কিডনি রোগীরা কি রোজা রাখতে পারবেন? আর যদি রাখেন তবে তাদের কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সবাই কমবেশি বিভ্রান্তিতে ভোগেন। কিডনি রোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ জেনে নেয়া যাক-
কাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ
যারা দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগী, যাদের কিডনি বিকল হয়ে পঞ্চম ধাপে আছেন, যাদের নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হচ্ছে, যাদের মূত্রতন্ত্রের প্রদাহের চিকিৎসা চলছে, আকস্মিক কিডনি বিকল রোগীদের মধ্যে যারা কিডনির কোনো জরুরি অপারেশন করাতে হচ্ছে তাদের জন্য রোজা রাখা ঝুঁকিপূর্ণ। তাছাড়া দীর্ঘস্থায়ী কিডনি রোগীদের যদি রক্তের উপাদানে কোনো জটিলতা দেখা দেয়, যাদের ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত, তাদের এগুলো নিয়ন্ত্রণ করে রোজা রাখতে হবে।
রোজায় একজন কিডনি রোগী কি খাবেন
সাধারণত ক্রিয়েটিনিন বেশি থাকলে কিডনি রোগীদের ডাল ও ডালের তৈরি খাবার খেতে নিষেধ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে পেঁয়াজু, বেসনের তৈরি বেগুনি, হালিম, ঘুগনি ইত্যাদি। সুতরাং কিডনি রোগীদের এ সমস্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। এর বদলে চালের গুড়ো দিয়ে তৈরি খাবার খেতে পারেন। সবজির পাকোড়া ময়দা দিয়ে বানিয়ে খেতে পারেন। আলুর চপ ডিমের সাদা অংশ দিয়ে ভেজে খেতে পারেন।
এছাড়াও বাইরের কৃত্রিম রং দেয়া খাবার, টেস্টিং সল্ট দেয়া খাবার না খাওয়াই ভাল। কিডনি রোগীদের শরীরে পটাশিয়ামের মাত্রার উপর নির্ভর করে তারা কোন্ ধরনের ফল খাবেন, নাকি একদমই খাবেন না।
তবে আপেল, বিচি ছাড়া পেয়ারা, নাসপাতি, পাকা পেঁপে, আনারস,খেতে পারবেন পরিমাণ মতো। তা দিয়ে জুস বা ডেজার্ট করে খেতে পারবেন।
ভাত, রুটি, মাছ, মুরগির মাংস, দুধ ইত্যাদি কিডনির অবস্থার উপর নির্ভর করে পরিমাণ মতো খেতে পারবেন। তবে একসাথে একাধিক প্রোটিন না খাওয়াই ভালো। যেমন- মাছ খেলে মাংস বা ডিম খাবেন না সেই বেলা।
যাদের রক্তে পটাশিয়াম বেশি তারা শাকসবজি পটাশিয়ামমুক্ত করে পানিতে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে খাবেন ও ফল সীমিত পরিমাণ খাবেন।
আপনার ডাক্তারের পরামর্শে রক্তের উপাদান মাঝে মাঝে পরীক্ষা করিয়ে নেবেন। সেহরির সময় ভাত-রুটি, মাছ-মাংস, ডিম, দুধ পরিমিত খাবেন। ইফতারের সময় খাবেন খেজুর, চিড়া, দই, ডিমের পুডিং,সুজি, সেমাই, পায়েস, সাগুদানা ভালো হবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Vietnam & Cambodia 7D/6N
বাংকক-ফুকেট-ক্রাবি ৭দিন ৬ রাত
Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N
সেই সঙ্গে আলগা লবণ ও লবন জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে এবং প্রোটিন জাতীয় খাবার বিশেষ করে গরু-খাসির মাংস কম খেতে হবে। ১৫ দিন পর পর ১ দিন খাওয়া ভালো তবে মুরগী, মাছ রোজ পরিমাণ মতো খেতে পারবেন।
কোন ধরনের সবজি ও শাক দিয়ে মেনু তৈরি করবেন আসুন জেনে নেই।
শাক: লালশাক, ডাঁটাশাক, কলমিশাক, মিষ্টি কুমড়া শাক, লাউশাক, সরিষা শাক, ও কচুশাক খেতে পারবেন।
সবজি: ডাঁটা, পটোল, করলা, ঝিঙ্গা, কাঁকরোল, লাউ, শসা, বেগুন, চাল কুমড়া, বিচি ছাড়া শিম, ধুনদুল, বেগুন, গাজর, চিচিঙ্গা,ঝিঙ্গা, চালকুমড়া ও আলু পরিমানে কম খেতে পারবে।
ফল: আপেল, পাকা পেঁপে, পাকা পেয়ারা, আনারস, নাসপাতি, জামরুল, পাকা কাঁঠাল, কাঁচা আম ও পাকা বেল।
অন্যান্য: চাল, আটা, ময়দা, মুড়ি, চিড়া, মুগ ডাল (অল্প পরিমাণ), সেমাই, সুজি, বার্লি, কর্নফ্লেক্স, ভুট্টা, কর্নফ্লাওয়ার ইত্যাদি।
মনে রাখতে হবে, এখন প্রচণ্ড গরমের সময়। খোলা খাবার, রাস্তার পাশে বিভিন্ন রঙবেরঙের শরবত সহজেই জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হতে পারে। এগুলো খেয়ে ডায়রিয়া, বমিতে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগীর আকস্মিক কিডনি বিকল হয়ে যেতে পারে। এজন্য এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। বাড়ির সবার সাথে ইফতার করলেও কিডনি রোগীর ডায়েট প্লানটা হবে আলাদা সেই অনুযায়ী সঠিক খাদ্য পরিমাণ মতো খেলেই রোযা রাখতে কোন অসুবিধা হবে না।
লেখক:
রেবেকা সুলতানা রুমা (পুষ্টিবিদ)
নিউজিল্যান্ড ডেইরি প্রডাক্টস বাংলাদেশ লিমিটেড
ক্লিনিক্যাল ডায়েটিশিয়ান
এস আই বি এল ফাউন্ডেশন হাসপাতাল, ঢাকা
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছেপূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...
২৮৪ বার পড়া হয়েছে





