শিশুরাও ঘুমের সমস্যায় ভোগে। ১ থেকে ৫ বছর বয়সের শিশুদের মাঝেও শতকরা ২৫ জন শিশু বিভিন্ন ধরনের ঘুমের সমস্যায় ভোগে। এই সমস্যা অধিকাংশ ক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী হয়। কিছু শিশুর ক্ষেত্রে তাদের ঘুমের সমস্যা দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড এবং তাদের সার্বিক সুস্থতায় তাৎপর্যপূর্ণ নেতিবাচক প্রভাব রাখে।
প্রথম অবস্থায় অনেক বাবা-মা বুঝতে পারেন না যে শিশুর ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। যখন শিশুরা আশানুরূপ পড়াশোনা করতে পারে না, স্কুলের সময় ঘুমায়, মাথাব্যথা হয়, মনোযোগে সমস্যা হয়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়, স্কুল থেকে অভিযোগ আসে কিংবা শিশু কথায় কথায় রাগ দেখাতে শুরু করে; তখন বাবা-মা বুঝতে পারে ঘুমের সমস্যা হচ্ছে। এ সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
বয়স অনুযায়ী শিশুর প্রয়োজনীয় ঘুমের সময়-তালিকা
১-৪ সপ্তাহ : ১৬-১৭ ঘণ্টা
১-৪ মাস : ১৬-১৭ ঘণ্টা। রাতের ঘুমে পরিমাণ বাড়তে থাকে
৪ মাস-১ বছর : ১৪-১৫ ঘণ্টা
১-৩ বছর : ১২-১৪ ঘণ্টা। রাতেই বেশি ঘুমায়, দিনে একবার ন্যাপ নেয় অথবা অল্প সময়ের জন্য ঘুমায়
৩-৬ বছর : ১১-১২ ঘণ্টা
৭-১২ বছর : ১০-১২ ঘণ্টা
ফিচার বিজ্ঞাপন
বেইজিং ৪ দিন ৩ রাত
কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবি)
Cairo & Luxor 5D/4N
১৩-১৮ বছর : ৬-৮ ঘণ্টা
শিশুর ঘুমের সমস্যা দূর করতে পরামর্শ
১. শিশুর ভালো ঘুমের জন্য পরিচিত, পরিচ্ছন্ন এবং আরামদায়ক বিছানা দিতে হবে। শোবার ঘরটা কিছুটা অন্ধকার, শান্ত, নীরব ও কোলাহলমুক্ত রাখতে হবে।
২. প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম থেকে জাগতে হবে এবং বিছানা ছাড়তে হবে।
৩. নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলা করতে হবে।
৪. কোনো শারীরিক বা মানসিক রোগ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
লেখক: সহকারী অধ্যাপক (সাইকিয়াট্রি), জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৫৪ বার পড়া হয়েছে