এবারের ইলেকশান করে আপনে নাকি খুব দুরবস্থায় আছেন।

অশুদ্ধবাক্য : ইত্যাবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।

শুদ্ধবাক্য : ইত্যবসারে বৃদ্ধ লোকটির দিন কাটে।

অশুদ্ধবাক্য : উল্লেখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।

শুদ্ধবাক্য : উল্লিখিত বিষয় হলো তিনি এখন সমাজসেবী।

অশুদ্ধবাক্য : ইতিমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : ইতোমধ্যে আপনি বলেছেন, আপনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উৎসবের দিন। (ভুলটাই শুদ্ধ)

শুদ্ধবাক্য : পয়লা বৈশাখ বাঙালির আসল উচ্ছবের দিন।

অশুদ্ধবাক্য : শরৎ চন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার।

শুদ্ধবাক্য : শরৎচন্দ্র বাংলার বিখ্যাত কথাকার/শরচ্চন্দ্র নামে একজন প্রবন্ধকার আছে।

অশুদ্ধবাক্য : ‘আমার সন্তান যেন থাকে দুধ ও ভাতে’, এই কথা কবি বলেছেন।

শুদ্ধবাক্য : আমার সন্তান যেন থাকে দুধে ও ভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।

/আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে, এই কথা কবি বলেছেন।

অশুদ্ধবাক্য : শহর ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।

শুদ্ধবাক্য : শহরে ও গ্রামে এখন ইলেকশনের আমেজ।

অশুদ্ধবাক্য : তিনি স্বসম্মানে হল ত্যাগ করলন।

শুদ্ধবাক্য : তিনি সসম্মানে হল ত্যাগ করলন।

অশুদ্ধবাক্য : কুআকারের মানুষগুলো ভালো স্বভাবেরও হয়।

শুদ্ধবাক্য : কদাকার মানুষগুলো ভালো স্বভাবেরও হয়।

অশুদ্ধবাক্য : মাল বহনকারী গাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে তারা পালালো।

শুদ্ধবাক্য : মালগাড়িগুলোতে আগুন ধরিয়ে তারা পালালো।

অশুদ্ধবাক্য : ঘি মাখা ভাত ডিম দিয়ে খেতে খুব মজা।

শুদ্ধবাক্য : ঘিভাত ডিম দিয়ে খেতে খুব মজা।

অশুদ্ধবাক্য : দুধ মাখা ভাত কাকে খায়।

শুদ্ধবাক্য : দুধভাত কাকে খায়।

অশুদ্ধবাক্য : আগে সিংহচিহ্নিত আসনে বসে রাজা দেশ চালাতেন।

শুদ্ধবাক্য : আগে সিংহাসনে বসেরাজা দেশ চালাতেন।

অশুদ্ধবাক্য : লোকটি মিশির মতো কালো হয়েও সাদা মনের মানুষ।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি মিশকালো হয়েও সাদা মনের মানুষ।

অশুদ্ধবাক্য : তালে কানা লোককে দিয়ে কিছুই হবে না।

শুদ্ধবাক্য : তালকানা লোককে দিয়ে কিছুই হবে না।

অশুদ্ধবাক্য : ছয়টি ঋতুর সমাহারের দেশ বাংলাদেশ।

শুদ্ধবাক্য : ছয়ঋতুর দেশ বাংলাদেশ।

অশুদ্ধবাক্য : রীতিকে অতিক্রম না করেও যথারীতি সে বড়লোক।

শুদ্ধবাক্য : রীতিকে অতিক্রম না করেও সে বড়লোক।

অশুদ্ধবাক্য : ক্ষণে ক্ষণে প্রতিক্ষণে মাকে পরে মনে।

শুদ্ধবাক্য : ক্ষণে ক্ষণে মাকে পরে মনে। /প্রতিক্ষণে মাকে পরে মনে।

অশুদ্ধবাক্য : ভিক্ষুকদেরকে ভিক্ষা দাও।

শুদ্ধবাক্য : ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও। (একবচন) /ভিক্ষুকদের ভিক্ষা দাও। (বহুবচন)

অশুদ্ধবাক্য : বইকে পুড়িয়ে ফেলো/বইগুলোকে পুড়িয়ে ফেলো।

শুদ্ধবাক্য : বই/বইটি পুড়িয়ে ফেলো (একবচন)/বইগুলো পুড়িয়ে ফেলো (বহুবচন)

অশুদ্ধবাক্য : আপনি রবীন্দ্রনাথকে পড়ে কী পেলেন?

