কয়েকদিনের ছুটি পেলেই দেশ-বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন ভ্রমণপিপাসুরা। এবার আর পাহাড়, ঝরনা, সমুদ্র বা প্রকৃতি দেখতে নয় ঘুরতে যেতে পারবেন মহাকাশে। সেখানে গিয়ে ২-৩ দিন থাকতেও পারবেন নিরিবিলি। পৃথিবীর বাইরে জগত ঘুরে আসার এমন সুযোগ পাবেন আর মাত্র ৬ বছর পরেই। ততদিনে মহাকাশ ভ্রমণের প্রস্তুতি নিতে থাকুন!
উড়ন্ত হোটেলে বসেই আপনি ঘুরতে পারবেন মহাকাশে। জানালার বাইরে উঁকি দিয়ে দেখতে পারবেন উল্কা, ধূমকেতু। রোমাঞ্চকর এ অনুভূতি কিন্তু আপনি হোটেলের রুমে বসেই দেখতে পাবেন। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, উড়ন্ত এ হোটেলের ঘরগুরো পৃথিবীতে যে রকম হোটেলের ঘর থাকে তেমনই অনেকটা।
২০২৭ সালে মহাকাশে গড়ে উঠবে প্রথম স্পেস হোটেল। অরবিটাল অ্যাসেম্বলির ভয়জার স্টেশন জোরকদমে মহাকাশে এ হোটেল তৈরির কাজ চালাচ্ছে। ২০২৬ সালের মধ্যেই হোটেলের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করছেন তারা। ২০২৭ থেকে তা খুলে দেওয়া হবে পর্যটকদের জন্য। জানা গেছে, ফেরিস হুইলের আকারে এ হোটেলটি নির্মিত হবে। সবসময় ঘুরন্ত অবস্থায় থাকবে এ হোটেলটি। পৃথিবীকে ৯০ মিনিটে একবার পাক খেয়ে আসবে। তার গায়ে থাকবে নানা পডস, চাইলে গবেষণার জন্য সরকার তা ভাড়াও নেওয়া যাবে।
সেন্ট্রিফিউগাল ফোর্স ব্যবহার করে হোটেলে কৃত্রিমভাবে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি সৃষ্টি করা হবে। তবে এ হোটেলের মাধ্যাকর্ষণ টান পুরোপুরি মহাকাশের মতো হবে না বলেই জানিয়েছে সংস্থা। কারণ মহাশূন্যের জিরো গ্র্যাভিটিতে নড়াচড়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রশিক্ষণ নেন মহাকাশচারীরা। তবে এ হোটেলে থাকা পর্যটকদের এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে না।
ভয়জার স্পেস স্টেশনের প্রস্তাবিত এ হোটেল হবে প্রথম বাণিজ্যিক স্পেস হোটেল। ২৮০ জন পর্যন্ত অতিথির জন্য ডিলাক্স রুমের ব্যবস্থা থাকবে সেখানে। শুধু তাই নয়, মহাকাশে ছুটি কাটানোর জন্য কেউ ভিলা কিনতে চাইলে তারও ব্যবস্থা থাকবে এখানে। এ ছাড়াও এ হোটেলে থাকবে আনুষঙ্গিক সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। জিম, বার, রেস্তোরাঁ এবং বিনোদন কেন্দ্র সবই থাকছে উড়ন্ত হোটেলে। শুধু মহাশূন্যের এ পাঁচ তারকা হোটেলে কোনো পুল থাকবে না।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Premium Villa
কলম্বো ও ক্যান্ডি ৪দিন ৩ রাত
শেনজেন ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
২০১৯ থেকেই মহাকাশের হোটেল নির্মাণের পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। যদিও ২০২৫ সালের মধ্যে এ হোটেলটি পর্যটকদের জন্য় খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও। করোনাভাইরাসের জন্য কাজ পিছিয়ে যাওয়ায় আরও দুই বছর পেছানো হয়েছে বলে জানিয়েছে নির্মাণকারী সংস্থা।
তাই এবার না হয় ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা হোক পৃথিবীর বাইরে। তবে স্বাভাবিকভাবে মহাকাশে ছুটি কাটাতে হলে বড় অংকের অর্থ তো খরচ হবেই। মহাকাশে সাড়ে ৩ দিন থাকার জন্য খরচ হবে মাথাপিছু প্রায় ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাত্ ৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছেপূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...
২১৯ বার পড়া হয়েছে