ইরাকের বাগদাদ থেকে বাংলাদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য হযরত শাহজালালের (র.) সঙ্গে যে ৩৬০ জন আউলিয়া আসেন, তাদের মধ্যে হযরত রাস্তি শাহ (র.) অন্যতম। তিনি ১৩৫১ সালে এদেশে আসেন।

রাস্তি শাহ ১২৩৮ সালে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানীর (র.) আত্মীয় ছিলেন। লক্ষ্মৌর মুসলিম রাজ্যের সুলতান শামসুদ্দিন ফিরোজ শাহের আমলে রাস্তি শাহ (র.) কুমিল্লা ও নোয়াখালী এলাকায় ইসলাম প্রচারের জন্য আসেন।

তিনি মেহার শ্রীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। তাঁর অলৌকিক গুণ ও আধ্যাত্মিকতা দেখে তৎকালীন ত্রিপুরার মানুষ মুরিদ ও ভক্ত হতে শুরু করে। হযরত রাস্তি শাহের (র.) নাম অনুসারেই ১৯৮৭ সালের ১৩ মার্চ ‘শাহরাস্তি’ উপজেলা গঠিত হয়।

সাধক পুরুষ হযরত রাস্তি শাহ (র.) ১৩৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন। শাহরাস্তি উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে তাঁর মাজার অবস্থিত। মাজারের কাছে তিন গম্বুজ বিশিষ্ট প্রাচীন একটি মসজিদ আছে।

জনশ্রুতি আছে, হযরত রাস্তি শাহের (র.) মৃত্যুর সাড়ে তিন বছর পর সুবেদার শায়েস্তা খানের মেয়ে পরী বিবির আদেশে কাজী গোলাম রসূল মসজিদটি নির্মাণ করেন। তাঁর মাজার রক্ষার জন্য ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বার্ষিক দুইশ দশ টাকা হারে অনুদান দিতো।

মাজারের উত্তর দিকে ৩০ একর জমির উপর বিশাল একটি দীঘি রয়েছে। দীঘিটি হযরত রাস্তি শাহ (র.) জ্বীনের মাধ্যমে খনন করিয়েছেন বলে জনশ্রুতি রয়েছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

প্রতিবছর মাঘ মাসের শেষ বৃহস্পতিবার মাজারে বার্ষিক ওরশ অনুষ্ঠিত হয়। এ ওরশে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ মাজার জেয়ারত করার জন্য উপস্থিত হন।

যেভাবে যাবেন: লঞ্চে গেলে চাঁদপুর ঘাটে নামতে হবে। ঘাট থেকে রেল স্টেশন বা বাসস্ট্যান্ডে যেতে হবে। সেখান থেকে বাস, ট্রেনে বা সিএনজি করে যাওয়া যায়। তবে যাতায়াত সহজ করার জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে পারেন। মূলত শাহরাস্তি বাজারের উত্তর মাথায় শাহরাস্তির (র.) মাজার অবস্থিত।

থাকা-খাওয়া: জরুরি প্রয়োজনে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোয় থাকতে পারেন। ডাকবাংলোটি শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের সামনে অবস্থিত। খাবারের জন্য আশেপাশে বিভিন্ন মানের রেস্তোরাঁ পাবেন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৮৩ বার পড়া হয়েছে