শুদ্ধবাক্য : আপনি রবীন্দ্রনাথ পড়ে কী পেলেন?

অশুদ্ধবাক্য : এ কলমকে দিয়ে কাজ হবে না।

শুদ্ধবাক্য : এ কলমে কাজ হবে না। /এ কলম দিয়ে কাজ হবে না।

অশুদ্ধবাক্য : এই কলমটিকে দিয়ে ভালো লেখা হয়।

শুদ্ধবাক্য : কলমটি দিয়ে ভালো লেখা হয়।

অশুদ্ধবাক্য : গরুকে দিয়ে শুধু লাঙল না গাড়িও টানা হয়।

শুদ্ধবাক্য : গরু দিয়ে শুধু লাঙল না গাড়িও টানা হয়।

অশুদ্ধবাক্য : সাতভাই যুক্তি করে ইউসুফ ফেলিল কুয়ায়।

শুদ্ধবাক্য : সাতভাই যুক্তি করে ইউসুফকে ফেলিল কুয়ায়।

অশুদ্ধবাক্য : তাদেরকে দিয়ে একাজ করিও না।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kandy- Nuwara Eliya- Galle & Colombo 6D/5N

মূল্য: 36,900 Taka

শুদ্ধবাক্য : তাদের দিয়ে একাজ করিও না।

অশুদ্ধবাক্য : তোমার কথায় বুকেতে আঘাত পাই।

শুদ্ধবাক্য : তোমার কথায় বুকে আঘাত পাই।

অশুদ্ধবাক্য : গেলাসে করে দুধ দাও।

শুদ্ধবাক্য : গেলাসে দুধ দাও।

অশুদ্ধবাক্য : ঘড়িকে হাতে দাও।

শুদ্ধবাক্য : ঘড়ি হাতে দাও /ঘড়িটি হাতে দাও।

অশুদ্ধবাক্য : ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

/ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাদেরকে ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

শুদ্ধবাক্য : ক্রিয়ার সঙ্গে যেসব বিভক্তি যুক্ত হয় তাদের ক্রিয়াবিভক্তি বলে।

অশুদ্ধবাক্য : এতটুকু মেয়ে কলেজ পড়ে

শুদ্ধবাক্য : এতটুকু মেয়ে কলেজে পড়ে।

অশুদ্ধবাক্য : তবলাওয়ালা ভালোই তবলা বাজায়।

শুদ্ধবাক্য : তবলচি /তবলাবাদক ভালোই তবলা বাজায়।

অশুদ্ধবাক্য : দারিদ্র কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মহান করেছে।

শুদ্ধবাক্য : দারিদ্র্য কবি কাজী নজরুল ইসলামকে মহান করেছে।

অশুদ্ধবাক্য : বিকার লোক যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে।

শুদ্ধবাক্য : বিকৃত লোক যে কোন সময় ক্ষতি করতে পারে।

অশুদ্ধবাক্য : এটি দল কোন্দল।

শুদ্ধবাক্য : এটি দলীয় কোন্দল।

অশুদ্ধবাক্য : ফুল দিয়ে তাঁকে সুস্বাগতম জানানো সবার কর্তব্য।

শুদ্ধবাক্য : ফুল দিয়ে তাঁকে স্বাগতম জানানো সবার কর্তব্য।

অশুদ্ধবাক্য : শিক্ষা উপ-পরিচাল ও সহ-উপ পরিচালক আজ এই স্কুলে আসবেন।

শুদ্ধবাক্য : শিক্ষা উপপরিচালক ও সহউপপরিচালক আজ এই স্কুলে আসবেন।

অশুদ্ধবাক্য : অক্লান্তি হীনভাবে প্রজন্ম চত্বরে সমায়েত হচ্ছে।

শুদ্ধবাক্য : ক্লান্তি হীনভাবে প্রজন্ম চত্বরে সমায়েত হচ্ছে।

অশুদ্ধবাক্য : তিনি নামকরা একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

শুদ্ধবাক্য : তিনি নামকরা একটি দৈনিক পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কর্মরত আছেন।

