বর্ষা এলেই প্রকৃতি সবুজে সাজে। শহুরে বাড়ির বারান্দা ও ছাদে দেখা যায় সবুজ গাছপালা। বছরের অন্য সময়ের তুলনায় বর্ষাকালে গাছের কম যত্ন নিতে হয় বলে অনেকেই বাগান করেন। তবে শখের বাগানি থেকে নগর কৃষক হয়ে ওঠা কঠিন কিছু না। ফুল-ফলের গাছের বাইরেও নানা ধরনের সবজির আবাদ করা যায় ছাদে, যেখান থেকে আপনার ঘরের নিয়মিত রান্নায় সবজির জোগান পাবেন।
আমি এক দিন পরপর আমার বাগান থেকে নানা ধরনের শাকসবজি তুলি। সেটা রান্না করে খাওয়ার মধ্যে আলাদা একটা আনন্দ আছে। বাজারের কেনা সবজি থেকে এসব সবজির স্বাদও হয় আলাদা। রাজধানীর কল্যাণপুরের কৃষ্ণচূড়া অ্যাপার্টমেন্টে নিজের এই ছাদবাগান শুরু করেছিলাম ২০০৮ সালের দিকে। নিজেই যখন ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের অন্দরসজ্জা করি, তখন মাথায় রেখেছিলাম এক টুকরো বাগানের। কিছুই না জেনে বাগানে নানা ধরনের গাছ লাগাতে শুরু করি। নার্সারি থেকে গাছ এনে লাগানোর পর মরে যেত। নার্সারির বিক্রেতারা অনেক সময় ভুল তথ্য দেন, যে গাছ ছাদের উপযোগী, সেটাকে তাঁরা বারান্দার গাছ বলেও বিক্রি করেন। শুরুতে এই সমস্যায় অনেকবার পড়েছি। এরপর নানা বিষয়ে পড়াশোনা ও কর্মশালা করে গাছের যত্ন নিতে শিখেছি।
ছাদ বা বারান্দায় বাগানের জন্য কিন্তু যত্ন গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমে মাটি তৈরি করতে হবে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রেখে—সহজে যেন পানি নিষ্কাশন হয়, পরিপূর্ণ পুষ্টি পায়, মাটি যেন ঝুরঝুরে হয়। খেয়াল রাখতে হবে যেন গাছে অতিরিক্ত পানি দেওয়া না হয়। আবার কম পানিও দেওয়া যাবে না। বর্ষাকালে নিয়মিত বৃষ্টি হয়, তাই গাছের গোড়া না শুকিয়ে গেলে আলাদা করে পানি দিতে হবে না। খেয়াল রাখুন টব বা বেডে যেন পানি জমে না থাকে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Dubai (City tour- Abu Dhabi tour) 4D/3N
Domain Registration
Toyota Allion 2014 G Package
গাছ লাগানোর পর নিয়মিত বাগানের আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। ছাদে ছোট জলাশয় থাকলে জলজ উদ্ভিদের সংগ্রহ রাখতে পারেন। নানা রকম শেওলা, বড়নখা, কচুরিপানা ইত্যাদি জলাশয়ে রাখতে পারেন। অনেক সময় সেখানে মশা হতে পারে। তাই জলাশয়ে গাপ্পি মাছ ছেড়ে দিলে তারা মশার লার্ভা খেয়ে ফেলবে। ফলে মশা জন্মাবে না। গাছগুলো মাঝে মাঝে প্রুনিং (ছেঁটে দিলে, বছরে অন্তত একবার) করলে বৃদ্ধি এবং ফলন ভালো হবে। তবে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিক গাছ নির্বাচন করা। জানতে হবে কোন গাছের জন্য কোন পরিবেশ দরকার।
আমাদের ছাদের এক পাশে মাটিতে কাউগ্রাস লাগিয়েছি। তার পাশ দিয়ে নানা রকম ফুলের গাছ, যেমন কামিনি, কাঠগোলাপ, রঙ্গন ইত্যাদি। ভাঙা বাথটাব, ফেলনা কমোড, বেসিন ইত্যাদি উপকরণের মধ্যে গাছ লাগিয়েছি। নানা রকম টব আছে বাজারে। তবে টবে গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখবেন, মাটি, প্লাস্টিক বা টিনের টব যা-ই হোক, সেটা ভালো মানের হতে হবে। প্লাস্টিকের টবে বড় প্রজাতির গাছ লাগালে শিকড় বড় হওয়ার সময় টব ফেটে যাওয়ার ভয় থাকে। এদিক থেকে মাটির টব ভালো। আবার আম, পেয়ারা বা জামের মতো বড় গাছ টিনের ড্রাম বা টবে ভালো হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১,৩৭৯ বার পড়া হয়েছে