গাছ থাকলেই ঘরের পরিবেশে চলে আসে ভিন্নতা। ছাদ থেকে বারান্দায়, বারান্দা থেকে বাড়ির বিভিন্ন ঘরে এখন আনাগোনা গাছের। প্রকৃতির ছোঁয়ার পাশাপাশি অন্দরসজ্জায়ও যোগ হয় শৈল্পিক মাত্রা। যাঁরা গাছ দিয়ে ঘর সাজাতে পছন্দ করেন, তাঁরা মনোযোগ দেন গাছের টবের দিকেও। চিরাচরিত মাটির টবের পাশাপাশি সিরামিক, চীনামাটি, কাঠে খোদাই, মেটাল, কাচ, তামা, পিতল ইত্যাদি দিয়েই বানানো হচ্ছে টব।
গাছ লাগানো মানেই কিন্তু বড় বড় ফুলগাছ বা ফলের গাছ নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততা অনেক বেড়েছে, তাই অনেকেই এমন গাছ লাগান, যার জন্য সময় নিয়ে খুব যত্নের প্রয়োজন হয় না।

এমন অনেক গাছ আছে, যা ছোট টবের মধ্যেও হয়ে যায়। আবার কিছু গাছের জন্য বড় টব ভালো লাগে। তাই গোল, চারকোনা, ত্রিকোনা, পট আকার, কিছুটা লম্বাটে, থালি আকারের, বোল আকার, মটকা, গামলা আকার, ঝুড়ি আকার, প্ল্যান্ট ওয়াটার শাওয়ার আকারের টব ও বিভিন্ন প্রাণীর আদলে যেমন খরগোশ বা বিড়াল আকারের ফাইবারের টবও পাওয়া যায়।

প্ল্যান্ট ওয়াটার শাওয়ার আকারের টবগুলো বাজারে একেবারে নতুন। আপনি চাইলে একরঙা বা হাতে রং করা এমন টব কিনতে পারেন। এ ছাড়া ফাইবারের প্রাণীর আদলে করা টবগুলোও বেশ নতুনত্ব এনে দেবে। যাঁরা এক রঙের টবের পরিবর্তে একটু রঙিন কিছু চান, তাঁরা সিরামিকের রঙিন বোল টবগুলো কিনতে পারেন। বিভিন্ন আকারের ও নকশার এই টবগুলোতে নীল, হলুদ, সবুজ, কমলাসহ গাঢ় রঙের প্রাধান্য বেশি। এতে আপনার ঘর বা বারান্দাটিও রঙিন হয়ে উঠবে। একরঙা সিরামিকের টবগুলোতে চাইলে আপনি পাটের দড়ি, পুঁতির মালা, রঙিন ফিতা দিয়ে নকশা করে নিতে পারেন।

ফুলের গাছ লাগানোর জন্য মাঝারি বা একটু বড় আকারের টব বেশ উপযোগী। মটকা আকৃতি, গোলাকৃতি অথবা চৌকোনাকার টব ব্যবহার করাই ভালো। ফুল গাছের মধ্যে গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা, কসমস, টগর, এস্টার ইত্যাদি লাগাতে পারেন। কাপ, বোল অথবা থালা আকারের ছোট টবে পাথরকুচি, ক্যাকটাস বা এ ধরনের যেকোনো ছোট গাছ টেবিলে রাখা যায়। এ ছাড়া বনসাই, ছোট পামগাছ, গ্রিন লিফ, মানি প্ল্যান্ট, লতা বাহার, ক্যাকটাস, প্রজাপতির ছোট টবেই হয়ে যায়। গাছে পানি দেওয়ার যে ঝাঁজরি সেটার মধ্যে চাইলেও লতা বাহার সাজিয়ে রাখতে পারেন।

মেটালের ওয়াটার শাওয়ার আকারের টবে চাইলেই নিচে ছিদ্র করে নেওয়া যায়। তাই বেশি পানি দিতে হয় এমন গাছ এতে ভালো হবে। কারণ অবশিষ্ট পানি বেরিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রে জং ধরতে পারে। তাই সব সময়ে মুছে শুকনা রাখতে চেষ্টা করতে হবে। সিরামিকের টবগুলো তুলনামূলক ভারী ও মজবুত হয়। তাই পড়ে যাওয়ার ভয় কম। তবে এ ধরনের টবে ছিদ্র করা কঠিন। তাই কম পানি ব্যবহার করতে হয় এমন গাছই লাগানো উচিত। কাঠের টবে গাছ ভালো হবে। কিন্তু বেশি পানি দিলে কিছু বছর পর তাতে পচন ধরতে পারে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Email Marketing

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

Australia Visa for Lawyer

মূল্য: 20,000 Taka

যেখানে পাবেন
আগারগাঁও, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন নার্সারিতে পাবেন সাধারণ সিরামিকের টব। এ ছাড়া যদি ভিন্নধর্মী টব চান তবে হোক ওয়ার্ক, যাত্রা, আড়ং, মিরপুর রোডে আইডিয়াল ক্র্যাফট, যমুনা ফিউচার পার্কে ক্ল্যাসিক্যাল হোম টেক্স দোকানে পাবেন ভিন্নধর্মী টপ।

দামদর
সিরামিকের টবগুলোর আকার অনুযায়ী দাম হয়। বোল টবগুলো ৩০০ থেকে ৯০০ টাকা, গোল বা চারকোনা বড় টবগুলো ১৪০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত আছে। মেটালের ওয়াটার শাওয়ার আকারের টব ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা। কাঠের টব ৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১,০২৫ বার পড়া হয়েছে