অশুদ্ধবাক্য : রহিমা খুব সুন্দরী।

শুদ্ধবাক্য : রহিমা খুব সুন্দর।

অশুদ্ধবাক্য : তার মা খুব মহান নেতা ছিলেন।

শুদ্ধবাক্য : তার মা খুব মহিয়সী নেতা ছিলেন।

অশুদ্ধবাক্য : সেলিনা হোসেন একজন বিদ্বান লেখিকা।

শুদ্ধবাক্য : সেলিনা হোসেন একজন বিদ্বান লেখক। /সেলিনা হোসেন একজন বিদুষী লেখিকা।

অশুদ্ধবাক্য : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করি না।

শুদ্ধবাক্য : আমি অর্থাৎ হাসান জেনে শুনে ভুল করে না।

অশুদ্ধবাক্য : এ ব্যাপারে আমার অর্থাৎ হাসানের ভুল হবে না।

শুদ্ধবাক্য : এ ব্যাপারে আমার অর্থাৎ হাসানের ভুল হয় না।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি বা হুজুর যদি বলেন, তাহলে (আমি) যাই।

শুদ্ধবাক্য : আপনি বা হুজুর যদি বলেন, তাহলে (আমি) যাব।

অশুদ্ধবাক্য : আমি, সে আর তুমি কাজটি করব।

শুদ্ধবাক্য : সে, তুমি আর আমি কাজটি করব।

কারকের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

বস্তুর প্রাণিবাচক শব্দে ‘কে’ বসে না। ব্যক্তির নামের সঙ্গেও ‘কে’ বসে না।

অশুদ্ধবাক্য : সাপুড়ে সাপকে খেলায়।

শুদ্ধবাক্য : সাপুড়ে সাপ খেলায়।

অশুদ্ধবাক্য : পাহাড়কে নাড়ায় সাধ্য কার।

শুদ্ধবাক্য : পাহাড় নাড়ায় সাধ্য কার।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি তো ছুরিতে মানুষ মারেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনি তো ছুরি দিয়ে মানুষ মারেন।

অশুদ্ধবাক্য : ধর্মের কল বাতাসেতে নড়ে।

শুদ্ধবাক্য : ধর্মের কল বাতাসে নড়ে।

অশুদ্ধবাক্য : আপনি তো গরিবদেরকে সাহায্য করেন না।

শুদ্ধবাক্য : আপনি তো গরিবদের সাহায্য করেন না। /আপনি তো গরিবকে সাহায্য করেন না।

অশুদ্ধবাক্য : একসময় আমের কাননে মিটিং বসেছিল।

শুদ্ধবাক্য : একসময় আম্রকাননে মিটিং বসেছিল। /একসময় আমের বাগানে মিটিং বসেছিল।

অশুদ্ধবাক্য : লোকটি কায়দায় নাই।

শুদ্ধবাক্য : লোকটি বেকায়দায় আছে।

অশুদ্ধবাক্য : লোকজন তার প্রতিকূলে নাই।

শুদ্ধবাক্য : লোকজন তার অনুকূলে নাই।

অশুদ্ধবাক্য : তাড়া আমরাতলায় বসে আমরা খাওয়ার সময় মালির তারা খেয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : তারা আমড়াতলায় বসে আমড়া খাওয়ার সময় মালির তাড়া খেয়েছে।

