ইট পাথর আর কংক্রিটের শহরের মাঝে একটু বুক ভরা শীতল নিঃশ্বাস নিতে কার না ভালো লাগে? প্রকৌশলীর নকশায় প্রকৃতি আর কৃত্তিমতার সংমিশ্রণে মুগ্ধ হতে চাইলে ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ঢাকার অদূরে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ জিমখানা লেকে।
ঢাকা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নারায়ণগঞ্জ শহর। প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত এই শহর ব্যবসা বাণিজ্যসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে সারা বছর সরগরম থাকলেও ইতিহাস ঐতিহ্যের দিক থেকে সমৃদ্ধশালী এই শহর। ছোট এই শহরে প্রাচীন সভ্যতার প্রাচুর্যের সাথে নতুনত্বের সংমিশ্রণ আপনাকে মুগ্ধ করে তুলবে। আর এই শহরের এক পুরাতন ময়লা আবর্জনায় পূর্ণ একটি ডোবা সংস্কার করে মাত্র চার বছরে যেই রূপ দেওয়া হয়েছে তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এই নতুন রূপে সংস্কার হওয়া লেকটি স্থানীয়দের নিকট জিমখানা লেক বা মিনি হাতিরঝিল নামে পরিচিত।
যা দেখবেন
লেকের পাড়ে দাঁড়াতেই সুবিশাল আকৃতি আপনাকে শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। লেকটির উত্তর পাশে অর্ধবৃত্তাকার সিঁড়ির ধাপ তৈরি রয়েছে দর্শনার্থীদের বসার জন্য। মাথার উপর ধাতব ছাউনি, যার পুরোটাই গুল্ম জাতীয় উদ্ভিত প্রাকৃতিক ছায়া তৈরি করে রেখেছে। লেকের চারপাশজুড়ে দেখতে পাবেন বিভিন্ন প্রজাতির ফুলের গাছ আর টালি বিছানো পথ। লেকটির পূর্ব পাশে তৈরি করা হয়েছে উন্মুক্ত মঞ্চ যা অনেকটাই ধানমণ্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরের সাথে বেশ খানিকটা সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেখানে ছিল নারায়ণগঞ্জ শহরের ময়লার ভাগাড় সেখানে মাটি ভরাট করে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মাঠ। এ ছাড়া লেকের পূর্ব ও পশ্চিমে লেকের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য রয়েছে ভিউইং ডেক।
লেকের অন্যতম আকর্ষণ হচ্ছে এর উপরে অবস্থিত পথচারী সেতু। ব্রিজটি লেকের মাঝ বরাবর অবস্থান করায় এর উপর দাঁড়িয়ে পুরো লেকের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। যদিও লেকটির দক্ষিণ-পূর্ব পাশে সংস্কারকাজ চলছে কিন্তু তাতে বিন্দুমাত্র সৌন্দর্যের ঘাটতি নাই। সন্ধ্যার পর লেকজুড়ে রং-বেরঙের আলোকসজ্জায় আআরো মোহনীয় হয়ে উঠে লেকের সৌন্দর্য। দিনের বেলা জনসমাগম সাধারণ দিনে তুলনামূলক কম হলেও রাতে দর্শনার্থী বেড়ে দাঁড়ায় দ্বিগুণের ও বেশি।
যেভাবে যাবেন
ফিচার বিজ্ঞাপন
মালয়শিয়া-সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড ৭দিন ৬ রাত
সরবাটা ঘি ৫০০ গ্রাম
কুয়ালালামপুর-লঙ্কাউ ৫দিন ৪ রাত
নারায়ণগঞ্জের জিমখানা লেক ঢাকা থেকে মাত্র ১৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বাসে আসতে চাইলে ঢাকার গুলিস্তান থেকে উঠতে হবে নন এসি বন্ধন, উৎসব ও হিমাচল পরিবহনে। এ ক্ষেত্রে খরচ পড়বে ৩৬ টাকা। এ ছাড়া এসি বাসে ৫৫ টাকা খরচে শীতল অথবা বিআরটিসিতে উঠে চলে আসবেন চাষাড়া। সেখান থেকে রিকশায় মাত্র ২০ টাকায় পৌঁছে যাবেন জিমখানা লেক। সম্প্রতি এর নামকরণ শেখ রাসেল পার্ক করা হওয়ায় রিকশাচালকরা দেওভোগ জিমখানা লেক বললেই বুঝতে পারে।
কোথায় খাবেন
লেকের আশপাশে প্রচুর ফাস্টফুড ও ক্যাফে রয়েছে। যেখানে বেশ সুলভ মূল্যেই পেয়ে যাবেন সব খাবার। শহরের মাঝে অবস্থান করায় ভালো খাবার হোটেল বেছে নিতে আপনাকে খুব বেশি বেগ পেতে হবে না।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
৯১২ বার পড়া হয়েছে