এক-দেড় হাজার স্কয়ার ফিটের বাসায় কী ফার্নিচার রাখবেন তা নিয়ে মাথাব্যথা? বাজারের কোনো ফার্নিচার আপনার মন মতো নয়? আপনার দরকার বড় জায়গার ছোট ফার্নিচার। দোকানে দোকানে ঘুরে সময় নষ্ট না করে নিজের মতোই ফার্নিচার বানিয়ে নিন ছোট ফ্ল্যাটের জন্য।
এতে জায়গা যেমন বাঁচবে তেমনি ঘরের সৌন্দর্যও বাড়বে। একটু বুদ্ধি খরচ করে ফার্নিচার বানিয়ে নিলে বাসা বদলানোর সময়ও কষ্ট কম হবে। এক্ষেত্রে অ্যামেজিং ইন্টেরিয়রের দেওয়া কিছু আইডিয়া মাথায় রাখতে পারেনঃ
১. খাটের সঙ্গে জুড়ে দিন বুকশেলফ
খাটকে শুধু ঘুমানোর জায়গা না বানিয়ে খাটের সঙ্গে বুক শেলফটাও জুড়ে দিন। খাটের আশপাশে তৈরি করুন ছোট ছোট শেলফ আর নিচের জায়গাটাকে ব্যবহার করতে পারেন ওয়ারড্রোব হিসেবে। তাহলে বই আর জামা-কাপড় রাখার জন্য আলাদা করে বুকশেলফ আর ওয়ারড্রোব কেনার টাকা খরচ হলো না, জায়গাও বাঁচল।
২. জামা শুকানোর র্যাক
বারান্দায় বা জানালার জন্য আলাদা করে র্যাক তৈরি করে নিতে পারেন যেগুলো ভাঁজ করা যায়। এসব র্যাকে কাপড় শুকাতে দিন। চাইলে ছাদে বা বারান্দাতেও দিতে পারেন। কাপড় শুকানো হয়ে গেলে আবার ভাঁজ করে ঘরে তুলে রাখতে পারেন। এতে আলাদা করে বারান্দায় বা ঘরের ভেতর কাপড় শুকানোর জন্য দড়ি টানাতে হবে না।
৩. সোফার সঙ্গে টেবিল
ডাইনিং স্পেসের জন্য ছোট জায়গা থাকলে বা রিডিং রুমের জন্য আলাদা জায়গা না থাকলে ড্রয়িং রুমের সোফাটাকে কাজে লাগাতে পারেন। সোফার পেছন দিকে জুড়ে দিতে পারেন একটা টেবিল। তার সাথে সেট করে নিন চেয়ার। সোফার পেছন দিকের বই রাখার জন্য আলাদা ক্যাবিনেটও তৈরি করে নিতে পারেন। এতে ঘরের জায়গা বাঁচবে, বসার জায়গা তৈরি হবে।
৪. খাটের ওপর ক্যাবিনেট
ঘরে একটি খাট বসানোর পর যদি আর জায়গা না থাকে তাহলে দেয়ালের ওপরে ছোট কিছু ক্যাবিনেট তৈরি করে ঝুলিয়ে দিন। এতে অল্প জায়গার মধ্যেই বাড়তি জায়গা করে নেওয়া যাবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মালয়শিয়া-সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ড-ইন্দোনেশিয়া ৯দিন ৮ রাত
Kathmandu-Pokhara-Nagarkot-Bhoktopur 5D/4N
Canada Visa for Businessman
৫. খাট থাকুক মেঝের নিচে
এটা একটু অদ্ভূত শোনালেও জায়গা বাচানোর জন্য খুবই কার্যকরী। মেঝের ওপর একটু উঁচু করে জায়গা তৈরি করে নিতে পারেন। সেখানটা রিডিং স্পেস বা আড্ডাখানা বানাতে পারেন। তার নিচেই খাট জুড়ে দিতে পারেন। ঘুমানোর সময় খাটটা বের করে আনলেই হলো, বাকি সময় সেটাকে গায়েব করে দিন।
৬. মারফি ডেস্ক লাগিয়ে নিন দেয়ালে
এটা খুবই কাজের জিনিস। একইসঙ্গে টেবিল এবং শেলফের কাজ হয়ে যাবে। একটুও বাড়তি জায়গা খরচ হবে না। যখন প্রয়োজন টেবিলটি বের করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নিন আর বাকি সময় ভাঁজ করে দেয়ালে রেখে দিন। সাথে শুধু বসার জন্য একটা প্লাস্টিকের মোড়া কিনে নিতে হবে।
৭. দরজার ওপরে শেলফ
দরজার ওপরে শেলফ লাগিয়ে নিতে পারেন ছোট করে। সেখানে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হাতের কাছে রাখতে পারেন। আর দরজার ওপরে থাকায় মানুষের নজরেও সেভাবে পড়বে না।
৮. মারফি বেড
জায়গা বাঁচাতে এই জিনিসের জুড়ি নেই। তবে একটু বুঝে-শুনে বানাতে হবে। কারণ আপনার ঘরের জায়গা বুঝে জিনিসটা বানাতে হবে। একইসঙ্গে দুজনের ঘুমানোর ব্যবস্থা রয়েছে এতে। সেই সঙ্গে মারফি বেডকে ভাঁজ করে একেবারে দেয়ালের ভিতরে রেখে দিতে পারবেন, একটুও জায়গা নষ্ট হবে না।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৫১ বার পড়া হয়েছে