অশুদ্ধবাক্য : সে ভুড়ি ভুড়ি খেয়ে ভুরিটি বাড়িয়েছে।

শুদ্ধবাক্য : সে ভুরি ভুরি খেয়ে ভুঁড়িটি বাড়িয়েছে।

শব্দদ্বিত্বের মাধ্যমে ভাষার অপপ্রয়োগ ও শুদ্ধ প্রয়োগ

অশুদ্ধবাক্য : ঘামজলে তার শার্ট ভিজে গেছে।

শুদ্ধবাক্য : ঘামে তার শার্ট ভিজে গেছে।

অশুদ্ধবাক্য : অশ্রুজলে তার কপল ভিজে গেছে।

শুদ্ধবাক্য : অশ্রুতে তার কপল ভিজে গেছে।

অশুদ্ধবাক্য : ঘরটি ছিমছিমে অন্ধকার।

শুদ্ধবাক্য : ঘরটি ঘুটঘুটে অন্ধকার।

অশুদ্ধবাক্য : পরবর্তীতে আপনি আসবেন।

শুদ্ধবাক্য : পরবর্তিকালে /পরবর্তী সময়ে আপনি আসবেন।

অশুদ্ধবাক্য : সকল দৈন্যতা দূর হয়ে যাক।

শুদ্ধবাক্য : সকল দৈন্য দূর হয়ে যাক। সকল দীনতা দূর হয়ে যাক।

অশুদ্ধবাক্য : সেখানে গেলে তুমি অপমান হবে।

শুদ্ধবাক্য : সেখানে গেলে তুমি অপমানিত হবে।

অশুদ্ধবাক্য : আমি অপমান হয়েছি।

শুদ্ধবাক্য : আমি অপমানিত হয়েছি।

অশুদ্ধবাক্য : সূর্য উদয় হয়নি।

শুদ্ধবাক্য : সূর্য উদিত হয়নি।

অশুদ্ধবাক্য : সত্য প্রমাণ হোক।

শুদ্ধবাক্য : সত্য প্রমাণিত হোক।

অশুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্যতা নাই।

শুদ্ধবাক্য : তার কথার মাধুর্য/মধুরতা নাই।

অশুদ্ধবাক্য : রাধা দেখতে খুব সুন্দরী ছিল।

শুদ্ধবাক্য : রাধা দেখতে খুব সুন্দর ছিল।

অশুদ্ধবাক্য : এটি অপক্ক হাতের কাজ।

শুদ্ধবাক্য : এটি অপটু হাতের কাজ।

অশুদ্ধবাক্য : স্বল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

শুদ্ধবাক্য : অল্পবিদ্যা ভয়ংকরী।

অশুদ্ধবাক্য : অভাবে চরিত্র নষ্ট।

শুদ্ধবাক্য : অভাবে স্বভাব নষ্ট।

অশুদ্ধবাক্য : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর।

শুদ্ধবাক্য : বিদ্বান মূর্খ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।

অশুদ্ধবাক্য : অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য হলেন।

শুদ্ধবাক্য : অল্পদিনের মধ্যে তিনি আরোগ্য লাভ করলেন।

অশুদ্ধবাক্য : সৎ চরিত্রবান লোক সবার কাছে প্রিয়।

শুদ্ধবাক্য : চরিত্রবান লোক সবার কাছে প্রিয়।

অশুদ্ধবাক্য : মাতাহীন শিশুর অনেক দুঃখ।

শুদ্ধবাক্য : মাতৃহীন শিশুর অনেক দুঃখ।

অশুদ্ধবাক্য : শে ভাগ্যবতী মহিলা।

শুদ্ধবাক্য : শে ভাগ্যবতী।

অশুদ্ধবাক্য : মিলাদে গোলাপজলের পানি ছিটাও।

শুদ্ধবাক্য : মিলাদে গোলাপজল ছিটাও।

অশুদ্ধবাক্য : বইটি তার জরুরি প্রয়োজন।

শুদ্ধবাক্য : বইটি তার (খুব) প্রয়োজন।

অশুদ্ধবাক্য : সবাই বাবা-মার সুস্বাস্থ্য কামনা করে।

শুদ্ধবাক্য : সবাই বাবা-মার সুস্থতা কামনা করে।

অশুদ্ধবাক্য : ছেলেটি শুধুমাত্র /কেবলমাত্র ১০টি টাকার জন্য মারামারি করল।

শুদ্ধবাক্য : ছেলেটি শুধু /মাত্র /কেবল ১০টি টাকার জন্য মারামারি করল।

অশুদ্ধবাক্য : ৫ বছর সময়কাল ধরে তারা জনগনকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

শুদ্ধবাক্য : ৫ বছর ধরে তারা জনগনকে সেবা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে।

অশুদ্ধবাক্য : ভারত ব্রিটিশদের অধীনস্থ ছিল বলেই তারা যুদ্ধ করেছিল।

শুদ্ধবাক্য : ভারত ব্রিটিশদের অধীনে ছিল বলেই তারা যুদ্ধ করেছিল।

অশুদ্ধবাক্য : আপনারাই প্রথম তাদেরকে সুস্বাগতম জানালেন।

শুদ্ধবাক্য : আপনারাই প্রথম তাদের স্বাগত জানালেন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৫০৩ বার পড়া হয়েছে