রহস্যময় এক ছড়া। এর দুই পাশে উঁচু পাথরের দেয়াল। মাঝখান দিয়ে বয়ে চলেছে ঝরনাধারা। এ ছড়া ধরে যত ভেতরে এগিয়ে চলবেন; ততই আপনার শরীরে কাঁপুনি উঠবে। বেশ ঠান্ডা আবহাওয়া সেখানে। এজন্যই এর নামকরণ করা হয়েছে ঠান্ডা ছড়া। মহামারি শেষে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আদর্শ স্থান হলো ঠান্ডা ছড়া। সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আপনাকে মুহূর্তেই কল্পনারাজ্যে নিয়ে যাবে!

ঠান্ডা ছড়া অবস্থিত খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার ধর্মঘর এলাকায়। লম্বায় প্রায় ৬০০ গজ ছড়াটি। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয়দের জন্য আদর্শ স্থান হলো ঠান্ডা ছড়া। কালো পাথরের ঢিপি ধরেই হেঁটে যেতে হয় ছড়ার ভেতরে। পাথরের দেয়ালে ফুটে থাকা রং-বেরঙের বনফুলের দেখা পাবেন ছড়ার ভেতরে ঢুকতে গিয়ে। সেই ঠান্ডা আবহাওয়ায় আপনি হারিয়ে যাবেন কল্পনারাজ্যে। ধারণা করা হয়, ঝরনা ও পাথরের দেয়ালের কারণেই ছড়ার ভেতরের দিকের আবহাওয়া শীতল।

শুধু ঠান্ডা ছড়াই নয় বরং সেখানে যাওয়ার সময় খাগড়াছড়ির মনোরম সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন। ছোট-বড় পাহাড়, ঝরনা, গাছপালাসহ প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে পাবেন। ছড়ার পাশে পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রেও ঢুঁ মারতে ভুলবেন না।

যেভাবে যাবেন: ঢাকা থেকে বেশ কয়েকটি বাস সরাসরি খাগড়াছড়ি যায়। তার মধ্যে শান্তি, শ্যামলী, হানিফ বাসে খাগড়াছড়ি যেতে পারবেন। ভাড়া পড়বে ৫০০-৬০০ টাকা। এ ছাড়া বিআরটিসি ও সেন্টমার্টিন পরিবহনের এসি বাসও খাগড়াছড়ি যায়। সেক্ষেত্রে ভাড়া একটু বেশি। খাগড়াছড়ি পৌঁছে শহরের শাপলা চত্বরে নেমে সিএনজি কিংবা ব্যাটারিচালিত টমটমে করে দীঘিনালা উপজেলা হয়ে ধর্মঘর এলাকায় যাবেন। প্রায় তিন কিলোমিটার পাহাড়ি পথ পার হতে হবে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Dubai (City Tour) 4D/3N

মূল্য: 12,900 Taka

Maldives (Fun Islands) 3D/2N

মূল্য: ৩৯,৯০০ টাকা

Day Long Package

মূল্য: ৩,০০০ টাকা

সেখান থেকে হেঁটে ঠান্ডা ছড়ায় পৌঁছে যাবেন। ধর্মঘরে স্থানীয় কাউকে জিজ্ঞেস করলেই ছড়ার পথ দেখিয়ে দেবেন। চট্টগ্রামের অক্সিজেন এলাকা থেকেও খাগড়াছড়ি চলে যেতে পারেন। থাকা ও খাওয়া: খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। তার মধ্যে পর্যটন মোটেল, হোটেল ইকো ছড়ি ইন, হোটেল শৈল সুবর্ণ, হোটেল জেরিন, হোটেল লবিয়ত, হোটেল শিল্পী অন্যতম। ভাড়াভেদে ১৫০০-২২০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের রুম পেয়ে যাবেন।

খাগড়াছড়ি শহরের কাছেই পানখাই পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী সিস্টেম রেস্তোরাঁর অবস্থান। সেখানে খাগড়াছড়ির ঐতিহ্যবাহী খাবার খেতে পারবেন। এ ছাড়াও ছোট-বড় অনেক খাবারের দোকান পেয়ে যাবেন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩২০ বার পড়া হয়েছে