সহজলভ্য প্লাস্টিক পণ্য বেশ সমাদর পেয়েছে অন্দরে। প্লাস্টিকসামগ্রী ব্যবহার হয় না, এমন বাসা খুঁজে পাওয়া ভার। বেশ কয়েক বছর ধরে অন্যান্য প্লাস্টিক পণ্যের পাশাপাশি অন্দরে স্থান করে নিয়েছে আসবাবও। এসব আসবাবে প্রয়োজনও মেটে, হালকা এসব আসবাব সহজে স্থানান্তরও করা যায়। প্লাস্টিকের বড় বাক্স দখল করেছে সিন্দুক বা ট্রাংকের স্থানও।

সবই তো হলো। তবে আমরা প্লাস্টিকনির্ভর হয়ে গেলেও এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, প্লাস্টিক পণ্য পরিবেশবান্ধব নয়। তাই প্লাস্টিকের কোনো জিনিস ফেলার সময় সচেতন আচরণ করা উচিত। প্লাস্টিকসামগ্রী ব্যবহার প্রসঙ্গে এমন নানা তথ্য দিলেন গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্সের (গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ) সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক তাসমিয়া জান্নাত।

প্লাস্টিকসামগ্রীর যত্নে

রোজ শুকনা কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন প্লাস্টিকসামগ্রী। মাসে একবার (প্রয়োজনে ১৫ দিন অন্তর) ডিটারজেন্ট–মিশ্রিত পানি ব্যবহার করতে পারেন এসব পণ্যের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায়। ছোট আকারের পণ্য ডিটারজেন্ট-পানিতে ধুয়ে ফেলতে পারেন। বড় আকারের সামগ্রী খুলে নেওয়া সম্ভব হলে এর বিভিন্ন অংশ পরিষ্কারে একই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। ডিটারজেন্ট-পানিতে কাপড় ভিজিয়ে মুছলেও পরিষ্কার হয়ে যায়, প্রয়োজনে খাঁজকাটা অংশ পরিষ্কারে ভেজা ব্রাশও ব্যবহার করা যায়। ভেজা কাপড় কিংবা ব্রাশ ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখুন, এই কাপড় বা ব্রাশটি যেন অবশ্যই পরিষ্কার থাকে। একটি জিনিস পরিষ্কার করার পর সেটির ময়লাসহ আরেকটি জিনিস পরিষ্কার করতে থাকলে ইতিবাচক ফল পাবেন না।

খাঁজকাটা প্লাস্টিকের ঢাকনা পরিষ্কার করার জন্য খাবার সোডা মেশানো পানিতে (উদাহরণস্বরূপ, ২ লিটার পানিতে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ খাবার সোডা) আধঘণ্টার জন্য সম্পূর্ণ ডুবিয়ে রেখে এরপর ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে পারেন ১৫ দিন অন্তর বা মাসে একবার।

ফিচার বিজ্ঞাপন

সাজেক ভ্রমণ ৩ রাত ২ দিন

মূল্য: ৫,৪০০ টাকা

ভুঁড়ি কমান, সুস্থ থাকুন

মূল্য: ১০২৫ টাকা

কোনো প্লাস্টিক পণ্য কখনোই গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করবেন না। এতে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি ব্যবহার করুন। প্লাস্টিক পণ্য কোনো ধরনের উষ্ণতার সংস্পর্শে নেওয়া যাবে না, মেলামিন পণ্যের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। রান্নাঘরের মতো উষ্ণ স্থানে প্লাস্টিকসামগ্রী না রাখাই ভালো।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৭১ বার পড়া হয়েছে