বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের মহামারির মধ্যে এবারের পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে। তাই এ বছর সুস্থতা ও শরীর ঠিক রাখার বিষয়ে আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতে হবে। কিছুতেই অসুস্থ হওয়া চলবে না, এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাবে। কাজেই এবারের রোজায় কিছু বিষয়ে অবশ্যই লক্ষ রাখতে হবে।
১. সাধারণত আমাদের ইফতারে মজাদার ও বিচিত্র খাবারের সমারোহ থাকে। এবার তা যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। কারণ, যত কম বাজার ও বাইরে যাওয়ার দরকার হয়, এবার ততই ভালো। কাজেই কম উপাদান দিয়ে কীভাবে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া যায়, সেদিকে মনোযোগী হতে হবে।
২. অতি ভোজন, ভাজাপোড়া ইত্যাদি থেকে বদহজম, ডায়রিয়া, অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য বা অন্য যেকোনো সমস্যা হতে পারে কিংবা সমস্যা বাড়তে পারে। একটি কথা মাথায় রাখতে হবে, এ সময় অসুস্থ হলে চিকিৎসকের কাছে বা হাসপাতালে যাওয়াও ঝুঁকিপূর্ণ। তাই যেসব খাবার সহজে হজম হয়, সেগুলোই থাকতে হবে খাদ্যতালিকায়।
৩. খাদ্যঘাটতি এড়াতে আমাদের সবারই উচিত অপচয় না করে কিছুটা কৃচ্ছ্রসাধন করা। তাই আসুন অল্প, কিন্তু পুষ্টিগুণসম্পন্ন খাবার খাই।
৪. করোনা মোকাবিলার কথা ভেবে খাবারে যথেষ্ট জিংক, ভিটামিন সি ও ডি, বি৬, বিটা ক্যারোটিন, প্রোটিন ও আঁশ রাখুন।
৫. গরমকালে দিন বড় হয়। কাজেই পানিশূন্যতা ঠেকাতে ইফতারের পর থেকে সাহ্রির আগ পর্যন্ত সময়টায় প্রচুর পানি পান করুন। অন্তত ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি তো পান করতেই হবে। সেই সঙ্গে অন্য তরল খাবার যেমন বাড়িতে তৈরি তাজা ফলের রস, ডাবের পানি, টক দইয়ের লাচ্ছি, লেবুর শরবত, ইশবগুল, স্যুপ ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে।
৬. রঙিন ফলমূলে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ থাকে। তাই ইফতারের প্লেটে তরমুজ, পেয়ারা, আমড়া, মাল্টা, কাঁচা আম, ডালিম, বাঙ্গি ইত্যাদি রাখুন। এতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। ইফতারে এক-দুটি খেজুর সারা দিনের ক্লান্তি, মাথাধরা ইত্যাদি দূর করবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, আমাদের প্রতিদিন দুই কাপ পরিমাণ তাজা ফলমূল খাওয়া উচিত।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Canada Visa for Businessman
Hanoi, Halong, Halong Bay Cruise 5D/4N
কানাডা ভিসা
৭. ইফতারে ভাজা খাবার কম খান। কাঁচা ছোলার সঙ্গে লেবুর রস, পুদিনা, কাঁচা মরিচ, আদাকুচি, রসুনকুচি, ধনেপাতা, কালিজিরা মিশিয়ে খান। এতে প্রচুর ভিটামিন, আঁশ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাবেন। মুড়ি, সবজি, দই-চিড়া, ডিম, সবজি, আলুর চপ ইত্যাদি খান।
৮. রাতের খাবার কতটুকু খাবেন, তা নির্ভর করে ইফতারের ওপর। ইফতার বেশি খাওয়া হলে রাতে হালকা খান। যেমন কর্নফ্লেক্স বা ওটস, দুধ-মুড়ি, স্যুপ বা ফল। আবার যারা ইফতারে কম খান, তারা ডিনারে লাল আটার রুটি বা একটু ভাত, সবজি, ডাল, মুরগি বা মাছ খেতে পারেন।
৯. সাহ্রিতে একটু ভালো করে খাওয়া উচিত। ভাতের সঙ্গে সবজি, ডাল, মাছ বা মাংস, ডিম ইত্যাদি মিলিয়ে একটা সম্পূর্ণ খাবার খান।
১০. রোজায় চা-কফি ইত্যাদি বেশি পান করা ঠিক নয়। এতে পানিশূন্যতা হতে পারে। তবে লেবু, আদা দিয়ে লিকার চা খেলে কাশি-গলাব্যথা কম হবে।
লেখক: পুষ্টিবিদ
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩৬৮ বার পড়া হয়েছে