যেখানে রোজকার খাবার তৈরি হচ্ছে, সেই জায়গাটা পরিষ্কার রাখা অতি আবশ্যক। তবে রান্নাঘর পরিষ্কার করতে অনেকেই হিমশিম খান। সাদা টাইলসের উপর হলুদের দাগ কিংবা ডাস্টবিনে জমে থাকা ময়লার উপর যখন ফ্রুট ফ্লাই ভনভন করে, তখন সকলেই চোখে সর্ষেফুল দেখেন। কীভাবে রান্নাঘরের প্রত্যেকটা কোণ ঝাঁ চকচকে রাখবেন বা কীভাবে জেদি দাগ তুলবেন জেনে নিন ‘ওবেলা’র কাছ থেকে।
ফ্রুট ফ্লাইয়ের উৎপাত লেগেই থাকে। শুধু ডাস্টবিন কেন, ফলের ঝুড়িতে কিছুদিন ফল রেখে দিলেই তার চারপাশে এরা ঘিরে থাকে। এদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার বেশ কিছু উপায় রয়েছে। এক বাটি ভিনিগারে তিন ফোঁটা লিক্যুইড সোপ ঢেলে ঝুড়ির কাছে আলগা রেখে দিন। ভিনিগারের গন্ধ ফ্রুট ফ্লাইদের খুব পছন্দ। তারা বাটির দিকে ধেয়ে যাবেই। কিন্তু লিক্যুইড সোপ থাকায় একবার বাটিতে বসলে আর উড়ে যেতে পারবে না।
কাচের গ্লাস বা পাত্র ভেঙে মাটিতে পড়লে বেজায় বিপদ হয়। কিছুতেই সব টুকরো পরিষ্কার করা যায় না। শুধু ঝাঁটা দিয়ে পরিষ্কার না করে শেষে কয়েকটা পাউরুটি দিয়ে জায়গাটা ঘষে মুছে নিন। খুব সূক্ষ্ণ টুকরোও পাউরুটিতে আটকে যাবে।
কাঁসার বা পিতলের বাসন মাজা বেশ কষ্টকর। কিছুতেই দাগ উঠতে চায় না। সাধারণ বাসন ধোওয়ার সাবানের বদলে তেঁতুল দিয়ে পরিষ্কার করে দেখতে পারেন। আরেকটা ভাল উপায় টমেটো সস। একটুখানি টমেটো সস মাখিয়ে একটা সুতির কাপড় দিয়ে কিছুক্ষণ ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।
রান্নাঘরের দেওয়ালে দু’ধরনের দাগ থাকে। এক, যেগুলো তেলতেলে হয়। দুই, যেগুলো জলে পরিষ্কার করা যায়। ধরুন ওয়াইনের দাগ, মশা মারার দাগ, কাসুন্দি বা সসের দাগ হলে টিস্যু পেপার ভিজিয়ে ঘষে তুলতে হবে। যদি রান্নার তেল-কালি থেকে দাগ হয়ে যায়, তাহলে ঈষদুষ্ণ জলে অল্প বাসন মাজার লিক্যুইড সোপ কিছুক্ষণ জায়গাটায় মাখিয়ে রাখুন। পরে কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করুন। তবে যে কোনও দাগই যত দীর্ঘ দিন রেখে দেবেন, তত তুলতে কষ্ট হবে। তাই দু’সপ্তাহ অন্তর দেওয়াল পরিষ্কার করার চেষ্টা করুন। না হলে, মাসে অন্তত একদিন।
অনেক শৌখিন মানুষের রান্নাঘরের মেঝেতে উডেন টাইলস থাকে। কিন্তু কাঠের জিনিস পরিষ্কার রাখা আরও মুশকিল। একটা সহজ উপায় এক বালতি জলে দশ ভাগের এক ভাগ সাদা ভিনিগার মেশান। তারপর সেই জলে ঘর মুছে নিন।
অনেকেই লোহা বা কাস্ট আয়রনের বাসন ব্যবহার করেন। কিন্তু এগুলো পরিষ্কার করা খুব একটা সহজ নয়। সাধারণভাবে না ধুয়ে এই পাত্রে দু’টেবিলচামচ তেল গরম করুন। ফুটে গেলে কয়েক চিমটে নুন দিন। তারপর সাঁড়াশির সাহায্যে একটা পেপার টাওয়েল নিয়ে পাত্রটা ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে ফেলুন। শেষে পাত্রের কোটিংয়ের জায়গাটা যদি চটলা উঠে যায় তাহলে ভেজিটেবিল অয়েল বুলিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
সরবাটা ঘি ৫০০ গ্রাম
তুরস্ক ভিসা (চাকুরীজীবী)
ভিয়েতনাম- ইন্দোনেশিয়া ৭দিন ৬ রাত
রান্নাঘরের টাইলস পরিষ্কার করতে সবচেয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। চিন্তা করবেন না। এরও সহজ উপায় রয়েছে। এক বালতি পানিতে এক কাপ বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তারপর একটা স্পঞ্জ দিয়ে পরিষ্কার করুন। দেখবেন অনেক জেদি দাগও কেমন ভ্যানিশ হয়ে গিয়েছে!
রান্নাঘরের সিঙ্ক বা অন্য কোনও অংশ থেকে যদি আঁশটে গন্ধ বেরোয় তাহলে জায়গাটায় লেবুর রস আর বরফ দিয়ে ঘষতে হবে। আরও ভাল হয় যদি ভিনিগার জমিয়ে বরফ তৈরি করে। ফ্রিজের ভিতরে একটা খাবারের গন্ধ যাতে অন্য খাবারের সঙ্গে না মিশে যায় বা ফ্রিজে অন্যরকম গন্ধ না হয়ে যায়, তার জন্য একটা পাত্রে একটু বেকিং সোডা রেখে দিন। প্রতি তিন মাস অন্তর পাত্রে নতুন করে বেকিং সোডা ঢালবেন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১,৪২০ বার পড়া হয়েছে