মঙ্গলবার বিধিনিষেধের ১২তম দিনে ঢাকা মহানগরীতে ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে অনেকেই যাত্রী পরিবহন করছেন। ট্রাফিক পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হলে তাঁরা নানা ধরনের অজুহাত দিচ্ছেন। অন্যান্য দিনের তুলনায় নগরীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, বিভিন্ন সরকারি–বেসরকারি অফিসের গাড়ি, পণ্যবাহী গাড়ির চাপ অনেক বেড়েছে বলে জানিয়েছেন মাঠপর্যায়ে দায়িত্বপালনকারী ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা। এ কারণে সকাল থেকে অনেক গাড়িকে সিগন্যালেও আটকে থাকতে হচ্ছে। নগরীতে পুলিশের চেকপোস্টও কমে গেছে।

বিজয় সরণিতে দায়িত্ব পালনকারী সার্জেন্ট রইসুল ইসলাম বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বলেন, সকাল থেকেই রাস্তায় গাড়ির প্রচণ্ড চাপ। অনেকে গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাত্রী পরিবহন করছেন। বিশেষ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন অনেক বেড়েছে। এখন পর্যন্ত সরকারি আদেশ অমান্য করার অভিযোগে তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি মোটরসাইকেলচালককে ১ হাজার টাকা এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালককে ১ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁরা যাত্রী পরিবহন করার পাশাপাশি মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।

মাঠে দায়িত্বপালনকারী একাধিক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য জানান, রাস্তায় গাড়ির চাপ বাড়ার কারণে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঘর থেকে বের হওয়া অধিকাংশ মানুষকেই তাঁরা জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারছেন না। বিধিনিষেধ মানতে অনেকেই অপারগতা দেখাচ্ছেন।

তেজগাঁও এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক সার্জেন্ট বেলা ১১টার দিকে বলেন, সোমবারের তুলনায় গতকাল ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ গাড়ির চাপ বেড়েছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত অফিসগামী গাড়ির চাপ বেশি ছিল। এখন চাপ সকালের তুলনায় সামান্য কমলেও অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। সিগন্যালে গাড়িগুলোকে এক থেকে দুই মিনিট পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 6D/4N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত

মূল্য: ৮৪,৯০০ টাকা

এদিকে মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, মগবাজার, ফার্মগেট, বিজয় সরণি এবং জাহাঙ্গীর গেট এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় মানুষ বেশি বের হলেও তল্লাশি কার্যক্রম চলছে ঢিলেঢালা।

করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা বাড়িয়ে ১৪ জুলাই পর্যন্ত করা হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত পুনরায় কঠোরতম বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৭১ বার পড়া হয়েছে