শিশুর বৃদ্ধি সঠিকভাবে হচ্ছে কি না, তা জানতে হবে নিয়মিত। কারণ, ঠিকঠাক বৃদ্ধি না ঘটলে পিছিয়ে পড়বে শিশু। তাই সে বেড়ে উঠছে কি না জানতে হলে নিয়মিত শিশুর ওজন, উচ্চতা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া সর্বজনস্বীকৃত গ্রোথ চার্টের সঙ্গে মিলিয়ে দেখতে হবে। এতে বয়স অনুযায়ী ওজন, উচ্চতা, মাথার পরিধি গ্রাফের সাহায্যে বানানো থাকে। ছেলে ও মেয়ে শিশুর জন্য আলাদা চার্ট আছে, যা দিয়ে সহজেই শিশুর বৃদ্ধি মাপা যায়।
শিশু ভূমিষ্ঠের পর প্রথম সপ্তাহে ওজন কমে এবং দু-তিন সপ্তাহে ওজন স্থির থাকে। এরপর ধীরে ধীরে ওজন বাড়তে থাকে। প্রথম তিন মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৫-৩০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে। পরবর্তী মাসগুলোতে আরেকটু কম হারে ওজন বাড়তে থাকে, ৩-১২ মাস বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৪০ গ্রাম ওজন বাড়ে। ৬ মাস বয়সে শিশুর ওজন জন্মের সময়ের ওজনের দ্বিগুণ হয়, এক বছরে ৩ গুণ, দুই বছরে ৪ গুণ, তিন বছরে ৫ গুণ, পাঁচ বছরে ৬ গুণ হয়। তবে জন্ম–ওজনের পার্থক্যের কারণে একই বয়সী দুটি শিশুর ওজনের কিছু তারতম্য ঘটতে পারে। সঠিক পরিচর্যা ও পুষ্টি পেলে আবার স্বাভাবিক ওজনে পৌঁছে যায়।
এ ব্যাপারে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু বিভাগের অধ্যাপক ডা. মো. আল-আমিন মৃধা বলেন, ওজন ও উচ্চতা নিয়মিত নেওয়া উচিত, তাহলে সহজেই বোঝা যায় শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঠিকভাবে হচ্ছে কি না। আবার যদি যথেষ্ট পরিমাণে উপযুক্ত খাবার দেওয়ার পরও তার ওজন না বাড়ে, তবে দেখতে হবে সেই খাবার পুষ্টিকর কি না। শিশু ঘন ঘন অসুস্থ হচ্ছে কি না। অসুস্থ অবস্থায় কম খেতে পারে এবং অসুখ সেরে গেলে আগের স্বাস্থ্য ফিরে পেতে তাকে অতিরিক্ত খাবার দেওয়া হচ্ছে কি না। শিশু প্রয়োজনমতো ভিটামিন ‘এ’ পাচ্ছে কি না। শিশু কৃমিতে আক্রান্ত হয়েছে কি না।
যেভাবে নজর রাখতে হবে
জন্মের পর থেকে ২ বা ৩ বছর বয়স পর্যন্ত প্রতি মাসে শিশুর ওজন নিতে হবে। যদি পরপর ২ মাস শিশুর ওজন না বাড়ে, তবে বুঝতে হবে তার কোনো সমস্য আছে। শিশুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ৬ মাস বয়স পর্যন্ত শুধু বুকের দুধই যথেষ্ট। ৬ মাস বয়স পূর্ণ হলে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার দিতে হবে। সাধারণভাবে প্রতি মাসে নিয়মিতভাবে শিশুর ওজন বাড়লে বুঝতে হবে শিশুর শরীর ঠিকমতো বাড়ছে, তার মানসিক বিকাশ যথাযথ হচ্ছে এবং তার মনও সুস্থ আছে। অন্য শিশুর ওজনের তুলনায় নয়, নিজের ওজনের তুলনায় শিশুর ওজন বাড়া প্রয়োজন। ৬ মাসের কম বয়সের শিশুর ওজন ঠিকমতো না বাড়লে তাকে আরও ঘন ঘন বুকের দুধ খাওয়ানো প্রয়োজন। পর্যাপ্ত পুষ্টি নিশ্চিত করার পরও যদি অবস্থার পরিবর্তন না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
অসুখ–বিসুখ, কম বা অনুপযুক্ত খাবার অথবা প্রয়োজনীয় সেবাযত্নের অভাবে শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। যেসব শিশু প্রথম ৬ মাস শুধু বুকের দুধ খায়, সে রোগব্যাধিতে খুব কম ভোগে। পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সব টিকা দেওয়া জরুরি। কারণ, টিকা রোগব্যাধি থেকে শিশুকে রক্ষা করে এবং তাকে সঠিকভাবে বেড়ে ওঠায় সাহায্য করে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
শ্রীলংকা ভিসা (চাকুরীজীবী)
সরবাটা ঘি ২৫০ গ্রাম
বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত
শিশুদের পাকস্থলী বড়দের তুলনায় ছোট। তাই একবারে অল্প পরিমাণে খাবার খেতে পারে। তাই ঠিকমতো বেড়ে ওঠার জন্য বলকারক খাবারের পাশাপাশি ঘন ঘন খেতে দিতে হবে। সারা দিনে ৫ থেকে ৬ বার। ‘মিশ্র’ অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের খাবার খাওয়ানো উচিত। নরম তরিতরকারি, ছোট মাছ, ডিম, ডাল, তেল, চিনি বা গুড় মেশাতে হবে এবং মৌসুমি ফলও খাওয়াতে হবে। এ জন্য শিশুকে শুকনা বা হালকা খাবার যেমন ফল, রুটি, মোয়া, নাড়ু, বিস্কুট, বাদাম, কলা অথবা হাতের কাছে যেসব পুষ্টিকর নিরাপদ খাবার পাওয়া যায়, সেগুলো খাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে দিতে হবে। আর যেসব শিশু বুকের দুধ খায়, তাদের বাইরের খাবার দেওয়ার আগে মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। তাহলে মায়ের বুকে অনেক দিন দুধ থাকবে।
শিশুর বাড়তি শক্তির প্রয়োজন মেটাতে পরিবারের স্বাভাবিক খাবারে অল্প পরিমাণে ঘি, সয়াবিন তেল, নারকেল তেল, বাদাম তেল অথবা বাদামের গুঁড়া মেশানো যেতে পারে, তাতে খাবার সমৃদ্ধ হয়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৪৬৬ বার পড়া হয়েছে