প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু অবনতির দিকে যাওয়ায় দেশের মানুষকে বাঁচাতে গেল ৫ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য ‘লকডাউনের’ ঘোষণা দেয় সরকার।জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানার আহ্বানসহ বেশ কয়েকটি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।কিন্তু প্রথম দিনই ঢিলেঢালা ভাব দেখা গেছে সর্বত্র। দ্বিতীয় দিনের পরিস্থিতি আরও করুণ।রাজধানীতে যানবাহন চলাচলে মনে হয়নি দেশে লকডাউন চলছে।

রাজধানীর প্রায় প্রতিটি সড়ক ছিল ব্যস্ত।যানবাহনমুক্ত ছিল না এক মিনিটও।কোথাও কোথাও দীর্ঘক্ষণ যানজট লেগে থাকার দৃশ্যও দেখা গেছে।আর মানুষের চলাচলেও ছিল গাছাড়া ভাব, যেন দেশে করোনা বলতে কিছু নেই।কাজের উদ্দেশে বা কর্মস্থলে যাওয়া ছাড়াও অকারণে গল্প-গুজবে লিপ্ত থাকতে দেখা গেছে।অথচ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণ হয়েছে।৬৬ জন মৃত্যৃ ও ৭ হাজার ২১৩ জনের শরীরে করোনা ধরা পড়েছে।
 
কোথাও কোথাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে সুরক্ষার অভাব যেমন ছিল, তেমনি সামাজিক দূরত্বও মানা হয়নি।রাজধানীর কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, রামপুরা, হাজীপাড়াসহ আশেপাশের অনেক সড়ক ও অলিগলিতে এমন পরিস্থিতি দেখা মিলেছে।অনেক দোকানই খোলা পাওয়া গেছে।করোনা পরিস্থিতি যে দিনে দিনে অবনতির দিকে যাচ্ছে- তার লেশমাত্রও দেখা মেলেনি সাধারণ মানুষের চলাফেরায়।অনেকে মাস্ক পরেননি, আবার কেউ পরলেও রেখেছেন থুঁতনিতে।

এদিকে রাইড শেয়ারিংয়ে যাত্রী উঠাতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও বিভিন্ন সড়কে, মোড়ে দেখা গেছে রাইডারদের অবস্থান।সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে যাত্রী বহন করায় অনেক জায়গায় রাইডারকে জরিমানাও করেছে ট্রাফিক পুলিশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬৬ জন মৃত্যু ও সর্বোচ্চ ৭ হাজার ২১৩ জন শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ ও শংকা প্রকাশ করেছেন খোদ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, প্রতিদিন যদি ৪-৫ হাজার রোগী বাড়ে তাহলে সারা শহরকে হাসপাতাল বানালেও সামাল দেওয়া সম্ভব না।

মন্ত্রী আরও বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ঢাকার সব হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। আড়াই হাজার শয্যাকে পাঁচ হাজার করা হয়েছে, এরচেয়ে বেশি বাড়ানো সম্ভব না।জনগণ সতর্ক না হলে মনে রাখতে হবে, পাঁচ হাজার শয্যার পর হাসপাতালগুলোতে এক ইঞ্চি জায়গা নেই আর শয্যা স্থাপনের।

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে দেশে করোনা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেবে- যা নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে যেতে পারে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kathmandu-Pokhara-Nagarkot-Bhoktopur 5D/4N

মূল্য: ১৮৯০০ টাকা

Alexandria & Cairo 6D/5N

মূল্য: 38,900 Taka

দুবাই ও তুরস্ক ৭দিন ৬ রাত

মূল্য: ৫৫,৯০০ টাকা

করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় হাসপাতালে দেখা দিয়েছে আইসিইউ ও সাধারণ কোভিড রোগীদের চিকিৎসা সংকট- এ পরিস্থিতিতে চারটি শর্ত না মানলে সংক্রমণ কমানো সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও ইউজিসি (ইউনিভার্সিটি গ্রান্টস কমিশন বা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল্লাহ।

শর্তগুলো হচ্ছে- ১. সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক ব্যবহার করা ২. সামাজিক দূরত্ব কঠোরভাবে বজায় রাখা ৩. স্বাস্থ্যবিধি সর্বতোভাবে পালন করা এবং ৪. সবার করোনার টিকা গ্রহণ করা বাধ্যতামূলক।

Source: Jugantor

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



২১০ বার পড়া হয়েছে