দেশজুড়ে এখন মাঘ মাসের হাড় কাঁপানো শীত। এ সময়ে শরীর চাঙ্গা রাখতে ঘি বেশ সহায়ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতকালই ঘি খাওয়ার উপযুক্ত সময়। এ সময় এটি সহজে হজম হয় ও শরীর গরম রাখে। বিস্ময়কর কিছু গুণ থাকায় শরীরের জন্য ঘি দারুণ উপকারী। কিন্তু ঘিয়ের যত স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, তার কোনোকিছুই আপনি পাবেন না, যদি ঘি খাঁটি না হয়। ভেজাল ঘি শরীরের জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। কিন্তু কীভাবে চিনবেন ভেজাল ঘি? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে জেনে নিন ভেজাল ঘি চেনার সহজ কিছু উপায়। 

* হিট টেস্ট: একটি প্যানে ১ চামচ ঘি নিয়ে গরম করুন। যদি ঘি তাৎক্ষণিকভাবে গলে যায় এবং গাঢ় বাদামি রঙে পরিণত হয়, তবে এটি খাঁটি ঘি। যদি ঘি গলতে সময় নেয় এবং হলদে হয়ে যায়, তাহলে বুঝবেন, ঠকেছেন আপনি।

* পাম টেস্ট: ১ চা চামচ ঘি নিন হাতের তালুতে। ঘি যদি ত্বকের সংস্পর্শে আপনাতেই গলে যায় তবে বুঝবেন ঘি বিশুদ্ধ। এর ব্যতিক্রম হলে ওই ঘি এড়িয়ে চলুন। 

* ডাবল-বয়লার মেথড চেক: একটি কাচের বয়ামে সামান্য পরিমাণ ঘি নিন। একটি গরম পানির পাত্রে বয়ামটি বসিয়ে গরম করুন। গলে গেলে ফ্রিজে রেখে দিন বয়াম। ঘি যদি এক লেয়ারে জমে তাহলে বুঝবেন খাঁটি ঘি। কিন্তু যদি দুই লেয়ারে জমে, তা হলে বুঝবেন ঘিয়ের সঙ্গে নারিকেল তেল মেশানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ঘি এবং নারকেল তেলের দুটি আলাদা লেয়ার দেখতে পাবেন।

* আয়োডিন টেস্ট: অল্প পরিমাণ ঘি গলিয়ে তার মধ্যে দুই ফোঁটা আয়োডিন সলিউশন দিন। আয়োডিন যদি বেগুনি রঙ ধারণ করে তাহলে বুঝবেন ঘি খাঁটি নয়।   

* বোতল টেস্ট: এক চামচ ঘি গলিয়ে একটি স্বচ্ছ বোতলে রাখুন। এবার এতে এক চিমটি চিনি দিন। এরপর বোতলের মুখ বন্ধ করে খুব জোরে জোরে ঝাঁকান। ৫ মিনিটের জন্য বোতলটি স্থির অবস্থায় রেখে দিন। এরপর খেয়াল করুন বোতলের নিচে লাল রঙের আস্তরণ পড়েছে কি না। যদি লাল রঙের আস্তরণ পড়ে, তাহলে বুঝবেন ঘিয়ে ভেজাল মেশানো আছে।

Source: Risingbd

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২১৮ বার পড়া হয়েছে