প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষায় শবে বরাতে কবরস্থান ও মাজারে জনসমাগম না করতে মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

মুসলমানদের কাছে পবিত্র এই রাতে মহামারী তৈরি করা এই ভাইরাস সংক্রমণ থেকে পরিত্রাণ কামনা করে ঘরে বসে বিশেষ দোয়া করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বাংলাদেশ শবে বরাত পালিত হবে। মুসলমানরা এ রাতে আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকিরসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে অতিবাহিত করেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক সাংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে। বাংলাদেশেও এর প্রভাব দৃশ্যমান হচ্ছে। বিরাজমান পরিস্থিতিতে ‘মহিমান্বিত এ রজনীতে’ নিজ নিজ বাসস্থানে অবস্থান করে ইবাদত করার সময় দেশের জন্য এই পরিস্থিতির জন্য বিশেষ দোয়া করা আহ্বান করা হয়েছে।

এছাড়া দেশের আলেম-ওলামা, পীর-মাশায়েখ, মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও শিক্ষকসহ সবাইকে এই দোয়া ও প্রার্থনার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “ইতোপূর্বে লক্ষ করা গেছে যে, পবিত্র শবে বরাতে জিয়ারতের জন্য কবরস্থান ও মাজারে অনেক লোকের সমাগম হয়। এছাড়া কবরস্থান ও মাজারের ভিতরে ও বাইরে অনেক ভিক্ষুক, অসহায়, অস্বচ্ছল, প্রতিবন্ধী ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি সাহায্যের জন্য সমাবেত হয়।

“এ ধরনের জনসমাগমের কারণে করোনাভাইরাস ব্যাপক হারে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমতাবস্থায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বিস্তার রোধে শবে বরাতে কবর জিয়ারতের উদ্দেশে কবরস্থানে না গিয়ে নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করে মৃত আত্মীয়-স্বজনের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করার জন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে আহ্বান করা হয়েছে।”

ফিচার বিজ্ঞাপন

Hanoi, Halong, Halong Bay Cruise 5D/4N

মূল্য: 32,900 Taka

একই সাথে কবরস্থান ও মাজারের গেইট বন্ধ রাখাসহ কবরস্থানের ভেতর ও বাইরে কোনো ধরনের জনসমাগম যাতে না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্তদের অনুরোধ জানিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে বিভিন্ন গুজব ছড়ানো হচ্ছে জানিয়ে কোনো ধরনের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হতেও আহ্বান জানানো হয়েছে।

নভেল করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে ইতোমধ্যে বাসায় শবে বরাতের ইবাদত করতে আহ্বান জানিয়েছিল ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

বিশ্বে মহামারী তৈরি করা নভেল করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে ২১৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে মারা গেছেন ২০ জন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩১৫ বার পড়া হয়েছে