পৃথিবীর সকল সম্পর্কের মাঝেই জটিলতা থেকে যায়। প্রেমের সম্পর্কগুলো তাদের মধ্যে দখল করে আছে বিশেষ শীর্ষস্থান। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর নেপথ্যের কারণ হয় দ্বিধা, অনিশ্চয়তা, নিরাপত্তাহীনতা।

কাউকে প্রচণ্ড ভালোলাগা এবং সেই মানুষটার কাছ থেকে অজানা কোনো কারণে অবহেলার শিকার হতে থাকা, এমন পরিস্থিতিতে প্রেমের সম্পর্কের জটিলতাগুলো অনেক জটিলতাকে হার মানায়।

এই পরিস্থিতি থেকে প্রতিটি মানুষ দূরে পালাতে চাইলেও খুব মানুষই তাতে সফল হতে পারেন। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে গেলে কীভাবে যেন সবকিছু আরও জটিল হতে থাকে।

এই অবস্থায় জনপ্রিয় দুটি পথ হল একেবারে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া কিংবা ওই মানুষটিকে ফোন করে, মেসেজ দিয়ে অতিষ্ঠ করে তোলা। তবে দুটো পথই ভুল।

সম্পর্কবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো এমতাবস্থায় কী করণীয়।

নিশ্চিত হন বোঝার ভুল নয়তো: অনেকসময় আপনার মনে হয় প্রিয় মানুষটা আপনাকে এড়িয়ে চলছে, তবে আসলেই তা নয়। হয়ত সম্পর্ক নিয়ে অনিশ্চয়তা কিংবা আপনার মনে লুকিয়ে থাকা আবেগের কারণে আপনার মনে হচ্ছে সে আপনাকে এড়িয়ে চলছে। এমন যদি হয়, তবে আসলে সমস্যাই নেই, আর বিনা সমস্যায় সমাধানের পদক্ষেপ হতে পারে ধ্বংসাত্বক। তাই আগে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনার ভালোলাগার মানুষটি আসলেই আপনাকে এড়িয়ে চলছে কি না। 

কারণ খোঁজা: সমস্যা নিশ্চিত হলে স্বভাবতই কারণ খুঁজে বের করা হবে পরবর্তী ধাপ। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নেই। কেউ যদি আপনাকে এড়িয়ে চলে তবে তার অবশ্যই এক বা একাধিক কারণ আছে। আর তা খুঁজে বের করার প্রথম ধাপ হবে স্মৃতি রোমন্থন। এমন কিছু আপনি করেছেন যা আপনার কাছে ছিল তুচ্ছ একটা ঘটনা, তবে রেখে গেছে স্থায়ী ছাপ।

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa (Spouse)

মূল্য: 5,000 Taka

Kathmandu-Pokhara-Nagarkot-Bhoktopur 5D/4N

মূল্য: ১৮৯০০ টাকা

বাড়াবাড়ি করা যাবে না: প্রিয় মানুষটির অবহেলা, এড়িয়ে চলা প্রচণ্ড মানসিক অস্বস্তিতে ভোগাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে নিজেকে সামলাতে হবে, রাগ কিংবা বিরক্তি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। আপনার মনে হবে যে আপনার প্রতি অন্যায় করা হচ্ছে। তবে তারপরও মন মেজাজ শান্ত রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে এই এড়িয়ে চলা হয়ত এখনও পর্যন্ত অস্থায়ী। তবে একটি ভুল পদক্ষেপ তাকে স্থায়ী করে তোলার জন্য যথেষ্ট হতে পারে।

সময় দিন: কেউ যদি আপনাকে এড়িয়ে চলে তবে তার সঙ্গে জোর করে আলাপ করার চেষ্টা কোনো সুফল বয়ে আনবে না। অবশ্যই আপনি ব্যাখ্যা চান কেনো আপনার সঙ্গে এমনটা করা হচ্ছে। তবে কিছুক্ষেত্রে প্রিয়জনকে ব্যক্তিগত সময় দেওয়াই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার একমাত্র উপায়।

দুশ্চিন্তা কমান: প্রিয় মানুষটি অবহেলা করলে মানসিক অস্বস্তিতে ভুগবেন এটাই স্বাভাবিক। তবে যেহেতু সমস্যার সমাধান আপনার হাতে নেই, তাই তাকে মোকাবিলা করতে হবে ভিন্ন উপায়ে। ক্রমাগত সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে অন্যকাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। এতে ওই মানুষটিও মানসিকভাবে শান্ত হওয়ার সময় পাবে আর আপনারও ভুল কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আশঙ্কা দূর হবে। একসময় পরিস্থিতি নিজেই স্বাভাবিক হবে।

আলোচনা: সময় দেওয়ার পরও পরিস্থিতি আগের মতো না হলে এবার আলোচনার দারস্থ হতে হবে। আর তা হতে হবে মুখোমুখি, মেসেজ কিংবা ফোনে নয়। এই আলোচনায় রাগারাগি থেকে বিরত থাকতে হবে, সুস্থ আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া করতে হবে। ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে হবে। দুই পক্ষকেই এই আলোচনার অংশ নিতে হবে ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে। সমস্যা সমাধানের ইচ্ছা নিয়ে।

ভুল স্বীকার ও ক্ষমা চাওয়া: নিজের ভুল বুঝতে পারা ও মেনে নেওয়ার গুণ থাকতে হবে দুজনের মাঝেই, তবেই সমাধান আসা সম্ভব। আলোচনার পর নিজেদের ভুল মেনে নিয়ে এক অপরের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩০৯ বার পড়া হয়েছে