বিশ্বায়নের যুগে দেশের অনেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন করা। আর পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই থাকে সর্বাধিক। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থার আন্তর্জাতিক খ্যাতি এবং গ্রহণযোগ্যতাই এর পেছনের অন্যতম কারণ। কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ব্যবসায় শিক্ষা অথবা বিজ্ঞান সব ক্ষেত্রেই এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ সুখ্যাতি ধরে রেখেছে। সঠিক পরিকল্পনাই পারে একজন শিক্ষার্থীর উচ্চশিক্ষার লক্ষ্য পূরণে সহায়তা করতে।

যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা বিষয়ক সব ধরনের তথ্য দিয়ে এবং ভর্তিসংক্রান্ত খুঁটিনাটি বিষয়ের পরামর্শের জন্য ঢাকার বারিধারার প্রগতি সরণিতে আমেরিকান সেন্টার এবং ধানমন্ডির ১৬ নম্বর সড়কে অবস্থিত এডওয়ার্ড এম কেনেডি (ইএমকে) সেন্টার কাজ করে যাচ্ছে। এ প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত সেমিনার আয়োজনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষায় ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয় তুলে আনছে। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের নানাবিধ সমস্যার সমাধান করতে অথবা তাদের সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে তারা শিক্ষার্থীদের জন্য কাউন্সিলিং সেশনেরও ব্যবস্থা করে থাকে। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর অত্যাধুনিক গ্রন্থাগার ব্যবহার করে আপনি সহজেই স্ট্যান্ডার্ডাইজড টেস্ট (জিআরই, জিম্যাট, স্যাট) এবং ল্যাঙ্গুয়েজ প্রফিসেন্সি টেস্টের (আইইএলটিএস, টোফেল) প্রস্তুতি নিতে পারেন। ইএমকে সেন্টারের এডুকেশন ইউএসএ অ্যাডভাইজার সাওসান রহমতউল্লাহ বলেন, ইএমকে সেন্টার শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষামূলক বিভিন্ন সহায়তা করে থাকে যা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। একজন শিক্ষার্থী কিভাবে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবে সে বিষয়ে গাইড লাইন দেয়া হয় ইএমকে সেন্টারের পক্ষ থেকে। আবেদন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে ইএমকে সেন্টার প্রতি রোববার এবং মঙ্গলবার বিকেল ৩.৩০টায় সেমিনার আয়োজন করে থাকে। ভাষাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য প্রতি সোমবার ৪.৩০টায় ইএমকে সেন্টারের বিশেষ আয়োজন থাকে।

ডিগ্রিসমূহ:
অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি, ব্যাচেলর ডিগ্রি, মাস্টার্স ডিগ্রি, পিএইচডি বা ডক্টরেট ডিগ্রি।

সেমিস্টার:
ফল সেমিস্টারঃ আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত স্প্রি সেমিস্টারঃ জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত সামার সেমিস্টারঃ মে থেকে জুলাই পর্যন্ত

আবেদন প্রক্রিয়া:
আপনার কাঙ্খিত বিভাগে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময়সীমা প্রথমে যাচাই করুন। আবেদন ফরম ও অন্যান্য তথ্যের জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিস বরাবর লিখুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আপনি আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন। অ্যাডমিশন অফিস আপনাকে ভর্তি সংক্রান্ত সব ধরনের তথ্য জানাবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তি পদ্ধতি চালু আছে। আপনি অন্তত এক বছর সময় হাতে রেখে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়াটি শুরু করুন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়।

বিভিন্ন কোর্সে ভর্তির শিক্ষাগত ও ভাষাগত যোগ্যতা এবং কোর্সের মেয়াদ:
অ্যাসোসিয়েট ডিগ্রি কোর্সটি সম্পন্ন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষা সমাপন। ভাষাগত যোগ্যতার জন্য প্রয়োজন হবে টোফেল সম্পন্ন করা তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জিম্যাট প্রয়োজন হতে পারে। কোর্সটির মেয়াদ – দুই বছরের পূর্ণকালীন স্টাডি। ব্যাচেলর ডিগ্রি কোর্সটি সম্পন্ন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ১২ বছরের শিক্ষা সমাপন। প্রয়োজন হবে টোফেল, তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জিম্যাট প্রয়োজন হতে পারে। কোর্সটির মেয়াদ -চার বছরের পূর্ণকালীন স্টাডি। মাস্টার্স ডিগ্রি কোর্সটি সম্পন্ন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে কমপক্ষে ১৬ বছরের শিক্ষা সমাপন। টোফেল প্রয়োজন হবে, তবে কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জিম্যাট প্রয়োজন হতে পারে। কোর্সটির মেয়াদ -দুই বছরের পূর্ণকালীন স্টাডি। ডক্টরেট ডিগ্রি কোর্সটি সম্পন্ন করতে শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে মাস্টার্স/এমফিল পর্যায়ের শিক্ষা। ভাষাগত যোগ্যতার প্রয়োজন হবে টোফেল এক্ষেত্রেও কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্যাট, জিআরই অথবা জিম্যাট প্রয়োজন হতে পারে। কোর্সটির মেয়াদ- তিন-ছয় বছরের পূর্ণকালীন স্টাডি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Australia Visa for Lawyer

মূল্য: 20,000 Taka

USA Visa (Private Job Holder)

মূল্য: 5,000 Taka

USA Visa (for Businessman)

মূল্য: 5,000 Taka

বিষয়সমূহ:
শিল্প ও শিল্প ইতিহাস, জীববিদ্যা, রসায়ন, কম্পিউটার বিজ্ঞান, ভূ-ম-ল ও পরিবেশ বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ফিল্ম ও মিডিয়া স্টাডিজ, ইতিহাস, ভাষাবিদ্যা, গণিত, ফলিত গণিত, পরিসংখ্যান, আধুনিক ভাষা ও সংস্কৃতি, সঙ্গীত, দর্শন, পদার্থ বিজ্ঞান ও জ্যোতির্বিদ্যা, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, রাসায়নিক প্রকৌশল, প্রাণরসায়ন, যন্ত্রকৌশল, তড়িৎ প্রকৌশল, বংশগতিবিদ্যা, এমবিএ, খাদ্য ও পুষ্টিবিজ্ঞান, আইনসহ অনেক বিষয়।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
রিকমেন্ডেশন লেটার, নিজ সম্পর্কে প্রবন্ধ, সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে থাকলে তার বিবরণ। এটি শিক্ষার্থীদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূরণকৃত আবেদনপত্র, আবেদন ফি পরিশোধের প্রমাণপত্র,পূর্বতন শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদের ইংরেজি সংস্করণ। শুধু অনুমোদিত যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিলিখন সম্পন্ন হতে হবে, স্কুল/কলেজের ছাড়পত্র, টোফেল পরীক্ষার ফলের সনদ,প্রয়োজন সাপেক্ষে জিআরই, স্যাট বা জিম্যাটের ফলের সনদ, পাসপোর্টের ফটোকপি।

অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য:
টিউশন ফিঃ পাবলিক এবং প্রাইভেট কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় ভেদে টিউশন ফি’র তারতম্য দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে যে বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করা হবে তার নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিস্তারিত জানা যাবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১,০১২ বার পড়া হয়েছে