ব্যাংক ঋন অনেকটা চোরা বালির মতো। কখন যে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিবে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। আবার যদি এটি কাজে লাগানো যায় তবে তরতর করে ব্যবসা উপরের দিকে উঠতে থাকবে। আর ব্যাবসায়ীদের জন্য ব্যাংক ঋন খুবই প্রয়োজনীয় একটি বিষয়।

ব্যবসা মানেই লাগামটা নিজের হাতে ধরে রাখতে হবে। আর ব্যাংক ঋন হলো রেসের ঘোড়া। এ ক্ষেত্রে খুব শক্ত নিয়ন্ত্রণ থাকা চাই। বুঝে শুনে এই কাজে আগানো উচিত।

এ ঋণ নেয়ার ব্যাপারে কিছু কৌশল আছে, সেটি হলো-টাইমিং। একজন উদ্যোক্তাকে বুঝতে হবে সে কত টাকা ঋন নিলে সেটি তার ব্যবসার কাজে সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে পারবে। এই বোঝাবুঝির জন্য ব্যাংকিং ঋণ সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। ঋন নেয়া থেকে শুরু করে এটি কাজে লাগানোর সম্পূর্ণ প্ল্যানটি করতে হবে। কোনভাবেই ব্যবসার জন্য ঋণ নিয়ে অন্য কোন কাজে লাগানোর চিন্তা করা যাবে না। তাহলে একেবারেই ঝামেলায় পড়ার সম্ভাবনা থাকে। যে কাজের জন্য চিন্তা করে ব্যাংক ঋন নেয়া হচ্ছে সে কাজেই টাকা ব্যয় করা উচিত। তাহলে চাপের মধ্যে পড়তে হবে না। এখন ব্যাংক গুলোতে বিভিন্ন পর্যায়ের ঋণ আছে। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে বিয়ে-শাদীর জন্যও ব্যাংক এখন ঋন দিয়ে থাকে। আবার এসব ঋনের বিপরীতে সুদেরও তারতম্য আছে। তাই কোনভাবে ব্যবসার ঋন দিয়ে অন্য কিছু করা মোটেই সুখকর হবে না।

আরেকটি বিষয় ঋন নেয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে, প্রতিষ্ঠানের কোন সময়ে ঋন নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে ভাবতে হবে কোনভাবেই ব্যবসার চরম মন্দার সময় বড় আকারের ঋন নেয়া যাবেনা। পুরো টাকাই ঘাটতিতে চলে যাবে। তখন আরো একটি সংকট তৈরি হবে।

প্রায়শই দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে কোন একটি সংকটে পড়লে সেটা উত্তরণের জন্য ঋন নিতে ধর্ণা দিতে থাকে। এ ক্ষেত্রে দেখা যায়, যা সে পারবে তারচেয়ে বেশি ঋণ নিয়ে নেয়। আর অলীক কল্পনা করে। ব্যবসার একটু অবস্থা ভালো হলেই সে ঋণ পরিশোধ করতে পারবে। এভাবে ঋন নিলে মন্দায় বিনিয়োগ করতে করতেই তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Email Marketing

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

Vietnam & Cambodia 9D/8N

মূল্য: 75,900 Taka

তারপর একসময় সে ঋন পরিশোধ করতে পারে না। ফলে দুই ধরনের আর্থিক ক্ষতিতে ব্যবসায়ীকে পড়তে হয়। একটি হলো যে সম্পদ বন্ধক দিয়ে তিনি ঋন নিয়েছেন সেটি হারানোর হুমকি এবং একই সঙ্গে ব্যবসা লাটে উঠার হুমকি। এই দুইচাপে অনেক সম্ভাবনা প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানীকে দেউলিয়া হয়ে যেতে দেখা যায়। তাই ঋনকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করতে হবে।

এর অর্থ এই নয় যে, আপনি ব্যাংক ঋন নিবেন না। ব্যাংক ঋনই ব্যবসা পরিচালনার একটি বড় শক্তি। আর এটি বড় বাধা আপনি যদি তা কাজে লাগাতে না পারেন। সে জন্যই নিজের ভুলের কারণে ব্যাংক ঋনের প্রতি অন্যদের মধ্যে আতংক তৈরি না করা ভালো।

কাজেই ব্যাংক ঋন পাওয়াটা কোন বড় কথা নয়। কখন ঋন নিলে প্রতিষ্ঠানের ভালো হবে, ঋন পরিশোধের জন্য একেবারে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা রয়েছে কিনা, সেটির বাস্তবায়নে সর্বোচ্চ উদ্যোগ নেয়া হলো কিনা, প্রতিষ্ঠানটির জন্য কত টাকা ঋণ নেয়া উচিত এসব ঠিকভাবে নির্ধারন করতে পারলেই ঋনটা চোরা বালি হবে না।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



৯১৯ বার পড়া হয়েছে